হায়দরাবাদ: জাম খুবই সুস্বাদু একটি ফল । এটি স্বাদের পাশাপাশি স্বাস্থ্যেও ভরপুর । এটি অনেক রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে । ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ফাইবার, ফসফরাসের মতো পুষ্টি উপাদান এতে পাওয়া যায় । এর ব্যবহারে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয় যাতে আপনি অনেক রোগ এড়াতে পারেন । আয়ুর্বেদ অনুসারে, জামের পাতা, খোসায় এমন অনেক গুণ পাওয়া যায় যার কারণে অনেক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যা দূর করা যায় । তাহলে জেনে নিন, জাম খাওয়ার উপকারিতা কী কী ।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী: জাম এমন একটি ফল যা ডায়াবেটিস রোগীরা সহজেই খেতে পারেন । এর বীজে জাম্বোলানা নামে একটি উপাদান পাওয়া যায় যা চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক । এই ফলের গ্লাইসেমিক ইনডেক্সও কম ।
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে: উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য জাম খুবই উপকারী । এটি খেলে রক্তচাপের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে । এতে প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম পাওয়া যায় যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক ।
ওজন কমাতে সাহায্য করে: জাম ফাইবার সমৃদ্ধ এবং ক্যালোরি কম । এটি পেট ভরা রাখতে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে । উপরন্তু এটি হজম উন্নত করে । যদি ওজন কমাতে চান, তাহলে অবশ্যই ডায়েটে বেরি অন্তর্ভুক্ত করুন ।
উজ্জ্বল ত্বকের জন্য: জাম ভিটামিনের পাওয়ার হাউস । এতে ভিটামিন-এ, আয়রন এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায় । যা অকাল বার্ধক্যের লক্ষণ রোধ করে । চোখের স্বাস্থ্যের জন্যও এটি খুবই উপকারী । এছাড়াও জামে রয়েছে অ্যাস্ট্রিঞ্জেন্ট বৈশিষ্ট্য যা ত্বককে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে । এটি আপনাকে অবাঞ্ছিত ব্রণ, বলি, দাগ থেকে রক্ষা করতে পারে । এতে উপস্থিত ভিটামিন সি ত্বককে কোমল রাখতে সাহায্য করে ।
হিমোগ্লোবিন বাড়ায়: জাম ভিটামিন-সি এবং আয়রন সমৃদ্ধ । এই পুষ্টি উপাদানগুলি শরীরে হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সাহায্য করে । হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়িয়ে আপনি ফিট থাকবেন । এতে উপস্থিত আয়রন রক্তকেও পরিষ্কার রাখে ।
মাড়ি সুস্থ রাখে: মাড়ি থেকে রক্ত পড়ার সমস্যা থাকলে জাম এবং এর পাতা চুষলে এই সমস্যা কমে যায় । জাম পাতায় অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণ রয়েছে যা এই সমস্যা কমাতে পারে ।
আরও পড়ুন: 30 বছর বয়সের পর মহিলাদের ক্যালসিয়ামের ঘাটতি শুরু হয়, কাজে আসবে এই খাবারগুলি
(পরামর্শগুলি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের ভিত্তিতে ৷ আপনার কোনও প্রশ্ন থাকলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন)