কলকাতা, 16 মে: মশাবাহিত অন্যতম রোগ ডেঙ্গি। যা মারণ রোগও বটে ৷ প্রতিবছর বৃষ্টির মরশুমে ডেঙ্গির প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। প্লেটলেট কমে যাওয়ার ফলে বহু মানুষের মৃত্যু হয় ডেঙ্গিতে। তবে জাতীয় ডেঙ্গি দিবসে সকলকে সুস্থ ও সচেতন থাকার বার্তা দিচ্ছেন সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেবকিশোর গুপ্ত । তাঁর মতে, আগে ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ত বর্ষার পরে। এমনকী বলা হত ডেঙ্গির মশা এডিস, যা কামড়ায় সকালবেলায়। তবে বর্তমানে সেই সব নেই। এখন সারা বছরই ডেঙ্গিতে আক্রান্তের হদিশ মেলে ও রাতের বেলাও ডেঙ্গি মশার প্রকোপ থাকে ।
গত বছরের বর্ষাতেও ডেঙ্গিতে মৃত্যুর সংখ্যাও প্রবল ছিল । অন্যদিকে বর্তমানে কালবৈশাখীরের জেরে ঝড়-বৃষ্টি লেগেই রয়েছে । এরপরে যে জল জমে থাকে রাস্তায় বা বাড়ির আনাচে-কানাচে সেখান থেকেই জন্ম নেয় ডেঙ্গির বাহক মশা । তবে ডেঙ্গিকেও জয় করা সম্ভব ৷ শুধু মানতে হবে চিকিৎসকের পরামর্শ ৷ এমনটাই মনে করছেন চিকিৎসক দেবকিশোর গুপ্ত। তিনি বলেন, "সাধারণ মানুষ অনেকটা বাড়াবাড়ির পর্যায় পৌঁছে যাওয়ার পর চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়। তখন তাঁর প্লেটলেট অনেকটাই কমে গিয়েছে হয়তো। ফলে সেই সময়ে আর কিছু করা সম্ভব হয় না । তাই যদি কেউ দেখে তাঁর জ্বর দু'দিন হলেও কমছে না তখনই চিকিৎসকের পরামর্শ জরুরি ।"
চিকিৎসকের বক্তব্য অনুযায়ী যদি কারও দ্বিতীয়বার ডেঙ্গি হয় তাহলে তার পক্ষে সেটা আরও বেশি ভয়াবহ । ফলে তাঁদেরকে আরও সাবধানে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন ডঃ গুপ্ত। বর্তমানে বিভিন্ন রোগের টিকা বাজারজাত হলেও ডেঙ্গি মোকাবিলার জন্য নেই কোনও ওষুধ। চিকিৎসক জানান, বর্তমানে একটি টিকা এসেছে দেশে। কিন্তু তা ট্রায়ালে রয়েছে। ফলে খুব জটিল হয়ে গেলে তাঁকে সুস্থ করতে হলে সেই পুরোনো পন্থাকেই অবলম্বন করতে হবে। শিশুদের ক্ষেত্রেও এই একই সমস্যা রয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: আজ জাতীয় ডেঙ্গি দিবস ! জেনে নিন রোগের লক্ষণ ও চিকিৎসা পদ্ধতি