হায়দরাবাদ: কখনও কখনও আঘাত, সংক্রমণ বা কোনও দীর্ঘস্থায়ী রোগের কারণে শরীরে ফুলে যাওয়ার সমস্যা হয় । যাদের স্থূলতার সমস্যা রয়েছে, তারাও ফুলে যাওয়া সমস্যায় ভুগছেন । শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে এটি এমন একটি অবস্থা যা খুবই বেদনাদায়ক ।
দুই ধরনের প্রদাহ হয়: যখন আপনার শরীর ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ করতে বা ক্ষতিগ্রস্ত টিস্যু মেরামত করতে প্রদাহজনক কোষ পাঠায় । এই প্রদাহ শারীরিক ক্রিয়াকলাপের জন্য নিরাপদ এবং প্রয়োজনীয় উভয়ই । দ্বিতীয়ত, দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ ঘটে যখন শরীর প্রদাহজনক কোষ পাঠাতে শুরু করে এমনকি যখন অসুস্থ না হন বা আঘাত পান । এই ফোলা ক্ষতিকর হতে পারে ৷ যা অনেক গুরুতর রোগের লক্ষণও হতে পারে । খাদ্যতালিকায় কিছু খাবার অন্তর্ভুক্ত করে ফোলাভাব থেকে মুক্তি পেতে পারেন ।
ফোলাভাব কমাতে এই খাবারগুলি খান
বেরি: স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি এবং রাস্পবেরি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাইটোকেমিক্যাল সমৃদ্ধ ৷ যা প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে । এই ফলগুলি ভিটামিন-সি এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টিতেও সমৃদ্ধ ৷ যা আপনার খাদ্যকে স্বাস্থ্যকর করে তোলে ।
চর্বিযুক্ত মাছ: ফ্যাটি মাছ, যেমন স্যামন, ম্যাকেরেল এবং সার্ডিন ওমেগা-3 ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ । এগুলির প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে । তাই সপ্তাহে অন্তত দু'বার খাদ্যতালিকায় চর্বিযুক্ত মাছ অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত করতে হবে ।
সবুজ শাক: পালং শাক এবং সুইস চার্ড-সহ শাক সবজি ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। এগুলিতে উচ্চ পরিমাণে ফাইবার রয়েছে, যা হজমে সহায়তা করে এবং একটি স্বাস্থ্যকর অন্ত্রের প্রচার করে।
হলুদ: হলুদে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে ৷ যা প্রদাহ কমাতে কার্যকর প্রমাণিত হতে পারে । হলুদকে স্যুপ, দুধ বা শাকসবজিতে যোগ করে আপনার খাদ্যের একটি অংশ করতে পারেন ।
বাদাম এবং বীজ: যদি নিরামিষভোজী হন তাহলে খাদ্যতালিকায় বাদাম, আখরোট, শণের বীজ এবং চিয়া বীজ অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত করুন । এগুলি ওমেগা-3 ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ । আপনি এগুলি স্ন্যাকস হিসাবেও খেতে পারেন । এগুলি ফাইবার, ভিটামিন এবং মিনারেল সমৃদ্ধ ।
আরও পড়ুন: এই নিরামিষ খাবার দিয়ে প্রোটিনের অভাব দূর করুন ! জেনে নিন কী কী
(পরামর্শগুলি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের ভিত্তিতে ৷ আপনার কোনও প্রশ্ন থাকলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন)
