হায়দরাবাদ : কারি পাতা শুধু যে তরকারির স্বাদই বহুগুণ বাড়িয়ে দেয় সেই সঙ্গে এটি স্বাস্থ্য়গুণেও ভরপুর ৷ সাধারণ দক্ষিণ ভারতীয় রান্নায় এটি বেশি ব্যবহৃত হয় ঠিকই তবে মহারাষ্ট্র বা গুজরাতের মত রাজ্যগুলিতেও কিন্তু নানা খাবারে কারি পাতা ব্যবহার করা হয় ৷ আয়ুর্বেদ অনুযায়ীও এর নানান পুষ্টিগুণ রয়েছে ৷ আসুন দেখে নেওয়া যাক কারি পাতার গুণাবলী (Health Benefits of Curry Leaves ) ৷
কারি পাতার পুষ্টিগুণ :
কারি পাতায় প্রচুর পরিমাণে আয়রন, ফসফরাস, ভিটামিন A, ভিটামিন B2, B6, B12, ক্যালসিয়াম, আয়রন, জিঙ্ক এবং ভ্যানডিয়াম পাওয়া যায় ৷ ন্যাশনাল সেন্টার অফ বায়োটেকনোলজি ইনফরমেশন-এর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি গবেষণা অনুযায়ী কারি পাতায় রয়েছে ডাইক্লোরোমেথেন, ইথাইল অ্যাসিটেট এবং মহানিম্বিনও ৷ এছাড়া এর অ্যান্টিঅক্সিডেটিভ, অ্যান্টি-অ্যানিমিয়া এবং অ্যান্টি-ডায়াবেটিক বৈশিষ্টও রয়েছে ৷
কারি পাতার উপকারী বৈশিষ্ট :
- পুষ্টিবিদ মীনাক্ষী গৌড়ার মতে কারিপাতা শুধু আভ্যন্তরীণ প্রয়োগের জন্যই ব্যবহৃত হয় তা নয় এর কিছু বাহ্যিক প্রয়োগও রয়েছে ৷
- শরীরে রক্তের অভাব হলে কারি পাতা আপনার উপকারী বন্ধু হতে পারে ৷ আয়রন তো বটেই এতে প্রচুর খনিজ উপাদান রয়েছে যা রক্তের পরিমাণ বাড়াতে কাজে লাগে ৷
- কারি পাতার মধ্যে হাইপোগ্লাইসেমিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা শরীরে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। তাই ডায়াবেটিক রোগীদের জন্যও কারিপাতা উপকারী ৷
- ডঃ মীনাক্ষীর মতে, কারিপাতায় হেপাটোপ্রোটেকটিভ বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা লিভার ভাল রাখতে কাজে দেয় ৷ এছাড়া হেপাটাইটিস এবং সিরোসিসের মত রোগের সংক্রমণের সম্ভবনাও কমিয়ে দেয় ৷
- কারিপাতা কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকিও অনেক কমিয়ে দেয় ৷
- আয়ুর্বেদিক মতে কারিপাতার তেলেরও মারাত্মক স্বাস্থ্য গুণ রয়েছে ৷ শুধু তাই নয় গর্ভাবস্থার প্রাথমিক পর্যায়ে এটি বমি বমি ভাব কমানোর ক্ষেত্রেও ভীষণ ভালো কাজ করে ৷
- এছাড়া এর মধ্যে বেশ কিছু অ্যান্টি ফাঙ্গাল এবং অ্যান্টিবায়োটিক বৈশিষ্ট রয়েছে যা বিভিন্ন সংক্রমণ থেকে আমাদের রক্ষা করে ৷
- চুলের জন্য হেয়ার প্য়াক এবং তেল আকারে কারি পাতার ব্যবহারও ভীষণ উপকারী ৷ এটি উকুনের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে ৷
- প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকার কারণের এটি ত্বকের জন্যও খুবই ভাল ৷ এখন অনেক ক্রিম এবং ফেসওয়াশেও কারিপাতার নির্যাস ব্যবহার করা হয় ৷
