হায়দরাবাদ: সাধারণভাবে অনেকে তাদের মুখের স্বাস্থ্যের দিকে খুব বেশি মনোযোগ দেন না । দাঁতে ব্যথা পেলেই আমরা এর গুরুত্ব বুঝি । তাদের বেশিরভাগই সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর দাঁত ব্রাশ করেন । আসলে রাতে ঘুমানোর আগে দাঁত ব্রাশ করা জরুরি । খাওয়া-দাওয়ার অভ্যাসের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে (Healthy And Strong Teeth)।
আঠালো জিনিস থেকে দূরে থাকুন: এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ । কারণ দাঁতে আঠালো উপাদান খাওয়া উচিত নয় । এর ফলে সেখানে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া জন্মায় । আপনার দাঁত ভালোভাবে ব্রাশ করতে ভুলবেন না, যদি চকোলেটের মতো কিছু আটকে যায় ।
গার্গলিং: প্রতিবার খাওয়ার পর জল দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন । এতে দাঁতের মাঝখানে আটকে থাকা উপাদান আলগা হয়ে যায় । অন্যথায় ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধির ঝুঁকি থাকে ।
পরিমিত পরিমাণে সাইট্রাস উপাদান: লেবু, আঙুর, আনারস এবং ডালিমের মতো সাইট্রাস ফল স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী । কিন্তু এতে উপস্থিত অ্যাসিডের সঙ্গে আপনার দাঁতের এনামেল নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি থাকে । তাই এব্যাপারে সতর্কতা প্রয়োজন । এই ধরনের টক খাবার খাওয়ার পর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন । এটি অ্যাসিডের ঘনত্ব হ্রাস করে এবং অবিলম্বে আপনার দাঁত ব্রাশ করবেন না । আধা ঘণ্টা পর ব্রাশ করুন । এই সময়ে এনামেল সঙ্কুচিত হবে ।
আরও পড়ুন: শীতকালে বাড়ে ব্রেন স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাকের সমস্যা
পানীয় জল: জল আমাদের জন্য অমৃত । প্রচুর জল পান করা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো । এটি মুখ পরিষ্কার রাখে এবং দাঁতের জন্য ভালো ।
চুইংগাম মুখের পেশীর ব্যায়াম করে । রক্ত সঞ্চালন পুনরুজ্জীবিত হয়, চাপ কমে যায় । কিন্তু মাড়িতে থাকা চিনি দাঁতের ক্ষতি করতে পারে । তাই চিনিমুক্ত চুইং গাম চিবানো ভালো । এটি মুখের লালা ঠান্ডা করে । এটি দাঁতকে সব সময় পরিষ্কার রাখে ৷