হায়দরাবাদ: অনেক মহিলাই তাদের জীবনে কোনও না-কোনও কারণে পিরিয়ড বন্ধ করার জন্য পিল গ্রহণ করেন । কখনও এর কারণ ভ্রমণ হতে পারে ৷ কখনও নিজের বিবাহ বা কোনও গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান থাকার ফলে মাসিক কিছু সময়ের জন্য বন্ধ করার চেষ্টা করে থাকেন অনেকেই । বাজারে অনেক ওষুধ রয়েছে, যাতে করে সাময়িকভাবে পিরিয়ড পিছিয়ে দেওয়া যায় । কিন্তু মনে রাখা দরকার ওষুধ খাওয়ার আগে একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরি ৷ পিল গ্রহণের প্রক্রিয়াটি নিয়ে আলোচনা করা দরকারা, যাতে আপনি কোনও অবাঞ্ছিত ঝুঁকি থেকে দূরে থাকতে পারেন ।
পিরিয়ড সময় পিছানোর পিলের প্রক্রিয়া:
পিরিয়ড বিলম্বের ওষুধের নরেথিস্টেরন থাকে, যা প্রোজেস্টেরনের একটি কৃত্রিম রূপ এবং শরীরে প্রোজেস্টেরনের কৃত্রিমভাবে উচ্চমাত্রা বজায় রেখে মাসিক বিলম্বিত করে । তবে জরায়ুর পুরু আস্তরণ কতক্ষণ বজায় রাখা যায় তার একটি সীমা রয়েছে ৷ তবুও এই ওষুধগুলি ব্যবহার করে প্রায় দুই সপ্তাহ ঋতুস্রাব স্থগিত করা সম্ভব ।
আপনি কখন সেগুলি নেওয়া শুরু করবেন ?
বিশেষজ্ঞদের মতে, মাসিক শুরু হওয়ার তিনদিন আগে থেকে ট্যাবলেট খাওয়া শুরু করুন এবং যতদিন পর্যন্ত আপনি আপনার মাসিক বিলম্বিত করতে চান, ততদিন পর্যন্ত ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ট্যাবলেট খাওয়া চালিয়ে যান । এই ওষুধগুলি খাওয়া বন্ধ করার এক সপ্তাহের মধ্যে মাসিক শুরু হবে ।
মাসিক পিছানোর ওষুধ কতটা নিরাপদ:
পিরিয়ড পেছানোর ওষুধ খাওয়া সম্পূর্ণ নিরাপদ নাও হতে পারে ৷ এই ওষুধ খাওয়ার আগে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করা প্রয়োজন । যাইহোক এই বড়িগুলি এমন পরিস্থিতিতে সত্যিই সহায়ক হতে পারে ৷ যেখানে ভ্রমণের জরুরি প্রয়োজন আছে বা কেউ বিবাহকে পুরোপুরি উপভোগ করতে চায় এবং সম্পূর্ণরূপে পিরিয়ডের অস্বস্তি এড়াতে চায় । তবে এখানে লক্ষণীয় যে এই ওষুধগুলি বারবার ব্যবহার করার ফলে শরীরে হরমোনের পরিবর্তন হতে পারে, যা মাসিক চক্রে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে ।
এছাড়াও পিলের সঙ্গে সম্পর্কিত কিছু প্রতিকূল প্রভাব রয়েছে ৷ এটি নিশ্চিত নয় যে, প্রত্যেক মহিলা একই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া অনুভব করবেন । এই ওষুধগুলি অনিয়ন্ত্রিত অনিয়মিত যোনিপথের রক্তপাত, অনিয়ন্ত্রিত স্তন পিণ্ড, স্তন ক্যানসার, পা বা ফুসফুসে বা মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বাঁধা ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে ৷
আরও পড়ুন: মেনোপজের কারণে হাড়ের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে এই টিপসগুলি অনুসরণ করুন
(পরামর্শগুলি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের উদ্দেশ্যে এবং পেশাদার চিকিৎসা পরামর্শ হিসাবে নেওয়া উচিত নয় । আপনার কোনও প্রশ্ন থাকলে সর্বদা আপনার ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন)।