কলকাতা, 6 জুন: তীব্র গরমে নাজেহাল উত্তর থেকে দক্ষিণ। প্রবল তাপপ্রবাহের জেরে প্রয়োজন ছাড়া রাস্তায় বেরোতে একাধিকবার বারণ করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও স্কুলের ছুটি বাড়িয়ে দিয়েছেন। তবে কাজের তাগিদে যাঁদেরকে রাস্তায় বেরোচ্ছেন তাঁদের সঙ্গে অবশ্যই রাখতে হবে পানীয়, পরামর্শ চিকিৎসকের। পাশাপাশি আশঙ্কা থাকে হিটস্ট্রোকেরও ৷ এই বিষয়ে বিশেষ ভাবে সাবধান থাকার বার্তা দিয়েছেন চিকিৎসক অরিন্দম বিশ্বাস ৷
তিনি বলেন, "এ সমস্ত ক্ষেত্রে তিনটে ধাপ থাকে। একটা হল প্রচণ্ড ঘাম হওয়া, পেটে ও গা হাত পায়ের পেশিতে প্রবল ব্যথা। এরপর দেখা যায়, বমি বা আচমকাই মাথা ঘুরে যাওয়া। একে বলে হিট একষ্ট্রোশান। সবার শেষ হচ্ছে হিট স্ট্রোক। যদি কারও শরীর প্রচণ্ড গরম হয়ে যায়, গায়ে হাত দিলেই ছ্যাকা লাগে পাশাপাশি খুব অল্প ঘাম হওয়া এবং অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটে, তাহলে এই সবই হিট স্ট্রোকের লক্ষণ।"
তিনি আরও জানিয়েছেন, ঘাম হলে একপ্রকার সুবিধা হয় ৷ ঘাম না হলেই হিট স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সে জন্যই বাংলায় রাজ্যের হিট স্ট্রোকের প্রবণতা কম। চিকিৎসকের কথা অনুযায়ী, যাঁরা রাস্তায় বেরোচ্ছেন শুধু তাঁরাই নন, বাড়িতেও যে সমস্ত মহিলারা দিনের বেশিরভাগ সময়ই রান্নাঘরে সময় কাটান, তাদের ক্ষেত্রেও সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
আরও পড়ুন: গরমে বারবার হজমশক্তি খারাপ হয় ? মুক্তি দেবে এই পানীয়গুলি
তাইএই গরম ও হিট স্ট্রোকের হাত থেকে রেহাই পেতে একমাত্র উপায় পানীয় বলেই জানান চিকিৎসক। খনিজ জাতীয় দ্রব্য জলের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে এই গরম থেকে রেহাই পাওয়া যাবে বলে মত চিকিৎসকের ৷ পাশাপাশি তিনি পরামর্শ দিয়েছেন, যেহেতু তাপপ্রবাহের একটা সতর্কবার্তা রয়েছে তাই ছোটদের ক্ষেত্রে স্কুলে যেতে হলে সেই সময়টা কমিয়ে দেওয়াই শ্রেয় ৷ তিনি মনে করেন, এই সময় যদি অনলাইন ক্লাস আবার চালু করা যায় তাহলেই সব থেকে ভালো হয় শিশুদের ক্ষেত্রে। তার সঙ্গে যে সমস্ত খাওয়ার শরীরকে ঠান্ডা রাখতে পারে সেই খাওয়ারই বর্তমানে সঙ্গে রাখতে হবে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসক। রোদে বেরোলে সঙ্গে রাখা উচিত ছাতা, সানগ্লাস ও জলের বোতল, মত চিকিৎসক অরিন্দম বিশ্বাসের ৷