ETV Bharat / sukhibhava

শিশুর মুখে 'ভালো লাগছে না' শুনে বিরক্ত হবেন না, বরং তাকে ব্যস্ত রাখুন - শিশুদের সাধারণ অভ্যাস

Children's Boredom: ছুটির দিনে বার বার অভিভাবকদের বিরক্ত করা শিশুদের সাধারণ অভ্যাস । কখনও কখনও কাজের চাপে বিরক্ত হয়ে যান ৷ অস্ট্রেলিয়ার কার্টিন ইউনিভার্সিটির ক্লিনিক্যাল সাইকোলজির সহযোগী অধ্যাপক ট্রেভর মাজুচেলি 'দ্য কনভারসেশন'-এ শিশুদের এই সমস্য়া সমাধানের উপায় বলেছেন ৷

Manage Their Own Boredom
প্রতীকী ছবি
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jan 9, 2024, 6:15 AM IST

Updated : Jan 9, 2024, 9:16 AM IST

হায়দরাবাদ, 9 জানুয়ারি: জানুয়ারি মাস মানেই ছুটির মরশুম থাকে ৷ অধিকাংশ স্কুলেও ছুটি থাকে ৷ এই সময়ে বাড়ির ক্ষুদে সদস্যটিও বাড়িতেই থাকে অধিকাংশ সময় ৷ কিন্তু বাবা- মায়ের তো ছুটি নেই ৷ কারণ স্কুল ছুটি থাকলেও অফিসতো আর ছুটি নেই ৷ এদিকে ছুটিতে থাকা ছোট্ট শিশুটিও চায় বাবা- মায়ের সঙ্গে সময় কাটাতে ৷ কখনও কখনও বলেই ফেলে তার একঘেয়েমি লাগছে ৷ তাই বারবার অভিভাবকদের তাদের সঙ্গে খেলার জন্য বলতে থাকে ৷ শিশুর এই আচরণে অনেক সময়েই বিরক্ত হন বাবা- মায়েরা ৷ কার্টিন ইউনিভার্সিটির ক্লিনিক্যাল সাইকোলজির সহযোগী অধ্যাপক ট্রেভর মাজুচেলি 'দ্য কনভারসেশন'-এ বলে দিলেন শিশুদের এই ভালো না লাগাকে কীভাবে পরিবর্তন করবেন ৷ বেশ কয়েকটি টিপস দিয়েছেন অভিভাবকদের ৷

অনেক সময়েই দেখা যায় শিশুদের একঘেয়েমি কাটাতে অভিভাবকরা টিভি চালিয়ে দেন ৷ কিন্তু একটা সময়ের পর তাতেও শিশুটি বিরক্ত হয়ে যায় ৷ সেক্ষেত্রে শিশুকে টিভি নয়, বিভিন্ন ধরনের কাজে যুক্ত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি ৷ শিশুকে সৃজনশীল মূলক কাজে ব্যস্ত রাখার পরামর্শ দিয়েছেন ৷ এই সৃজনশীলতার মধ্য়ে দিয়ে শিশু শৈল্পিপ সত্ত্বাও বিকশিত হয় ৷ শিশুকে তার সমস্যা সমাধান করতে বলুন ৷ আপনি পাশে থাকুন ৷ নিজের কাজ নিজেকে করতে বলুন ৷ তাতেই ব্যস্ত থাকবে ৷ আবার আপনাকে বিরক্ত করবে না ৷ আপন সন্তানও স্বাধীন হতে শিখবে ছোট থেকেই ৷ নিজের মতো করে কীভাবে খুশি থাকতে হয় সেটাও শিখবে ৷

  • প্রথমেই জানতে হবে শিশুরা কেন একঘেয়েমি বোধ করে :

শিশুরা সাধরণত বাঁধা-ধরা ও নিয়মানুবর্তিতার মধ্যে সময় কাটায় ৷ সেই নিয়মের বাইরে গেলেই তাঁরা একঘেয়েমি বোধ করে ৷ ছুটির দিনগুলোয় নিয়মানুবর্তিতা থাকে না ৷ তাতেই একঘেয়েমি বোধ করে শিশুরা ৷ তাই এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে শিশুদের কোনও না কোনও ভাবে ব্যস্ত রাখা যেতে পারে ৷ নিজেকে কীভাবে ব্যস্ত রাখবে সেই উপায়ও শিশুকেই ভাবতে বলুন ৷ বাবা-মায়েরা শুধু কয়েকটি টিপস বলতে পারেন ৷ কিন্তু সেই সমস্ত শিশুটি সে-সব কী ভাবে বাস্তাবায়িত করবে তা শিশুকেই ভাবতে বলুন ৷

  • শিশুদের একঘেয়েমি কাটাতে অভিভাবকদের ভূমিকা :
  1. শিশুদের একঘেয়েমির থাবা থেকে রক্ষা করতে বাবা-মায়ের অন্যতম ভূমিকা থাকে ৷ শিশুর জন্য বিশেষ কিছু কাজের তালিকা তৈরি করুন ৷ শিশুদের শিশু ছিবি আঁকার কাজে ব্যস্ত রাখতে পারেন ৷ টেডি বিয়ার পিকনিকের আয়োজনের দায়িত্ব দিতে পারেন ৷ পাজেল সল্ভ, ছোট ছোটো গল্পের বই কিনে দিন পড়ার জন্য ৷
  2. শিশুর কাছে যে সমস্ত খেলার সমগ্রী আছে সেসবের তালিকা তৈরি করতে বলুন ৷ আর আপনার কথা মতো চললে শিশুকে পুরস্কার দিন তার পছন্দের জিনিস ৷
  3. আপনার সন্তানকে সর্বদা উৎসাহ দিন কাজের জন্য। ভালো কাজ করলে তার প্রশংসা করুন ৷ কোনও জিনিস, খুঁজে না পেলে সেটি শিশুকেই খুঁজতে বলুন ৷ লক্ষ্য় রাখবেন শিশু যেন আগ্রহ না হারিয়ে ফেলে কাজের প্রতি ৷

তবে সুযোগ পেলই সন্তানের সঙ্গে সময় কাটান। যদিও বাচ্চাদের জন্য একঘেয়েমি কীভাবে পরিচালনা করতে হয় তা শেখা গুরুত্বপূর্ণ ৷ বাচ্চাদেরও মধ্যেও মূল্যবান বোধ জাগাতে হবে ৷ তাদের বাবা-মায়ের সঙ্গে সময় কাটাতে ইচ্ছা হয় । সেই ইচ্ছার গুরুত্ব দিন ৷ সন্তানের সঙ্গে সময় কাটানোর সময় তাদেরকে বোঝার চেষ্টা করুন ৷

আরও পড়ুন:

  1. ত্বকের জন্য উপকারি মুলতানি মাটি, ব্যবহার করতে পারেন শীতকালেও
  2. ভিটামিন ডি এর অভাবে ক্যানসার-সহ হতে পারে অনেক মারাত্মক রোগ
  3. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে রোজ খান রসুন-পালং শাক-ব্রকলি

হায়দরাবাদ, 9 জানুয়ারি: জানুয়ারি মাস মানেই ছুটির মরশুম থাকে ৷ অধিকাংশ স্কুলেও ছুটি থাকে ৷ এই সময়ে বাড়ির ক্ষুদে সদস্যটিও বাড়িতেই থাকে অধিকাংশ সময় ৷ কিন্তু বাবা- মায়ের তো ছুটি নেই ৷ কারণ স্কুল ছুটি থাকলেও অফিসতো আর ছুটি নেই ৷ এদিকে ছুটিতে থাকা ছোট্ট শিশুটিও চায় বাবা- মায়ের সঙ্গে সময় কাটাতে ৷ কখনও কখনও বলেই ফেলে তার একঘেয়েমি লাগছে ৷ তাই বারবার অভিভাবকদের তাদের সঙ্গে খেলার জন্য বলতে থাকে ৷ শিশুর এই আচরণে অনেক সময়েই বিরক্ত হন বাবা- মায়েরা ৷ কার্টিন ইউনিভার্সিটির ক্লিনিক্যাল সাইকোলজির সহযোগী অধ্যাপক ট্রেভর মাজুচেলি 'দ্য কনভারসেশন'-এ বলে দিলেন শিশুদের এই ভালো না লাগাকে কীভাবে পরিবর্তন করবেন ৷ বেশ কয়েকটি টিপস দিয়েছেন অভিভাবকদের ৷

অনেক সময়েই দেখা যায় শিশুদের একঘেয়েমি কাটাতে অভিভাবকরা টিভি চালিয়ে দেন ৷ কিন্তু একটা সময়ের পর তাতেও শিশুটি বিরক্ত হয়ে যায় ৷ সেক্ষেত্রে শিশুকে টিভি নয়, বিভিন্ন ধরনের কাজে যুক্ত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি ৷ শিশুকে সৃজনশীল মূলক কাজে ব্যস্ত রাখার পরামর্শ দিয়েছেন ৷ এই সৃজনশীলতার মধ্য়ে দিয়ে শিশু শৈল্পিপ সত্ত্বাও বিকশিত হয় ৷ শিশুকে তার সমস্যা সমাধান করতে বলুন ৷ আপনি পাশে থাকুন ৷ নিজের কাজ নিজেকে করতে বলুন ৷ তাতেই ব্যস্ত থাকবে ৷ আবার আপনাকে বিরক্ত করবে না ৷ আপন সন্তানও স্বাধীন হতে শিখবে ছোট থেকেই ৷ নিজের মতো করে কীভাবে খুশি থাকতে হয় সেটাও শিখবে ৷

  • প্রথমেই জানতে হবে শিশুরা কেন একঘেয়েমি বোধ করে :

শিশুরা সাধরণত বাঁধা-ধরা ও নিয়মানুবর্তিতার মধ্যে সময় কাটায় ৷ সেই নিয়মের বাইরে গেলেই তাঁরা একঘেয়েমি বোধ করে ৷ ছুটির দিনগুলোয় নিয়মানুবর্তিতা থাকে না ৷ তাতেই একঘেয়েমি বোধ করে শিশুরা ৷ তাই এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে শিশুদের কোনও না কোনও ভাবে ব্যস্ত রাখা যেতে পারে ৷ নিজেকে কীভাবে ব্যস্ত রাখবে সেই উপায়ও শিশুকেই ভাবতে বলুন ৷ বাবা-মায়েরা শুধু কয়েকটি টিপস বলতে পারেন ৷ কিন্তু সেই সমস্ত শিশুটি সে-সব কী ভাবে বাস্তাবায়িত করবে তা শিশুকেই ভাবতে বলুন ৷

  • শিশুদের একঘেয়েমি কাটাতে অভিভাবকদের ভূমিকা :
  1. শিশুদের একঘেয়েমির থাবা থেকে রক্ষা করতে বাবা-মায়ের অন্যতম ভূমিকা থাকে ৷ শিশুর জন্য বিশেষ কিছু কাজের তালিকা তৈরি করুন ৷ শিশুদের শিশু ছিবি আঁকার কাজে ব্যস্ত রাখতে পারেন ৷ টেডি বিয়ার পিকনিকের আয়োজনের দায়িত্ব দিতে পারেন ৷ পাজেল সল্ভ, ছোট ছোটো গল্পের বই কিনে দিন পড়ার জন্য ৷
  2. শিশুর কাছে যে সমস্ত খেলার সমগ্রী আছে সেসবের তালিকা তৈরি করতে বলুন ৷ আর আপনার কথা মতো চললে শিশুকে পুরস্কার দিন তার পছন্দের জিনিস ৷
  3. আপনার সন্তানকে সর্বদা উৎসাহ দিন কাজের জন্য। ভালো কাজ করলে তার প্রশংসা করুন ৷ কোনও জিনিস, খুঁজে না পেলে সেটি শিশুকেই খুঁজতে বলুন ৷ লক্ষ্য় রাখবেন শিশু যেন আগ্রহ না হারিয়ে ফেলে কাজের প্রতি ৷

তবে সুযোগ পেলই সন্তানের সঙ্গে সময় কাটান। যদিও বাচ্চাদের জন্য একঘেয়েমি কীভাবে পরিচালনা করতে হয় তা শেখা গুরুত্বপূর্ণ ৷ বাচ্চাদেরও মধ্যেও মূল্যবান বোধ জাগাতে হবে ৷ তাদের বাবা-মায়ের সঙ্গে সময় কাটাতে ইচ্ছা হয় । সেই ইচ্ছার গুরুত্ব দিন ৷ সন্তানের সঙ্গে সময় কাটানোর সময় তাদেরকে বোঝার চেষ্টা করুন ৷

আরও পড়ুন:

  1. ত্বকের জন্য উপকারি মুলতানি মাটি, ব্যবহার করতে পারেন শীতকালেও
  2. ভিটামিন ডি এর অভাবে ক্যানসার-সহ হতে পারে অনেক মারাত্মক রোগ
  3. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে রোজ খান রসুন-পালং শাক-ব্রকলি
Last Updated : Jan 9, 2024, 9:16 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.