হায়দরাবাদ: হাই কোলেস্টেরলের সমস্যা আজ সাধারণ হয়ে উঠেছে ৷ যার পিছনে রয়েছে আমাদের অনিয়মিত জীবনধারা । খারাপ জীবনধারার মধ্যে রয়েছে অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, ব্যায়াম না করা, অ্যালকোহল পান এবং ধূমপান, পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া । এই ধরনের জীবন যাপন করে একজন ব্যক্তি একদিন উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টেরলের সঙ্গে ডায়াবেটিসের শিকার হন ।
যদি কোলেস্টেরলের মাত্রা 200 mg/dL এর বেশি হয়, তাহলে এটি বিপজ্জনক বলে বিবেচিত হয় । আপনি যদি হাই কোলেস্টেরলের শিকার হয়ে থাকেন, তবে আপনার কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে ৷ যাতে পরিস্থিতি হাতের বাইরে না যায় । উচ্চ মাত্রার কোলেস্টেরল অনেক গুরুতর রোগের কারণ হয় ৷ তাই এটিকে হালকাভাবে নিতে ভুল করবেন না ।
জেনে নিন এমন ভুলের কথা যা হাই কোলেস্টেরলের অবস্থা খারাপ করে দিতে পারে ।
নিয়মিত চেকআপ না করা: সময়ে সময়ে বডি চেকআপ করিয়ে নিলে অনেক মারাত্মক রোগ এড়াতে পারেন । এর পাশাপাশি রোগেরও সময়মতো চিকিৎসা করা যায় । আপনি যদি উচ্চ কোলেস্টেরলের সঙ্গে লড়াই করে থাকেন, তাহলে লিপিড প্রোফাইল চেক করার জন্য রক্ত পরীক্ষা করানো গুরুত্বপূর্ণ । ওষুধের সঙ্গে জীবনধারা পরিবর্তন করে উচ্চ মাত্রার এলডিএল নিয়ন্ত্রণে আনা যায় ।
দীর্ঘক্ষণ বসে থাকা: দীর্ঘ সময় বসে থাকার অসুবিধাগুলি আমরা সবাই জানি । সবচেয়ে বড় ঝুঁকি হল স্থূলতা ৷ যার কারণে শরীরে রক্তচাপ বেড়ে যায় । দীর্ঘসময় ধরে বসে থাকার ফলে কোমরের চারপাশে ওজন বৃদ্ধির পাশাপাশি অস্বাস্থ্যকর কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায় । এটি শরীরে ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রাও কমায় । আপনার যদি ডেস্ক জব থাকে, তাহলে তা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর প্রমাণিত হতে পারে ।
ব্যায়াম: প্রতিদিন কিছুক্ষণ ব্যায়াম করা কতটা উপকারী তা আমরা সবাই জানি ৷ কিন্তু আমাদের মধ্যে কয়জনেরই ওয়ার্কআউটের সময় আছে ? সাধারণত মানুষ মনে করেন ওষুধ খেলেই কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে আসবে । তবে ওষুধের পাশাপাশি আমাদের শারীরিক পরিশ্রমও বাড়াতে হবে । গবেষণা পরামর্শ দেয় যে সপ্তাহে কমপক্ষে 150 মিনিটের শারীরিক কার্যকলাপ যেমন হাঁটা, সাঁতার কাটা
হাই কোলেস্টেরলের ঝুঁকি কমাতে পারে ।
ধূমপানের ক্ষতিকে উপেক্ষা করা: অনেক গবেষণায় এটি প্রমাণিত হয়েছে যে ধূমপানের সঙ্গে হাই কোলেস্টেরলের সম্পর্ক রয়েছে । গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ধূমপান ত্যাগ করলে ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায় ।
ক্রমবর্ধমান ওজন উপেক্ষা করা: সামান্য ওজন বৃদ্ধি পেলেও তা উপেক্ষা করতে ভুল করবেন না । স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, 4-5 কেজি ওজন বৃদ্ধির ফলে শরীরে 10 মিলিগ্রাম অতিরিক্ত কোলেস্টেরল তৈরি হয়।
এই কারণেই কোলেস্টেরল বৃদ্ধির ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের তাদের ওজনের দিকে নজর রাখা উচিত ।
কীভাবে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করা যায় ?
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণের জন্য ওষুধের পাশাপাশি জীবনধারার পরিবর্তন প্রয়োজন । এছাড়াও একটানা দীর্ঘক্ষণ বসে থাকবেন না ৷ মাঝে বিরতি নিন এবং কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করুন । আপনি যদি কাজের চক্রে ভুলে যান তবে প্রতি 20-30 মিনিটে একটি অ্যালার্ম সেট করুন । যাদের ডেস্ক জব আছে, তারা অবশ্যই কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করবেন ।
আরও পড়ুন: 30 এপ্রিল বিশ্ব টিকাদান সপ্তাহ শুরু, পড়ুন ইতিহাস থেকে তাৎপর্য
(পরামর্শগুলি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের ভিত্তিতে ৷ আপনার কোনও প্রশ্ন থাকলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন)