ETV Bharat / sukhibhava

হৃদযন্ত্রের যত্ন, স্বাস্থ্যের পথে প্রথম ধাপ - স্বাস্থ্যের পথে প্রথম ধাপ

স্বাস্থ্য নিয়ে যখন কথা বলা হয়, হৃদযন্ত্রের কথাটাই প্রায়শই উপেক্ষিত থেকে যায় । তার কারণ এই নয় যে মানুষ হৃদযন্ত্রকে গুরুত্ব দেন না, কিন্তু একমাত্র সমস্যা দেখা দিলেই সেদিকে নজর দেওয়া হয় । যদি কারও বেশি কলেস্টেরেল বা কোনও গুরুতর অসুস্থতা থাকে, তখনই একমাত্র তা নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপ করা হয় ।

heart-care-first-step-towards-health
heart-care-first-step-towards-health
author img

By

Published : Apr 9, 2021, 2:44 PM IST

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, হৃদরোগ গত 20 বছর ধরে অসুস্থতায় বিশ্বজুড়ে মৃত্যুর অন্যতম কারণ । এই দৌড়ে এগিয়ে ভারত । সাম্প্রতিক গবেষণা রিপোর্ট বলছে, কার্ডিওভাস্কুলার অসুখে মৃত্যুর ঘটনা 1990 সালে 2.26 মিলিয়ন থেকে 2020 সালে 4.77 মিলিয়নে পৌঁছেছে ।

লীলাবতী হাসপাতালের কনসালটেন্ট শশাঙ্ক যোশী বলেন, “নন-কমিউনিকেবল ডিজ়িজ়, বিশেষ করে হৃদরোগ হচ্ছে প্রাণঘাতী এবং হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য এবং জীবনযাত্রায় পরিবর্তন করার ব্যাপারে আমাদের সক্রিয় হতে হবে।” তাই বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসে এ নিয়ে আলোচনা করাটা আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ।

স্বাস্থ্য নিয়ে যখন কথা বলা হয়, হৃদযন্ত্রের কথাটাই প্রায়শই উপেক্ষিত থেকে যায় । তার কারণ এই নয় যে মানুষ হৃদযন্ত্রকে গুরুত্ব দেন না, কিন্তু একমাত্র সমস্যা দেখা দিলেই সেদিকে নজর দেওয়া হয় । যদি কারও বেশি কলেস্টেরেল বা কোনও গুরুতর অসুস্থতা থাকে, তখনই একমাত্র তা নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপ করা হয় । কিন্তু আপনি কি জানেন যে জীবনযাত্রায় সামান্য বদল আনলেই হৃদরোগের ঝুঁকিটা অনেকখানি কমিয়ে আনা যায় ?

এটা সবাই জানেন যে অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার নানাধরণের অসুস্থতা ডেকে নিয়ে আসে । বিভিন্ন হৃদরোগের ক্ষেত্রেও এটা সত্যি । আমাদের দ্রুতগতির জীবনযাত্রা আমাদের অস্বাস্থ্যকর নানা বিষয় বেছে নিতে বাধ্য করে ৷ আমরা বুঝতেও পারি না যে তার দীর্ঘমেয়াদী কী প্রভাব পড়তে চলেছে । দ্রুতগতির জীবনযাত্রা, খাবার স্কিপ করা হৃদযন্ত্রের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে । এগুলো অনেকেই জানেন, কিন্তু কয়েকটি বিষয় আরও রয়েছে, যেগুলো অনেকেরই ভালোভাবে জানা নেই, অথচ তারা হৃদপিণ্ডের ক্ষতি করতে পারে । এর মধ্যে একটি হল কম ঘুমোনো ।

আরও পড়ুন: পূর্ব ভারতে প্রথম কৃত্রিম হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপন কলকাতায়

স্যাফোলালাইফের করা একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, বড় শহরগুলোর 63 শতাংশ মানুষ, যাঁরা কম ঘুমোন, তাঁদের হৃদরোগের ঝুঁকি রয়েছে । একই সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, 65 শতাংশ মানুষ যাঁরা স্ট্রেসে আক্রান্ত, তাঁদেরও ঝুঁকি থেকে যাচ্ছে । উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, যাঁরা স্ট্রেসের জন্য ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন, তাঁদের 58 শতাংশ স্ট্রেসকে ঝুঁকি বলে মনেই করেন না। হৃদযন্ত্রের সুস্বাস্থ্যের পথে এই অসচেতনতা বিরাট বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।

চিকিৎসকের কথায়, “হৃদপিণ্ড সংক্রান্ত সমস্যা কোনও একটি লিঙ্গের মানুষের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় । জীবন যাত্রার কারণে নারী-পুরুষ উভয়েই অত্যন্ত ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন । কিন্তু ছোটো ছোটো পরিবর্তন এই অবস্থার বদল ঘটাতে পারে । খাবার হল একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় । নিশ্চিত করুন যাতে খাবারে বেশি করে সব্জি ও ফাইবার থাকে । ভালো তেল ব্যবহার করা উচিত । এবং দেখা উচিত যাতে ঠিক সময়ে খাওয়া-দাওয়া করা হয় ।”

তাঁর পরামর্শ, সপ্তাহে অন্তত চারদিন 45 মিনিট করে ব্যায়াম করা উচিত । পর্যাপ্ত ঘুমোতে হবে । প্রতিদিন রাতে 7 থেকে সাড়ে 7 ঘণ্টা ঘুমোনো জরুরি ।

“স্ট্রেসকে সামাল শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যে গুরুত্ব দেওয়া জরুরি । মেডিটেশন এবং স্ট্রেসমুক্তির জন্য সময় দিলে আপনার হৃদযন্ত্রের পাশাপাশি সার্বিকভাবে স্বাস্থ্যের উন্নতি হতে পারে । এবং অবশ্যই নিয়মিত চেকআপ করিয়ে আপনি আপনার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারবেন ।”

তিনি যোগ করেন, “যখন আমরা প্রযুক্তিগতভাবে আরও উন্নত সমাজের দিকে এগোচ্ছি, তখন জীবন আরও স্ট্রেসযুক্ত হচ্ছে । এই প্রেক্ষিতে আমাদের স্বাস্থ্য নিয়ে আরও যত্নশীল হতে হবে । তাই এই বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসে আপনার ও আপনার পরিবারের হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য নিরাপদ করার জন্য শপথ নিন ।”

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, হৃদরোগ গত 20 বছর ধরে অসুস্থতায় বিশ্বজুড়ে মৃত্যুর অন্যতম কারণ । এই দৌড়ে এগিয়ে ভারত । সাম্প্রতিক গবেষণা রিপোর্ট বলছে, কার্ডিওভাস্কুলার অসুখে মৃত্যুর ঘটনা 1990 সালে 2.26 মিলিয়ন থেকে 2020 সালে 4.77 মিলিয়নে পৌঁছেছে ।

লীলাবতী হাসপাতালের কনসালটেন্ট শশাঙ্ক যোশী বলেন, “নন-কমিউনিকেবল ডিজ়িজ়, বিশেষ করে হৃদরোগ হচ্ছে প্রাণঘাতী এবং হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য এবং জীবনযাত্রায় পরিবর্তন করার ব্যাপারে আমাদের সক্রিয় হতে হবে।” তাই বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসে এ নিয়ে আলোচনা করাটা আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ।

স্বাস্থ্য নিয়ে যখন কথা বলা হয়, হৃদযন্ত্রের কথাটাই প্রায়শই উপেক্ষিত থেকে যায় । তার কারণ এই নয় যে মানুষ হৃদযন্ত্রকে গুরুত্ব দেন না, কিন্তু একমাত্র সমস্যা দেখা দিলেই সেদিকে নজর দেওয়া হয় । যদি কারও বেশি কলেস্টেরেল বা কোনও গুরুতর অসুস্থতা থাকে, তখনই একমাত্র তা নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপ করা হয় । কিন্তু আপনি কি জানেন যে জীবনযাত্রায় সামান্য বদল আনলেই হৃদরোগের ঝুঁকিটা অনেকখানি কমিয়ে আনা যায় ?

এটা সবাই জানেন যে অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার নানাধরণের অসুস্থতা ডেকে নিয়ে আসে । বিভিন্ন হৃদরোগের ক্ষেত্রেও এটা সত্যি । আমাদের দ্রুতগতির জীবনযাত্রা আমাদের অস্বাস্থ্যকর নানা বিষয় বেছে নিতে বাধ্য করে ৷ আমরা বুঝতেও পারি না যে তার দীর্ঘমেয়াদী কী প্রভাব পড়তে চলেছে । দ্রুতগতির জীবনযাত্রা, খাবার স্কিপ করা হৃদযন্ত্রের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে । এগুলো অনেকেই জানেন, কিন্তু কয়েকটি বিষয় আরও রয়েছে, যেগুলো অনেকেরই ভালোভাবে জানা নেই, অথচ তারা হৃদপিণ্ডের ক্ষতি করতে পারে । এর মধ্যে একটি হল কম ঘুমোনো ।

আরও পড়ুন: পূর্ব ভারতে প্রথম কৃত্রিম হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপন কলকাতায়

স্যাফোলালাইফের করা একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, বড় শহরগুলোর 63 শতাংশ মানুষ, যাঁরা কম ঘুমোন, তাঁদের হৃদরোগের ঝুঁকি রয়েছে । একই সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, 65 শতাংশ মানুষ যাঁরা স্ট্রেসে আক্রান্ত, তাঁদেরও ঝুঁকি থেকে যাচ্ছে । উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, যাঁরা স্ট্রেসের জন্য ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন, তাঁদের 58 শতাংশ স্ট্রেসকে ঝুঁকি বলে মনেই করেন না। হৃদযন্ত্রের সুস্বাস্থ্যের পথে এই অসচেতনতা বিরাট বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।

চিকিৎসকের কথায়, “হৃদপিণ্ড সংক্রান্ত সমস্যা কোনও একটি লিঙ্গের মানুষের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় । জীবন যাত্রার কারণে নারী-পুরুষ উভয়েই অত্যন্ত ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন । কিন্তু ছোটো ছোটো পরিবর্তন এই অবস্থার বদল ঘটাতে পারে । খাবার হল একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় । নিশ্চিত করুন যাতে খাবারে বেশি করে সব্জি ও ফাইবার থাকে । ভালো তেল ব্যবহার করা উচিত । এবং দেখা উচিত যাতে ঠিক সময়ে খাওয়া-দাওয়া করা হয় ।”

তাঁর পরামর্শ, সপ্তাহে অন্তত চারদিন 45 মিনিট করে ব্যায়াম করা উচিত । পর্যাপ্ত ঘুমোতে হবে । প্রতিদিন রাতে 7 থেকে সাড়ে 7 ঘণ্টা ঘুমোনো জরুরি ।

“স্ট্রেসকে সামাল শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যে গুরুত্ব দেওয়া জরুরি । মেডিটেশন এবং স্ট্রেসমুক্তির জন্য সময় দিলে আপনার হৃদযন্ত্রের পাশাপাশি সার্বিকভাবে স্বাস্থ্যের উন্নতি হতে পারে । এবং অবশ্যই নিয়মিত চেকআপ করিয়ে আপনি আপনার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারবেন ।”

তিনি যোগ করেন, “যখন আমরা প্রযুক্তিগতভাবে আরও উন্নত সমাজের দিকে এগোচ্ছি, তখন জীবন আরও স্ট্রেসযুক্ত হচ্ছে । এই প্রেক্ষিতে আমাদের স্বাস্থ্য নিয়ে আরও যত্নশীল হতে হবে । তাই এই বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসে আপনার ও আপনার পরিবারের হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য নিরাপদ করার জন্য শপথ নিন ।”

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.