ETV Bharat / sukhibhava

Insomnia Affects Eye Health : চোখের গুরুতর রোগের কারণ হতে পারে অনিদ্রা, দূর করার ছ‘টি উপায় - Insomnia And Eye Health

গুরুতর শারীরিক এবং মানসিক রোগ হয়ে দাঁড়াতে পারে অনিদ্রা ৷ যার জেরে বড় ক্ষতি হতে পারে চোখেরও ৷ দেখে নিন কতকগুলি উপায় (Insomnia And Eye Health) ৷

Insomnia And Eye Health
চোখের গুরুতর রোগের কারণ হতে পারে অনিদ্রা, বাঁচাতে পারে এই কত
author img

By

Published : May 2, 2022, 4:35 PM IST

হায়দরাবাদ: পরিমিত ঘুমের অভাব বা অনিদ্রা একটি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা ৷ অনিদ্রা একজন ব্যক্তির মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে ৷ নানারকম চোখের সমস্য়া যেমন ড্রাই আইস, চুলকানি তো বটেই এছাড়া দীর্ঘমেয়াদি চোখের রোগেরও কারণ হতে পারে এই অনিদ্রা (Insomnia And Eye Health) ৷ কর্নিয়া হল চোখকে ঢেকে রাখা একটি স্বচ্ছ টিস্যু স্তর এবং চোখের সুস্থতার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে ৷ স্টেম সেল কর্নিয়ার রক্ষণাবেক্ষণ করে, যা মৃত কোষগুলিকে প্রতিস্থাপন করতে এবং ছোট আঘাতগুলি মেরামত করে ।

নতুন কর্নিয়াল কোষের পর্যাপ্ত উৎপাদন নিশ্চিত করার জন্য কর্নিয়াল স্টেম সেলের কার্যকলাপকে সুনির্দিষ্টভাবে টিউন করা দরকার ৷ কর্নিয়াল স্টেম সেল ক্ষতিগ্রস্থ হলে চোখের রোগ এবং দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতার সম্ভবনা বেড়ে যায় ৷ সম্প্রতি প্রকাশিত একটি গবেষণায়, গবেষক ওয়েই লি, জুগউ লিউ, চিনের জিয়ামেন ইউনিভার্সিটি এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের সহকর্মীরা মূল্যায়ন করে দেখেছেন, অনিদ্রা কর্নিয়ার স্টেম কোষকে প্রভাবিত করে ৷ ইঁদুরদের নিয়ে এই বিষয়ে একটি গবেষণা চালিয়েছিলেন গবেষকরা ৷ তাতেই দেখা গিয়েছে ঠিক কীভাবে অনিদ্রা চোখের এই স্টেম কোষকে প্রভাবিত করে ৷

ইদুঁরদের ওপর পরীক্ষা করে গবেষকরা দেখেছেন স্বল্পমেয়াদী অনিদ্রা কর্নিয়ায় স্টেম কোষের সংখ্যা বৃদ্ধির হার বাড়িয়ে দেয়। একইসঙ্গে টিয়ার ফিল্মের গঠনকেও পরিবর্তিত করে দেয় পরিমিত ঘুমের অভাব ৷ যেসব ইঁদুরদের ঘুমাতে দেওয়া হয়নি দেখা গিয়েছে তাদের টিয়ার ফিল্মে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট কমে গিয়েছে ৷ গবেষকরা এও দেখেছেন যে টিয়ার ফিল্মের গঠন কর্নিয়াল স্টেম সেলের কার্যকলাপের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে ৷

গবেষণার ফলাফল আরও বলছে,দীর্ঘমেয়াদী অনিদ্রা কর্নিয়ার স্বাস্থ্যের উপরও গুরুতর প্রভাব ফেলে ৷ যেমন কর্নিয়ার পাতলা হয়ে যাওয়া, রফলিং এবং স্বচ্ছতা হারানোর সমস্য়া দেখা দেয় । শুধু তাই নয় অনিদ্রা পরবর্তীতে দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতারও কারণ হতে পারে ৷

ছ'টি খাবার কিন্তু অনিদ্রা দূর করতে ভীষণ উপকারী হতে পারে :

  1. গরম দুধ : দুধে ক্যালসিয়াম, মেলাটোনিন, ভিটামিন ডি এবং ট্রিপটোফ্যান রয়েছে । যা ঘুমোতে সাহায্য করে ৷ তাই আগেকার দিনে মা-ঠাকুমারাও শোওয়ার আগে এক গ্লাস গরম দুধ খাওয়ার নিদান দিতেন ৷
  2. বাদাম : সমস্ত বাদামেই বিভিন্ন পরিমাণে মেলাটোনিন, ম্যাগনেসিয়াম, ট্রিপটোফ্যান ইত্যাদি খনিজ পদার্থ থাকে । গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, এই সংমিশ্রণ অনিদ্রা মোকাবিলায় সহায়তা করে ।
  3. ক্যামোমাইল চা: ক্যামোমাইল চা স্ট্রেস এবং উদ্বেগ দূর করতে সাহায্য় করে বলে মনে করা হয় ৷ ফলস্বরূপ আরও ভাল এবং দ্রুত ঘুমোনো সহজ হয় । এতে ফ্ল্যাভোনয়েড, অ্যাপিজেনিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা অনিদ্রা দূর করার ক্ষেত্রে উপকারি বন্ধু হিসাবে পরিচিত ।
  4. কিউই: ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল কিউইতে ক্যালোরি কম এবং পুষ্টিগুণ বেশি । এগুলিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, মেলাটোনিন, ফোলেট, ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদি রয়েছে, যা ঘুমে সাহায্য করে।
  5. টার্কি: টার্কি খাওয়ার পরে মানুষ রাতে সুন্দর ঘুম উপভোগ করে এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই । টার্কি প্রোটিনের পাশাপাশি ট্রিপটোফেন সমৃদ্ধ, যা ক্লান্তি বাড়ায় এবং ফলস্বরূপ আপনাকে আরও ভাল ঘুমাতে সহায়তা করে ।
  6. চর্বিযুক্ত মাছ: ভিটামিন ডি এবং ওমেগা -3 ফ্যাটি অ্যাসিডের একটি ভাল উৎস হওয়ায় স্যামন, টুনা, ম্যাকেরেল ইত্যাদি ফ্যাটি মাছ সেরোটোনিন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে । এটি ঘুমের মান এবং ঘুম চক্রের উন্নতিতেও সাহায্য করে ।

আরও পড়ুন : জানেন কি নাচই হতে পারে জিমের বড় বিকল্প ?

হায়দরাবাদ: পরিমিত ঘুমের অভাব বা অনিদ্রা একটি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা ৷ অনিদ্রা একজন ব্যক্তির মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে ৷ নানারকম চোখের সমস্য়া যেমন ড্রাই আইস, চুলকানি তো বটেই এছাড়া দীর্ঘমেয়াদি চোখের রোগেরও কারণ হতে পারে এই অনিদ্রা (Insomnia And Eye Health) ৷ কর্নিয়া হল চোখকে ঢেকে রাখা একটি স্বচ্ছ টিস্যু স্তর এবং চোখের সুস্থতার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে ৷ স্টেম সেল কর্নিয়ার রক্ষণাবেক্ষণ করে, যা মৃত কোষগুলিকে প্রতিস্থাপন করতে এবং ছোট আঘাতগুলি মেরামত করে ।

নতুন কর্নিয়াল কোষের পর্যাপ্ত উৎপাদন নিশ্চিত করার জন্য কর্নিয়াল স্টেম সেলের কার্যকলাপকে সুনির্দিষ্টভাবে টিউন করা দরকার ৷ কর্নিয়াল স্টেম সেল ক্ষতিগ্রস্থ হলে চোখের রোগ এবং দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতার সম্ভবনা বেড়ে যায় ৷ সম্প্রতি প্রকাশিত একটি গবেষণায়, গবেষক ওয়েই লি, জুগউ লিউ, চিনের জিয়ামেন ইউনিভার্সিটি এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের সহকর্মীরা মূল্যায়ন করে দেখেছেন, অনিদ্রা কর্নিয়ার স্টেম কোষকে প্রভাবিত করে ৷ ইঁদুরদের নিয়ে এই বিষয়ে একটি গবেষণা চালিয়েছিলেন গবেষকরা ৷ তাতেই দেখা গিয়েছে ঠিক কীভাবে অনিদ্রা চোখের এই স্টেম কোষকে প্রভাবিত করে ৷

ইদুঁরদের ওপর পরীক্ষা করে গবেষকরা দেখেছেন স্বল্পমেয়াদী অনিদ্রা কর্নিয়ায় স্টেম কোষের সংখ্যা বৃদ্ধির হার বাড়িয়ে দেয়। একইসঙ্গে টিয়ার ফিল্মের গঠনকেও পরিবর্তিত করে দেয় পরিমিত ঘুমের অভাব ৷ যেসব ইঁদুরদের ঘুমাতে দেওয়া হয়নি দেখা গিয়েছে তাদের টিয়ার ফিল্মে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট কমে গিয়েছে ৷ গবেষকরা এও দেখেছেন যে টিয়ার ফিল্মের গঠন কর্নিয়াল স্টেম সেলের কার্যকলাপের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে ৷

গবেষণার ফলাফল আরও বলছে,দীর্ঘমেয়াদী অনিদ্রা কর্নিয়ার স্বাস্থ্যের উপরও গুরুতর প্রভাব ফেলে ৷ যেমন কর্নিয়ার পাতলা হয়ে যাওয়া, রফলিং এবং স্বচ্ছতা হারানোর সমস্য়া দেখা দেয় । শুধু তাই নয় অনিদ্রা পরবর্তীতে দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতারও কারণ হতে পারে ৷

ছ'টি খাবার কিন্তু অনিদ্রা দূর করতে ভীষণ উপকারী হতে পারে :

  1. গরম দুধ : দুধে ক্যালসিয়াম, মেলাটোনিন, ভিটামিন ডি এবং ট্রিপটোফ্যান রয়েছে । যা ঘুমোতে সাহায্য করে ৷ তাই আগেকার দিনে মা-ঠাকুমারাও শোওয়ার আগে এক গ্লাস গরম দুধ খাওয়ার নিদান দিতেন ৷
  2. বাদাম : সমস্ত বাদামেই বিভিন্ন পরিমাণে মেলাটোনিন, ম্যাগনেসিয়াম, ট্রিপটোফ্যান ইত্যাদি খনিজ পদার্থ থাকে । গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, এই সংমিশ্রণ অনিদ্রা মোকাবিলায় সহায়তা করে ।
  3. ক্যামোমাইল চা: ক্যামোমাইল চা স্ট্রেস এবং উদ্বেগ দূর করতে সাহায্য় করে বলে মনে করা হয় ৷ ফলস্বরূপ আরও ভাল এবং দ্রুত ঘুমোনো সহজ হয় । এতে ফ্ল্যাভোনয়েড, অ্যাপিজেনিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা অনিদ্রা দূর করার ক্ষেত্রে উপকারি বন্ধু হিসাবে পরিচিত ।
  4. কিউই: ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল কিউইতে ক্যালোরি কম এবং পুষ্টিগুণ বেশি । এগুলিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, মেলাটোনিন, ফোলেট, ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদি রয়েছে, যা ঘুমে সাহায্য করে।
  5. টার্কি: টার্কি খাওয়ার পরে মানুষ রাতে সুন্দর ঘুম উপভোগ করে এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই । টার্কি প্রোটিনের পাশাপাশি ট্রিপটোফেন সমৃদ্ধ, যা ক্লান্তি বাড়ায় এবং ফলস্বরূপ আপনাকে আরও ভাল ঘুমাতে সহায়তা করে ।
  6. চর্বিযুক্ত মাছ: ভিটামিন ডি এবং ওমেগা -3 ফ্যাটি অ্যাসিডের একটি ভাল উৎস হওয়ায় স্যামন, টুনা, ম্যাকেরেল ইত্যাদি ফ্যাটি মাছ সেরোটোনিন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে । এটি ঘুমের মান এবং ঘুম চক্রের উন্নতিতেও সাহায্য করে ।

আরও পড়ুন : জানেন কি নাচই হতে পারে জিমের বড় বিকল্প ?

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.