হায়দরাবাদ: অনেকেই স্থূলতা কমাতে ব্যায়াম করেন ৷ আবার কেউ খাদ্যাভাসে পরিবর্তন আনেন ৷ তবুও সহজে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। গ্রীষ্মে এই অভ্যাসগুলি মেনে সহজেই ওজন কমাতে পারেন । পরিবর্তিত জীবনধারা এবং অস্বাস্থ্যকর খাবারের কারণে স্থূলতার সমস্যা সাধারণ হয়ে উঠছে । ওজন বৃদ্ধির কারণে আপনি অনেক মারাত্মক রোগের শিকার হতে পারেন ।
ওজন কমানোর জন্য গ্রীষ্মকাল সেরা বলে বিবেচিত হয়। মানুষ মেদ কমাতে নানা উপায় অবলম্বন করে। এই মরশুমে আপনার জীবনধারায় কিছু স্বাস্থ্যকর অভ্যাস অন্তর্ভুক্ত করে ওজন কমাতে পারেন । জেনে নিন, ওজন কমানোর সহজ উপায় ।
সাঁতার কাটা: গ্রীষ্মকালে সাঁতার কাটতে অনেকে পছন্দ করেন । ওজন কমাতেও এটি উপকারী বলে মনে করা হয় । এটি এক ধরনের চমৎকার অ্যারোবিক ব্যায়াম । হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়ায় ওজন কমে।
মিষ্টি পানীয় এড়িয়ে চলুন: গরম থেকে বাঁচতে মানুষ অতিরিক্ত পরিমাণে ফলের রস, লেবুর সোডা, স্কোয়াশ ইত্যাদি খায়, কিন্তু এতে উপস্থিত চিনির কারণে তারা মোটা হয়ে যায় । এই মরশুমে ওজন কমাতে চাইলে মিষ্টি জাতীয় পানীয় এড়িয়ে চলুন।
পর্যাপ্ত জল পান করুন: ওজন কমাতে জল পান করা খুবই উপকারী । শরীরকে হাইড্রেট করার পাশাপাশি এটি ওজন কমাতেও সহায়ক । এজন্য নিয়মিত পর্যাপ্ত জল পান করুন ।
হাট: ওজন কমানোর জন্য হাঁটা খুবই ভালো উপায় । জীবনযাত্রার ছোট পরিবর্তন যেমন বেশি হাঁটা, প্রায়ই দাঁড়ানো, প্রতি ঘণ্টায় অল্প হাঁটা, লিফটের পরিবর্তে সিঁড়ি বেয়ে যাওয়া ইত্যাদি ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে।
খাবারে দই অন্তর্ভুক্ত করুন: গরমে পেটের সমস্যা দেখা যায় । তাই আপনার খাবারে অবশ্যই এক বাটি দই অন্তর্ভুক্ত করুন । হজম শক্তির পাশাপাশি এটি ওজন কমাতেও সাহায্য করে । এটি খেলে শরীরও ঠান্ডা থাকে এবং ওজন কমাতেও এটি সহায়ক ।
খাদ্যতালিকায় সবুজ শাকসবজি রাখুন: গরমে যত খুশি স্যালাড খেতে পারেন । কারণ এর ব্যবহারে শরীর হাইড্রেটেড থাকে । এমন পরিস্থিতিতে শশা এবং টমেটো শুধুমাত্র তৃষ্ণা মেটাতে সাহায্য করে না, বরং গরম থেকে মুক্তি দিতেও সহায়ক।
সবুজ শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার পাওয়া যায় । যার কারণে পেট অনেকক্ষণ ভরা থাকে এবং আপনি বেশি খাওয়া এড়িয়ে যান । এক্ষেত্রে এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে ।
আরও পড়ুন: ত্বকের যত্নের রুটিনে তরমুজ অন্তর্ভুক্ত করুন ! আশ্চর্যজনক উপকার পাবেন
(পরামর্শগুলি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের ভিত্তিতে ৷ আপনার কোনও প্রশ্ন থাকলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন)