হায়দরাবাদ: থাইরয়েড হল একটি প্রজাপতি আকৃতির গ্রন্থি যা ঘাড়ের শ্বাসনালীর সামনে অবস্থিত । এটি এক ধরনের হরমোন । যা গলায় উপস্থিত থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে তৈরি হয় । এটি শরীরের ওজন থেকে মস্তিষ্ক পর্যন্ত সবকিছুকে প্রভাবিত করে ।
যদি এই হরমোন শরীরে অতিরিক্ত পরিমাণে তৈরি হয়, তাহলে আপনি থাইরয়েড রোগের শিকার হতে পারেন । এই রোগের ক্রমবর্ধমান মামলার পরিপ্রেক্ষিতে প্রতি বছর 25 মে সারা বিশ্বে বিশ্ব থাইরয়েড দিবস পালিত হয় । এই দিনটি পালনের উদ্দেশ্য হল থাইরয়েড সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা । এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে খাবারের প্রতি বিশেষ যত্ন নিতে হবে । এমন পরিস্থিতিতে কিছু স্বাস্থ্যকর পানীয়ের কথা জেনে নিন যেগুলি নিয়মিত খেলে থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণ করা যায় ।
হলুদ দুধ
হলুদের দুধ পান করার অনেক উপকারিতা রয়েছে এবং এতে প্রদাহরোধী এবং অ্যান্টিসেপটিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে । এটি থাইরয়েড রোগীদের জন্য খুবই উপকারী । আপনি চাইলে এতে কালো মরিচও মেশাতে পারেন । এর ফলে থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণ হতে পারে ।
আপেল ভিনিগার
আপেল ভিনিগার থাইরয়েড হরমোন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক । এটি পান করলে অনেকক্ষণ পেট ভরা থাকে । এর জন্য জলে 1 টেবিল চামচ অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার মিশিয়ে খাবার পর পান করুন ।
বাটারমিল্ক
বাটারমিল্ক প্রোবায়োটিকের একটি চমৎকার উৎস । এটি পান করলে ওজন এবং থাইরয়েড দুটোই নিয়ন্ত্রণে থাকবে । এছাড়া এটি হজমশক্তিকেও সুস্থ রাখে । সুস্থ থাকতে অবশ্যই খাদ্যতালিকায় বাটার মিল্ক অন্তর্ভুক্ত করুন ।
বিটরুট এবং গাজরের রস
যদি থাইরয়েডের সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে বিটরুট এবং গাজরের রস মিশিয়ে পান করতে পারেন । এটি ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট এবং লাইকোপিনের একটি চমৎকার উৎস । এতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার ।
সবুজ জুস
থাইরয়েড রোগীদের খাদ্য তালিকায় সবুজ জুস অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে । এর জন্য তাজা পালং শাক, ধনেপাতা, পুদিনা বা শসার রস পান করুন । এই জুসে লেবুর রসও মিশিয়ে নিতে পারেন ।
ভেষজ চা
ভেষজ চায়ে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-ভাইরাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে । এটি প্রতিদিন পান করলে স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকার পাওয়া যায় । থাইরয়েড রোগীরা এতে উপকৃত হতে পারেন ।
আরও পড়ুন: শরীরে থাইরয়েড বাসা বেঁধেছে ? সহজ কিছু অভ্যাসেই বাগে আসবে রোগ
(পরামর্শগুলি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের ভিত্তিতে ৷ আপনার কোনও প্রশ্ন থাকলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন)