ETV Bharat / sukhibhava

High Cholesterol: কোলেস্টেরল বেশি হলে এই ভুলগুলি করবেন না ! বাড়তে পারে সমস্যা

শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে বেশ কিছু গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে । সেজন্য নিয়মিত কোলেস্টেরল চেকআপ করাতে হবে। আপনারও যদি সম্প্রতি কোলেস্টেরলের সমস্যা হয়ে থাকে, তাহলে এই ভুল করা থেকে বিরত থাকুন ।

High Cholesterol News
কোলেস্টেরল বেশি হলে এই ভুলগুলি করবেন না
author img

By

Published : Apr 25, 2023, 1:32 PM IST

হায়দরাবাদ: হাই কোলেস্টেরলের সমস্যা আজ সাধারণ হয়ে উঠেছে ৷ যার পিছনে রয়েছে আমাদের অনিয়মিত জীবনধারা । খারাপ জীবনধারার মধ্যে রয়েছে অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, ব্যায়াম না করা, অ্যালকোহল পান এবং ধূমপান, পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া । এই ধরনের জীবন যাপন করে একজন ব্যক্তি একদিন উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টেরলের সঙ্গে ডায়াবেটিসের শিকার হন ।

যদি কোলেস্টেরলের মাত্রা 200 mg/dL এর বেশি হয়, তাহলে এটি বিপজ্জনক বলে বিবেচিত হয় । আপনি যদি হাই কোলেস্টেরলের শিকার হয়ে থাকেন, তবে আপনার কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে ৷ যাতে পরিস্থিতি হাতের বাইরে না যায় । উচ্চ মাত্রার কোলেস্টেরল অনেক গুরুতর রোগের কারণ হয় ৷ তাই এটিকে হালকাভাবে নিতে ভুল করবেন না ।

জেনে নিন এমন ভুলের কথা যা হাই কোলেস্টেরলের অবস্থা খারাপ করে দিতে পারে ।

নিয়মিত চেকআপ না করা: সময়ে সময়ে বডি চেকআপ করিয়ে নিলে অনেক মারাত্মক রোগ এড়াতে পারেন । এর পাশাপাশি রোগেরও সময়মতো চিকিৎসা করা যায় । আপনি যদি উচ্চ কোলেস্টেরলের সঙ্গে লড়াই করে থাকেন, তাহলে লিপিড প্রোফাইল চেক করার জন্য রক্ত ​​পরীক্ষা করানো গুরুত্বপূর্ণ । ওষুধের সঙ্গে জীবনধারা পরিবর্তন করে উচ্চ মাত্রার এলডিএল নিয়ন্ত্রণে আনা যায় ।

দীর্ঘক্ষণ বসে থাকা: দীর্ঘ সময় বসে থাকার অসুবিধাগুলি আমরা সবাই জানি । সবচেয়ে বড় ঝুঁকি হল স্থূলতা ৷ যার কারণে শরীরে রক্তচাপ বেড়ে যায় । দীর্ঘসময় ধরে বসে থাকার ফলে কোমরের চারপাশে ওজন বৃদ্ধির পাশাপাশি অস্বাস্থ্যকর কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায় । এটি শরীরে ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রাও কমায় । আপনার যদি ডেস্ক জব থাকে, তাহলে তা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর প্রমাণিত হতে পারে ।

ব্যায়াম: প্রতিদিন কিছুক্ষণ ব্যায়াম করা কতটা উপকারী তা আমরা সবাই জানি ৷ কিন্তু আমাদের মধ্যে কয়জনেরই ওয়ার্কআউটের সময় আছে ? সাধারণত মানুষ মনে করেন ওষুধ খেলেই কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে আসবে । তবে ওষুধের পাশাপাশি আমাদের শারীরিক পরিশ্রমও বাড়াতে হবে । গবেষণা পরামর্শ দেয় যে সপ্তাহে কমপক্ষে 150 মিনিটের শারীরিক কার্যকলাপ যেমন হাঁটা, সাঁতার কাটা

হাই কোলেস্টেরলের ঝুঁকি কমাতে পারে ।

ধূমপানের ক্ষতিকে উপেক্ষা করা: অনেক গবেষণায় এটি প্রমাণিত হয়েছে যে ধূমপানের সঙ্গে হাই কোলেস্টেরলের সম্পর্ক রয়েছে । গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ধূমপান ত্যাগ করলে ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায় ।

ক্রমবর্ধমান ওজন উপেক্ষা করা: সামান্য ওজন বৃদ্ধি পেলেও তা উপেক্ষা করতে ভুল করবেন না । স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, 4-5 কেজি ওজন বৃদ্ধির ফলে শরীরে 10 মিলিগ্রাম অতিরিক্ত কোলেস্টেরল তৈরি হয়।

এই কারণেই কোলেস্টেরল বৃদ্ধির ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের তাদের ওজনের দিকে নজর রাখা উচিত ।

কীভাবে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করা যায় ?

কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণের জন্য ওষুধের পাশাপাশি জীবনধারার পরিবর্তন প্রয়োজন । এছাড়াও একটানা দীর্ঘক্ষণ বসে থাকবেন না ৷ মাঝে বিরতি নিন এবং কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করুন । আপনি যদি কাজের চক্রে ভুলে যান তবে প্রতি 20-30 মিনিটে একটি অ্যালার্ম সেট করুন । যাদের ডেস্ক জব আছে, তারা অবশ্যই কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করবেন ।

আরও পড়ুন: 30 এপ্রিল বিশ্ব টিকাদান সপ্তাহ শুরু, পড়ুন ইতিহাস থেকে তাৎপর্য

(পরামর্শগুলি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের ভিত্তিতে ৷ আপনার কোনও প্রশ্ন থাকলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন)

হায়দরাবাদ: হাই কোলেস্টেরলের সমস্যা আজ সাধারণ হয়ে উঠেছে ৷ যার পিছনে রয়েছে আমাদের অনিয়মিত জীবনধারা । খারাপ জীবনধারার মধ্যে রয়েছে অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, ব্যায়াম না করা, অ্যালকোহল পান এবং ধূমপান, পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া । এই ধরনের জীবন যাপন করে একজন ব্যক্তি একদিন উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টেরলের সঙ্গে ডায়াবেটিসের শিকার হন ।

যদি কোলেস্টেরলের মাত্রা 200 mg/dL এর বেশি হয়, তাহলে এটি বিপজ্জনক বলে বিবেচিত হয় । আপনি যদি হাই কোলেস্টেরলের শিকার হয়ে থাকেন, তবে আপনার কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে ৷ যাতে পরিস্থিতি হাতের বাইরে না যায় । উচ্চ মাত্রার কোলেস্টেরল অনেক গুরুতর রোগের কারণ হয় ৷ তাই এটিকে হালকাভাবে নিতে ভুল করবেন না ।

জেনে নিন এমন ভুলের কথা যা হাই কোলেস্টেরলের অবস্থা খারাপ করে দিতে পারে ।

নিয়মিত চেকআপ না করা: সময়ে সময়ে বডি চেকআপ করিয়ে নিলে অনেক মারাত্মক রোগ এড়াতে পারেন । এর পাশাপাশি রোগেরও সময়মতো চিকিৎসা করা যায় । আপনি যদি উচ্চ কোলেস্টেরলের সঙ্গে লড়াই করে থাকেন, তাহলে লিপিড প্রোফাইল চেক করার জন্য রক্ত ​​পরীক্ষা করানো গুরুত্বপূর্ণ । ওষুধের সঙ্গে জীবনধারা পরিবর্তন করে উচ্চ মাত্রার এলডিএল নিয়ন্ত্রণে আনা যায় ।

দীর্ঘক্ষণ বসে থাকা: দীর্ঘ সময় বসে থাকার অসুবিধাগুলি আমরা সবাই জানি । সবচেয়ে বড় ঝুঁকি হল স্থূলতা ৷ যার কারণে শরীরে রক্তচাপ বেড়ে যায় । দীর্ঘসময় ধরে বসে থাকার ফলে কোমরের চারপাশে ওজন বৃদ্ধির পাশাপাশি অস্বাস্থ্যকর কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায় । এটি শরীরে ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রাও কমায় । আপনার যদি ডেস্ক জব থাকে, তাহলে তা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর প্রমাণিত হতে পারে ।

ব্যায়াম: প্রতিদিন কিছুক্ষণ ব্যায়াম করা কতটা উপকারী তা আমরা সবাই জানি ৷ কিন্তু আমাদের মধ্যে কয়জনেরই ওয়ার্কআউটের সময় আছে ? সাধারণত মানুষ মনে করেন ওষুধ খেলেই কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে আসবে । তবে ওষুধের পাশাপাশি আমাদের শারীরিক পরিশ্রমও বাড়াতে হবে । গবেষণা পরামর্শ দেয় যে সপ্তাহে কমপক্ষে 150 মিনিটের শারীরিক কার্যকলাপ যেমন হাঁটা, সাঁতার কাটা

হাই কোলেস্টেরলের ঝুঁকি কমাতে পারে ।

ধূমপানের ক্ষতিকে উপেক্ষা করা: অনেক গবেষণায় এটি প্রমাণিত হয়েছে যে ধূমপানের সঙ্গে হাই কোলেস্টেরলের সম্পর্ক রয়েছে । গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ধূমপান ত্যাগ করলে ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায় ।

ক্রমবর্ধমান ওজন উপেক্ষা করা: সামান্য ওজন বৃদ্ধি পেলেও তা উপেক্ষা করতে ভুল করবেন না । স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, 4-5 কেজি ওজন বৃদ্ধির ফলে শরীরে 10 মিলিগ্রাম অতিরিক্ত কোলেস্টেরল তৈরি হয়।

এই কারণেই কোলেস্টেরল বৃদ্ধির ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের তাদের ওজনের দিকে নজর রাখা উচিত ।

কীভাবে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করা যায় ?

কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণের জন্য ওষুধের পাশাপাশি জীবনধারার পরিবর্তন প্রয়োজন । এছাড়াও একটানা দীর্ঘক্ষণ বসে থাকবেন না ৷ মাঝে বিরতি নিন এবং কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করুন । আপনি যদি কাজের চক্রে ভুলে যান তবে প্রতি 20-30 মিনিটে একটি অ্যালার্ম সেট করুন । যাদের ডেস্ক জব আছে, তারা অবশ্যই কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করবেন ।

আরও পড়ুন: 30 এপ্রিল বিশ্ব টিকাদান সপ্তাহ শুরু, পড়ুন ইতিহাস থেকে তাৎপর্য

(পরামর্শগুলি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের ভিত্তিতে ৷ আপনার কোনও প্রশ্ন থাকলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন)

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.