হায়দরাবাদ: চুলের ভালো বৃদ্ধির জন্য তাদের বিশেষ যত্ন খুবই জরুরি । আজকাল জীবনযাত্রার অবনতি এবং খাবারের প্রতি অযত্নে মানুষ চুল সংক্রান্ত সমস্যার শিকার হচ্ছে । আজকাল ছেলে হোক বা মেয়ে, চুল পড়া, পড়ে যাওয়া এবং ভেঙে যাওয়ায় সবাই সমস্যায় পড়ে । এমন পরিস্থিতিতে মানুষ স্বাস্থ্যকর চুলের জন্য অনেক পণ্য ব্যবহার করেন । কিন্তু অনেক সময় রাসায়নিকযুক্ত এই পণ্যগুলিও আমাদের চুলের ক্ষতি করতে শুরু করে ।
আপনিও যদি চুল সংক্রান্ত এই সমস্যায় ভুগে থাকেন এবং কোন রাসায়নিক দ্রব্যের সাহায্য ছাড়াই প্রাকৃতিক উপায়ে আপনার চুলকে স্বাস্থ্যকর করতে চান, তাহলে এর জন্য আপনি কারি পাতা এবং মেথি বীজ ব্যবহার করতে পারেন । জেনে নিন চুলকে মজবুত ও স্বাস্থ্যবান করতে কারি পাতা ও মেথি বীজ কীভাবে ব্যবহার করবেন ?
মেথি বীজ এবং কারি পাতার চুলের টনিক
উপাদান
4 কাপ মেথি বীজ, 15 থেকে 20 কারি পাতা, হাপ কাপ জল ৷
কীভাবে চুলের টনিক তৈরি করবেন
প্রথমে মেথি ও কারিপাতা একসঙ্গে গুঁড়ো করে নিন । এরজন্য আপনি চাইলে ব্লেন্ডারও ব্যবহার করতে পারেন । এবার একটি প্যানে জল ঢেলে ভালো করে ফুটিয়ে নিন । জল ভালোভাবে ফুটে উঠলে তাতে মেথি ও কারি পাতা গুঁড়ো করে দিন । এবার এই জল 5 মিনিটের জন্য কম আঁচে ফুটতে দিন ৷ পাঁচ মিনিট পর গ্যাস বন্ধ করে মিশ্রণটি ঠান্ডা হতে দিন । এরপর ফিল্টার করে সারারাত রেখে দিন ।
ব্যবহার
মেথি বীজ এবং কারি পাতা টনিক ব্যবহার করতে প্রথমে চুলে শ্যাম্পু করুন । এবার এই টনিকটিকে হালকা গরম করে চুলে ভালো করে লাগান ।
টনিক ভালোভাবে চুলে লাগানো হয়ে গেলে শুকাতে দিন । মনে রাখবেন চুলে টনিক লাগানোর পর শ্যাম্পু বা কন্ডিশনার ব্যবহার করবেন না, কারণ এতে টনিকের প্রভাব দূর হবে । ভালো ফলাফলের জন্য সপ্তাহে একবার বা দুইবার ব্যবহার করে চুলকে স্বাস্থ্যকর করতে পারেন ।
মেথি বীজ এবং কারি পাতার উপকারিতা
মেথি বীজ চুল পড়া কমানোর পাশাপাশি রোধ করে ।
এতে উপস্থিত ফ্ল্যাভোনয়েডগুলিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা মাথার ত্বক এবং চুলের ফলিকলকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে ।
কারি পাতায় উপস্থিত অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য মাথার ত্বকে স্বস্তি দেয় এবং এটিকে স্বাস্থ্যকর করে তোলে ।
এছাড়াও এতে পাওয়া বিটা-ক্যারোটিন চুলের ফলিকলকে শক্তিশালী করে ।
এমন পরিস্থিতিতে মেথি বীজ এবং কারি পাতার ব্যবহার শুষ্কতা, খুশকি এবং অসময়ে চুল পাকা হওয়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে ।
আরও পড়ুন: পরিবর্তনশীল ঋতুতে সুস্থ থাকতে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন জরুরি
(পরামর্শগুলি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের ভিত্তিতে ৷ আপনার কোনও প্রশ্ন থাকলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন)