হায়দরাবাদ: ক্ষারীয় খাবার শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী ৷ এই ক্ষারীয় খাবারে মাছ মাংস কম থাকে ৷ আর তাই সবুজ শাক-সবজি বেশি করে খেতে বলা হয় ৷ এই ক্ষারীয় খাবার অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি দেয় ৷ শরীরে অ্যাসিডের মাত্রার ভারসাম্য রাখতে সহায়তা করে এই ক্ষারীয় খাবার । একইসঙ্গে এই খাবারগুলি পেট ঠাণ্ডা রাখে । হজমের সময় পাকস্থলী থেকে প্রচুর গ্যাসট্রিক অ্যাসিড নিঃসৃত হয় । তাই ক্ষারযুক্ত খাবার পরিপাকতন্ত্রকে শিথিল করে । ভারতীয় খাবারগুলি ঐতিহ্যগতভাবে ক্ষারীয় প্রকৃতির, যা একটি নিখুঁত ভারসাম্য তৈরি করে । জেনে নিন কোন কোন খাবারগুলি ক্ষারীয়যুক্ত ? যেগুলি প্রতিদিনের খাদ্যতালিকাতে থাকা জরুরী (Health tips) ৷
সবুজ শাক সবজি: ক্ষরের আসল উৎস হল সবুজ শাকসবজি ৷ তাই সবুজ শাকসবজি নিয়মিত বেশি করে খেতে হবে ৷ এতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে ৷
মিষ্টি আলু: মিষ্টি আলু ক্ষারের সমৃদ্ধ উৎস । এগুলি প্রকৃতিতে হালকা অ্যাসিডিক এবং অত্যন্ত ক্ষারীয় । তাই প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে । শুধু তাই নয়, এটা এটি দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ নিরাময়েও সাহায্য করে ।
ফুলকপি: অনেকের কাছে আশ্চর্য মনে হলেও ফুলকপি মূলত ক্ষারীয় প্রকৃতির খাবার । এটা শরীরের ক্ষারীয় পিএইচের ভারসাম্য রক্ষা করে । শুধু তাই নয়, ফুলকপির উচ্চ ক্ষারীয় বৈশিষ্ট ক্যানসারের ঝুঁকিও কমায় । সামনেই শীত তাই বেশি করে ফুলকপি খান ৷
ব্রাউন রাইস: ব্রাউন রাইসের আঁশযুক্ত উপাদান বুকজ্বালা কমাতে সাহায্য করে । সাদা চালের তুলনায় ব্রাউন রাইস কম অ্যাসিডিক এবং একইভাবে অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি দেয় । এর ক্ষারীয় প্রকৃতি ছাড়াও ব্রাউন রাইসে নিজেই স্বাস্থ্যকর । তাই ইদানীং সাদা চালের পরিবর্তে ব্রাউন রাইসের ভাত খাওয়া ভালো ৷
আরও পড়ুন: শরীরে গড়ে তুলুন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
মাশরুম: মাশরুম প্রকৃতিতে অত্যন্ত ক্ষারীয় । মাশরুম সবজি বা মাশরুম শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী ৷
বাদাম: বাদাম খাওয়ার উপকারীতা অনেক ৷ বাদাম ক্ষারীয় খাবারের অন্যতম উপাদান ৷ তাই রোজ সকালে বাদাম খেতে পারেন ৷