হায়দরাবাদ: সন্তানের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে গর্ভবতী মায়ের বিভিন্ন ধরনের পুষ্টির প্রয়োজন । নবজাতককে সঠিক পুষ্টি প্রদান করা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ ৷ কারণ জন্ম থেকেই সঠিক যত্ন ভবিষ্যতে অনেক শারীরিক সমস্যা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে ৷ তাই, গর্ভাবস্থার পর থেকে মহিলাদেরও উচিত নিজেদের স্বাস্থ্যের সম্পূর্ণ যত্ন নেওয়া । একজন গর্ভবতী মহিলার পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, চর্বি এবং ফাইবার জাতীয় পুষ্টি গ্রহণ করা প্রয়োজন (Health Tips For Pregnant Women)।
এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন-এ, যা গর্ভবতী মহিলা এবং আগত শিশুর সুস্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ । গর্ভাবস্থায় ভিটামিন এ শিশুর অঙ্গ, চোখ, হাড় এবং কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের বিকাশের জন্য অপরিহার্য ।
গর্ভাবস্থায় ভিটামিন-এ এর প্রয়োজনীয়তা: ভিটামিন-এ হল একটি চর্বি-দ্রবণীয় ভিটামিন, যা লিভারে জমা থাকে । এটি নবজাতকের বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয় ৷ যার মধ্যে হার্ট, ফুসফুস, কিডনি, চোখ এবং হাড়ের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের বিকাশ অন্তর্ভুক্ত । ভিটামিন-এ বিশেষত গর্ভবতী মায়েদের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি প্রসবের পরে টিস্যু পুনর্গঠনে সাহায্য করে ৷ এছাড়াও দৃষ্টিশক্তি স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে, সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে, অনাক্রম্যতা বাড়ায় এবং চর্বি বিপাকে সাহায্য করে ।
আপনি কি খুব বেশি ভিটামিন-এ খেতে পারেন: তবে গর্ভাবস্থায় খুব বেশি ভিটামিন-এ না নেওয়াই ভালো ৷ কারণ এটি প্রসবের ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করতে পারে এবং লিভারের বিষাক্ততার কারণ হতে পারে । তাই কেবল পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন-এ গ্রহণ করা প্রয়োজন । সব ক্ষেত্রে ভারসাম্য বজায় রাখা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ । একটা কথা হবু মা ও তাঁর পরিবারের সবাইকেই মনে রাখতে হবে যে, একজন গর্ভবতী মহিলার দু'জনের জন্য খাওয়ার অনুভূতি এড়ানো উচিত ।
আরও পড়ুন: শীতকালে মাথাব্যথার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে এগুলি ব্যবহার করে দেখুন
কোন খাবার থেকে ভিটামিন-এ পাওয়া যায়: বিটা-ক্যারোটিন সমৃদ্ধ ফল ও শাকসবজি হল ভিটামিন-এ-র উৎকৃষ্ট উৎস । মূলো, পালং শাক, গাজর, ভ্যানিলা আইসক্রিম, পনির, তরমুজ, আম, ডিম, মাংস, দুধ ও মাছে এই ভিটামিন পাওয়া যায় । এটি বেশিরভাগ ফল এবং সবজিতেও পাওয়া যায় ।