ETV Bharat / sukhibhava

এইচআইভি-এর বিরুদ্ধে ডায়াবিটিসের ওষুধ নয়া হাতিয়ার প্রতিপন্ন হতে পারে - metmorphin

গবেষকরা এটাও দেখেছেন যে, ডায়াবিটিসের ওষুধ, মেটফরমিন এই একই প্রক্রিয়ায় কোষে প্রবেশ করে এবং এই কোষগুলিতে এইচআইভি-র রেপ্লিকেশন প্রক্রিয়াকে কোণঠাসা করে দেয় । সেল-কালচার এবং ইঁদুরের উপর করা পরীক্ষায় এই তথ্য সামনে এসেছে ।

Diabetes drug may be new weapon against HIV
এইচআইভি-এর বিরুদ্ধে ডায়াবিটিসের ওষুধ নয়া হাতিয়ার
author img

By

Published : Mar 31, 2021, 9:30 PM IST

এইডস রোগ সৃষ্টিকারী রেট্রোভাইরাসের সম্পর্কে একটি গুরুত্বপূর্ণ দুর্বলতা সম্প্রতি আবিষ্কার করেছেন গবেষকদের একটি দল। প্রি-ক্লিনিক্যাল পরীক্ষানীরিক্ষাতেও দেখা গিয়েছে যে, ডায়াবিটিস নিরাময়ের বহুল পরিচিত ওষুধ, মেটফরমিন এই দুর্বলতাকে কাজে লাগাতে সক্ষম হচ্ছে ।

এই পরীক্ষালব্ধ ফলাফল নেচার ইমিউনোলজি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে । আর তা অনুযায়ী, এইচআইভি (হিউম্যান ইমিউনোডেফিসিয়েন্সি ভাইরাস) যখন মানবদেহের ইমিউন কোষগুলিকে (যাকে সিডি4 টি বলা হয়) সংক্রামিত করে, তখন নিজেদেরই রেপ্লিকা তৈরি করতে পারে, কোষগুলির রাসায়নিক শক্তি উৎপাদনের প্রধান প্রক্রিয়াকে উজ্জীবিত করার মাধ্যমে ।

গবেষকরা এটাও দেখেছেন যে, ডায়াবিটিসের ওষুধ, মেটফরমিন এই একই প্রক্রিয়ায় কোষে প্রবেশ করে এবং এই কোষগুলিতে এইচআইভি-র রেপ্লিকেশন প্রক্রিয়াকে কোণঠাসা করে দেয় । সেল-কালচার এবং ইঁদুরের উপর করা পরীক্ষায় এই তথ্য সামনে এসেছে ।

উত্তর ক্যারোলিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক, হাইতাও গুয়াও জানিয়েছেন, “এই আবিষ্কার জানান দেয় যে মেটফরমিন এবং অন্যান্য ওষুধপত্র যারা টি-সেল বিপাক কমিয়ে দেয়, তারা এইচআইভি নিরাময়ের অতিরিক্ত থেরাপি হিসাবে উপকারী সাব্যস্ত হতে পারে ।”

বিশ্বজুড়ে অন্তত 38 মিলিয়ন মানুষ এইচআইভি সংক্রমণ নিয়ে জীবন কাটাচ্ছেন । ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের সাম্প্রতিকতম পরিসংখ্যান এটাই বলছে ।

বর্তমানে চিকিৎসকরা এই সংক্রমণের চিকিৎসা করছেন অ্যান্টি-রেট্রোভাইরাল ওষুধের নানাবিধ ‘কম্বিনেশন’ প্রয়োগ করে যাতে এইচআইভি রেপ্লিকেশনকে কোণঠাসা করা যায় । যদিও এই চিকিৎসা সত্ত্বেও বেশিরভাগ রোগীদের মধে্যই ভাইরাল রেপ্লিকেশন এবং ইমিউনিটির প্রতিহত হওয়ার অল্পস্বল্প প্রবণতা থেকেই যাচ্ছে ।

এমনকি যে সমস্ত রোগীরা অ্যান্টি-রেট্রোভাইরাল ওষুধপত্রে ভাল প্রতিক্রিয়া দিচ্ছেন, তাদেরও এই ওষুধ অনিশ্চিতকালের জন্য নিয়েই যেতে হবে । কারণ এইচআইভি নিজেকে কিছু কিছু আক্রান্ত কোষের ডিএনএ-র মধে্য ঢুকিয়ে ফেলে এবং ওষুধগুলি এই ভাইরাল জেনেটিক ‘রিজ়ার্ভার’কে সরাতে পারে না ।

এমনকি, অ্যান্টি এইচআইভি ওষুধগুলির বিষাক্ততা এমনই, যে বহু রোগী এই ওষুধ কেবল মাঝে মাঝেই নিতে পারেন । সুতরাং, কিছুটা উন্নতি হলেও এখনও এইচআইভি চিকিৎসায় আরও দূরের পথ চলা বাকি ।

সমীক্ষার জন্য এই দলটি সিডি4-কোষ জিনের প্রতিক্রিয়ার তথ্য বিশ্লেষণ করেছিল, যা তাঁরা এইচআইভি আক্রান্ত রোগীদের উপর সমীক্ষা চালিয়ে পেয়েছিল । ফলাফলে দেখা গিয়েছে, এই ধরনের রোগীদের ক্ষেত্রে জিনের প্রতিক্রিয়া জানানোর বিন্যাস থেকে খুব কমই তথ্য জানা গিয়েছে আর এই বিন্যাসের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে এক ধরনের শক্তি উৎপাদনকারী প্রক্রিয়া, যার নাম অক্সিডেটিভ ফসফোরাইলেশন।

তার পর তাঁরা আবিষ্কার করেছেন যে ওষুধপত্র এবং অন্যান্য রাসায়নিক কম্পাউন্ড, যা সিডি4 কোষগুলিতে অক্সিডেটিভ ফসফোরাইলেশন ঘটায়, এই কোষগুলিতে এইচআইভি-র নিজের রেপ্লিকা তৈরিতেও প্রভাবিত করে ।

আরও পড়ুন : নিশ্চিন্তে ট্যাটু করাচ্ছেন? বিপদ ডেকে আনতে পারে হেপাটাইটিস

আরও নানা ধরনের পরীক্ষার মাধ্যমে এই দলটি নিশ্চিত করেছে যে প্রাথমিকভাবে মানব সিডি4 কোষগুলিতে এবং ইঁদুরের ক্ষেত্রেও মানব সিডি4 কোষগুলিতে মেটফরমিন এইচআইভি-র রেপ্লিকেশনকে আটকে রাখে ।

এইডস রোগ সৃষ্টিকারী রেট্রোভাইরাসের সম্পর্কে একটি গুরুত্বপূর্ণ দুর্বলতা সম্প্রতি আবিষ্কার করেছেন গবেষকদের একটি দল। প্রি-ক্লিনিক্যাল পরীক্ষানীরিক্ষাতেও দেখা গিয়েছে যে, ডায়াবিটিস নিরাময়ের বহুল পরিচিত ওষুধ, মেটফরমিন এই দুর্বলতাকে কাজে লাগাতে সক্ষম হচ্ছে ।

এই পরীক্ষালব্ধ ফলাফল নেচার ইমিউনোলজি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে । আর তা অনুযায়ী, এইচআইভি (হিউম্যান ইমিউনোডেফিসিয়েন্সি ভাইরাস) যখন মানবদেহের ইমিউন কোষগুলিকে (যাকে সিডি4 টি বলা হয়) সংক্রামিত করে, তখন নিজেদেরই রেপ্লিকা তৈরি করতে পারে, কোষগুলির রাসায়নিক শক্তি উৎপাদনের প্রধান প্রক্রিয়াকে উজ্জীবিত করার মাধ্যমে ।

গবেষকরা এটাও দেখেছেন যে, ডায়াবিটিসের ওষুধ, মেটফরমিন এই একই প্রক্রিয়ায় কোষে প্রবেশ করে এবং এই কোষগুলিতে এইচআইভি-র রেপ্লিকেশন প্রক্রিয়াকে কোণঠাসা করে দেয় । সেল-কালচার এবং ইঁদুরের উপর করা পরীক্ষায় এই তথ্য সামনে এসেছে ।

উত্তর ক্যারোলিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক, হাইতাও গুয়াও জানিয়েছেন, “এই আবিষ্কার জানান দেয় যে মেটফরমিন এবং অন্যান্য ওষুধপত্র যারা টি-সেল বিপাক কমিয়ে দেয়, তারা এইচআইভি নিরাময়ের অতিরিক্ত থেরাপি হিসাবে উপকারী সাব্যস্ত হতে পারে ।”

বিশ্বজুড়ে অন্তত 38 মিলিয়ন মানুষ এইচআইভি সংক্রমণ নিয়ে জীবন কাটাচ্ছেন । ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের সাম্প্রতিকতম পরিসংখ্যান এটাই বলছে ।

বর্তমানে চিকিৎসকরা এই সংক্রমণের চিকিৎসা করছেন অ্যান্টি-রেট্রোভাইরাল ওষুধের নানাবিধ ‘কম্বিনেশন’ প্রয়োগ করে যাতে এইচআইভি রেপ্লিকেশনকে কোণঠাসা করা যায় । যদিও এই চিকিৎসা সত্ত্বেও বেশিরভাগ রোগীদের মধে্যই ভাইরাল রেপ্লিকেশন এবং ইমিউনিটির প্রতিহত হওয়ার অল্পস্বল্প প্রবণতা থেকেই যাচ্ছে ।

এমনকি যে সমস্ত রোগীরা অ্যান্টি-রেট্রোভাইরাল ওষুধপত্রে ভাল প্রতিক্রিয়া দিচ্ছেন, তাদেরও এই ওষুধ অনিশ্চিতকালের জন্য নিয়েই যেতে হবে । কারণ এইচআইভি নিজেকে কিছু কিছু আক্রান্ত কোষের ডিএনএ-র মধে্য ঢুকিয়ে ফেলে এবং ওষুধগুলি এই ভাইরাল জেনেটিক ‘রিজ়ার্ভার’কে সরাতে পারে না ।

এমনকি, অ্যান্টি এইচআইভি ওষুধগুলির বিষাক্ততা এমনই, যে বহু রোগী এই ওষুধ কেবল মাঝে মাঝেই নিতে পারেন । সুতরাং, কিছুটা উন্নতি হলেও এখনও এইচআইভি চিকিৎসায় আরও দূরের পথ চলা বাকি ।

সমীক্ষার জন্য এই দলটি সিডি4-কোষ জিনের প্রতিক্রিয়ার তথ্য বিশ্লেষণ করেছিল, যা তাঁরা এইচআইভি আক্রান্ত রোগীদের উপর সমীক্ষা চালিয়ে পেয়েছিল । ফলাফলে দেখা গিয়েছে, এই ধরনের রোগীদের ক্ষেত্রে জিনের প্রতিক্রিয়া জানানোর বিন্যাস থেকে খুব কমই তথ্য জানা গিয়েছে আর এই বিন্যাসের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে এক ধরনের শক্তি উৎপাদনকারী প্রক্রিয়া, যার নাম অক্সিডেটিভ ফসফোরাইলেশন।

তার পর তাঁরা আবিষ্কার করেছেন যে ওষুধপত্র এবং অন্যান্য রাসায়নিক কম্পাউন্ড, যা সিডি4 কোষগুলিতে অক্সিডেটিভ ফসফোরাইলেশন ঘটায়, এই কোষগুলিতে এইচআইভি-র নিজের রেপ্লিকা তৈরিতেও প্রভাবিত করে ।

আরও পড়ুন : নিশ্চিন্তে ট্যাটু করাচ্ছেন? বিপদ ডেকে আনতে পারে হেপাটাইটিস

আরও নানা ধরনের পরীক্ষার মাধ্যমে এই দলটি নিশ্চিত করেছে যে প্রাথমিকভাবে মানব সিডি4 কোষগুলিতে এবং ইঁদুরের ক্ষেত্রেও মানব সিডি4 কোষগুলিতে মেটফরমিন এইচআইভি-র রেপ্লিকেশনকে আটকে রাখে ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.