হায়দরাবাদ: ভারতীয় খাবারে দইয়ের গুরুত্ব অনেক । এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে, কোনও শুভ কাজ করার আগে দই খাওয়া দরকার । এটি ব্যবহার করে বহু ধরনের সুস্বাদু খাবারও তৈরি করা হয় । অনেকে দইয়ের লস্যি, বাটার মিল্ক, রায়তা ইত্যাদি খুব পছন্দ করে ।
দই পেটের জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয় । বলা হয়ে থাকে দই খেলে পেট সংক্রান্ত রোগ দূরে থাকে । এতে পটাশিয়াম, ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, ভিটামিন ই ইত্যাদি পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়, যা শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ । তাই আর দেরি না-করে জেনে নেওয়া যাক, দই খাওয়ার উপকারিতাগুলি ।
দাঁত ও হাড়ের জন্য উপকারী: খাবারের স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি দই আপনার দাঁত ও হাড়ের জন্যও উপকারী । দই খেলে আর্থারাইটিসের ঝুঁকি কমে । তাই প্রতিদিনের ডায়েটে অবশ্যই এক বাটি দই অন্তর্ভুক্ত করুন ।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী: পুষ্টিগুণে ভরপুর দই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতেও সহায়ক । এটিতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করতে কার্যকর । এটি একটি প্রোবায়োটিক খাবার । দই খেলে আপনি অনেক ধরনের সংক্রমণ এড়াতে পারেন ।
হার্ট সুস্থ রাখে: যাদের কোলেস্টেরলের সমস্যা আছে তাদের জন্য দই উপকারী হতে পারে । এটি শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমায় । এর ফলে হৃদযন্ত্র ভালো থাকে ।
ওজন কমাতে সহায়ক: এছাড়াও ওজন কমানোর জন্য ডায়েটে দই অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন । এটি খেলে অনেকক্ষণ পেট ভরা থাকে । এটি আপনাকে অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বিরত রাখে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে ।
শরীরে শক্তি যোগায়: দই ভিটামিন ও খনিজ পদার্থে ভরপুর । এটি শরীরে শক্তি জোগায় । প্রি-ওয়ার্কআউট খাবার হিসেবেও দই খেতে পারেন ।
হজমশক্তি বজায় রাখে: দইয়ে উপস্থিত প্রোবায়োটিক, স্বাস্থ্যকর রাখার পাশাপাশি হজমশক্তি বজায় রাখতে সাহায্য করে। এটি হজম করা বেশ সহজ। এতে প্রোটিন এবং ক্যালসিয়ামের মতো পুষ্টি উপাদান ভরপুর।
আরও পড়ুন: লিম্ফোমা নিরাময়ে চিকিৎসার পাশাপাশি ব্যবস্থাপনা ও সতর্কতা অবলম্বনও জরুরি
(পরামর্শগুলি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের ভিত্তিতে ৷ আপনার কোনও প্রশ্ন থাকলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন)