ভ্যাকসিন নেওয়ার পর মহিলাদের মজবুত ইমিউন রেসপন্স তৈরি হয়ে যায়, যার অর্থ এই যে ভ্যাকসিন এই মহিলাদের কোভিড সংক্রমণ থেকে রক্ষা করবে । আমেরিকার ইলিনয়েসের নর্থওয়েস্টার্ন মেডিসিনের গবেষকরা এই কথা জানিয়েছেন ।
আরও কী! বেশিরভাগ রোগীদের ক্ষেত্রে টিকাকরণ এবং ডেলিভারির মধ্যবর্তী দীর্ঘকালীন সময়টি মা থেকে সদ্যোজাত শিশুর দেহে কোভিড অ্যান্টিবডির সক্রিয় ট্রান্সফারকে নিশ্চিত করে ।
কেবলমাত্র তিন জন শিশুর (যমজসহ) জন্মের সময় পজিটিভ অ্যান্টিবডি ছিল না, আর ওই দুই মহিলা তাদের প্রথম ভ্যাকসিন ডেলিভারির তিন সপ্তাহেরও আগে নিয়েছিলেন ।
যে সব মহিলা ডেলিভারির আগে ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছিলেন, তাদের মধ্যে শিশুর দেহেও অ্যান্টিবডি ট্রান্সফারের বর্ধিত সম্ভাবনা দেখা গিয়েছিল বলে সমীক্ষায় জানা গিয়েছে ।
নর্থওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির ফেনবার্গ স্কুল অফ মেডিসেনের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর এবং চিকিৎসক এমিলি মিলার জানিয়েছেন, “একেবারে সীমানার ধার ঘেঁষে দাঁড়িয়া থাকা মানুষদের চলতে এই সুযোগ সামান্য হলেও জ্বালানি প্রদান করে ৷ কারণ তারা মনে করে, “ডেলিভারির পর হয়তো আমি অপেক্ষা করব ।”
আরও পড়ুন : কোরোনার পর নতুন কর্মসংস্থান, ভূমিকা এবং কেরিয়ার; কর্মজগতের ভবিষ্যৎ
মিলার আরও বলেছেন, “আমরা সুপারিশ করব যে অন্তঃস্বত্ত্বা অবস্থাতেই ভ্যাকসিন নিন । কিন্তু যদি আপনার মনে এই ভয় বাসা বাঁধে যে, ভ্যাকসিন নিলে শিশুর ক্ষতি হবে, তাহলে জানিয়ে রাখি, সমীক্ষালব্ধ তথ্য কিন্তু অন্য কথা বলছে । ভ্যাকসিন এমনভাবে তৈরি যা শিশুকে সুরক্ষিত রাখে । তাই যত তাড়াতাড়ি টিকা নেবেন, ততই ভাল ।”
এই সমীক্ষা আরও একটি গবেষণার ফলাফল প্রকাশ্যে এনেছে ৷ যেখানে 10 টি অ্যাম্বিলিকাল কর্ডের নমুনায় একই ধরনের বিশেষত্ব দেখা গিয়েছে ।
অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের ক্ষেত্রে প্রথম বা দ্বিতীয় ট্রেমিস্টারে টিকাকরণ করলে তাও অ্যান্টিবডি ট্রান্সফারে বড়সড় সক্রিয়তা প্রদান করতে পারে ।
যদিও এ কথা এখনই পরীক্ষা করা খুব তাড়াতাড়ি হয়ে যাবে যে, কতটা ভালভাবে কিংবা কত সময় ধরে এই পরোক্ষভাবে স্থানান্তরিত হওয়া অ্যান্টিবডিসমূহ ডেলিভারির পরও শিশুদের সুরক্ষিত রাখতে পারে, মিলার জানিয়েছেন ।