ETV Bharat / sukhibhava

কোভিড ভ্যাকসিন সবার কাছে পৌঁছনো উচিত

রূপ বদলে শক্তিশালী হচ্ছে করোনা ভাইরাস । দ্রুত সকলের কাছে কোভিড ভ্যাকসিন পৌঁছনো খুব জরুরি । বিস্তারিত আলোচনায় সুখীভব ।

কোভিড ভ্যাকসিন সবার কাছে পৌঁছনো উচিত
কোভিড ভ্যাকসিন সবার কাছে পৌঁছনো উচিত
author img

By

Published : Mar 12, 2021, 2:04 PM IST

এক বছরেরও বেশি সময় ধরে কোভিড মহামারী বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে । যে মারণ ভাইরাস শেষপর্যন্ত পিছু হঠছে মনে করা হয়েছিল, তা ফের রূপ বদলে মাথা তুলেছে । বার বার ভয়াবহ মিউটেশনের মাধ্যমে এই ভাইরাস সমগ্র মানবতার সামনে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছে । বিশেষজ্ঞদের মতে, নতুন মিউটেশনের ভাইরাস খুঁজে পাওয়া গিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রিটেন, ব্রাজিল, জাপান এবং আমেরিকায় ।

ব্রিটেনে যে কেন্ট ভাইরাস পাওয়া গেছে, তা ৭০ শতাংশ বেশি বিপজ্জনক বলে মনে করা হচ্ছে । দ্রুত মিউটেশনের মাধ্যমে যে সুপার ভাইরাসের আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে, তাতে উদ্বেগ ক্রমশ বাড়ছে । সবাই বলছেন এমন পদক্ষেপের কথা, যাতে ভাইরাস আরও শক্তিশালী হতে না পারে । অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস (এইমস)-এর অধিকর্তা করোনা ভাইরাসের মিউটেশন নিয়ে আরও গভীর গবেষণার পক্ষে সওয়াল করেছেন । এই ঘটনাপ্রবাহে আরও জোরালো পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তাই অনুভূত হচ্ছে ।

আরও পড়ুন : করোনার টিকা নিলেন প্রধানমন্ত্রীর মা

অন্যদিকে, কোভিড-১৯ সংক্রমণ বাড়তে থাকাও উদ্বেগের কারণ । নতুন যে আক্রান্তদের কথা সামনে আসছে, তার ৮৬ শতাংশই মহারাষ্ট্র, কেরালা, পাঞ্জাব, কর্নাটক, গুজরাত ও তামিলনাড়ুর । সেন্টার ফর সেলুলার অ্যান্ড মলিকিউলার বায়োলজি (সিসিএমবি)-র অধিকর্তা, ড. রাকেশ মিশ্র বলেছেন, যে এই রাজ্যগুলোতে সংক্রমণের সংখ্যাবৃদ্ধির জন্য নতুন মিউটেশনের ভাইরাস দায়ী নয় । তাঁর হুঁশিয়ারি, মাস্ক পরা ও সামাজিক দূরত্বের মতো বিষয়গুলোর প্রতি অবহেলা অন্যান্য রাজ্যেও পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে পারে ।

এখন শাসকের সামনে চ্যালেঞ্জ দুটো – ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া আটকানো এবং মিউটেটেড ভাইরাসকে প্রতিহত করা ।

এ বছরের শেষের দিকে কোভিড-১৯-এর ওপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ পাওয়া যাবে, এই ভাবনাকে অবাস্তব বলে উড়িয়ে দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। মহামারীর ক্রমাগত বদলাতে থাকা গতিপথের দিকে নজর রাখতে বলেছে তারা । হু-র নির্দেশিকা ভারতের মতো দেশগুলোর পক্ষে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে আক্রান্তের সংখ্যা আবার বাড়ছে ।

বিজ্ঞানীদের উদ্বেগ, টিকাকরণে দেরি হলে মিউটেটেড ভাইরাস পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে পারে । তাঁদের হুঁশিয়ারি, পরীক্ষায় ধরা পড়বে না এমন ভাইরাস স্ট্রেনও দেখা দিতে পারে । যখন কর্পোরেট হাসপাতালে ভ্যাকসিনের চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে, তখন পাশাপাশি তেলেঙ্গানা সরকার জেলা ও আঞ্চলিক হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতেও ভ্যাকসিন বণ্টনে সবুজ সংকেত দিয়েছে ।

আরও পড়ুন : কোভিডকালে ক্যানসার নিরাময়ে টেলি-কাউন্সেলিং নয়া দিগন্ত উন্মোচন করেছে

ষাটোর্ধ্বদের ভ্যাকসিন দেওয়ার সময়সীমা তুলে দিয়েছে কেন্দ্র । এখন এই বয়সের ব্যক্তিরা যে কোনও সময় ভ্যাকসিন নিতে পারেন । সরকারি উদ্যোগ এতেই আটকে থাকা উচিত নয় । বিশেষজ্ঞদের মতে, এই গতিতে চলতে থাকলে গ্রামে গ্রামে ভ্যাকসিন পৌঁছতে বহু বছর লেগে যাবে । এইদিকটা মাথায় রেখে, আরও দ্রুত ভ্যাকসিন বণ্টনে সরকারি নীতি ও পদক্ষেপই এখন সময়ের চাহিদা ।

উৎপাদন ও গ্রহণে বিপুল ফারাকের দিকে তালিকা, গাইডলাইন শিথিল করে চাহিদা অনুযায়ী প্রত্যেকের কাছে ভ্যাকসিন পৌঁছনো উচিত । টিকাকরণই একমাত্র পথ, যাতে সমাজ নিরাপত্তার ঘেরাটোপে আসবে ।

দেশ মহাসঙ্কট থেকে নিজেকে বাঁচাতে পারে তখনই, যখন ভ্যাকসিন নেওয়া মানুষদের মধ্যে অ্যান্টি-বডি ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নিয়ে গবেষণা অব্যাহত থাকবে ।

এক বছরেরও বেশি সময় ধরে কোভিড মহামারী বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে । যে মারণ ভাইরাস শেষপর্যন্ত পিছু হঠছে মনে করা হয়েছিল, তা ফের রূপ বদলে মাথা তুলেছে । বার বার ভয়াবহ মিউটেশনের মাধ্যমে এই ভাইরাস সমগ্র মানবতার সামনে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছে । বিশেষজ্ঞদের মতে, নতুন মিউটেশনের ভাইরাস খুঁজে পাওয়া গিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রিটেন, ব্রাজিল, জাপান এবং আমেরিকায় ।

ব্রিটেনে যে কেন্ট ভাইরাস পাওয়া গেছে, তা ৭০ শতাংশ বেশি বিপজ্জনক বলে মনে করা হচ্ছে । দ্রুত মিউটেশনের মাধ্যমে যে সুপার ভাইরাসের আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে, তাতে উদ্বেগ ক্রমশ বাড়ছে । সবাই বলছেন এমন পদক্ষেপের কথা, যাতে ভাইরাস আরও শক্তিশালী হতে না পারে । অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস (এইমস)-এর অধিকর্তা করোনা ভাইরাসের মিউটেশন নিয়ে আরও গভীর গবেষণার পক্ষে সওয়াল করেছেন । এই ঘটনাপ্রবাহে আরও জোরালো পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তাই অনুভূত হচ্ছে ।

আরও পড়ুন : করোনার টিকা নিলেন প্রধানমন্ত্রীর মা

অন্যদিকে, কোভিড-১৯ সংক্রমণ বাড়তে থাকাও উদ্বেগের কারণ । নতুন যে আক্রান্তদের কথা সামনে আসছে, তার ৮৬ শতাংশই মহারাষ্ট্র, কেরালা, পাঞ্জাব, কর্নাটক, গুজরাত ও তামিলনাড়ুর । সেন্টার ফর সেলুলার অ্যান্ড মলিকিউলার বায়োলজি (সিসিএমবি)-র অধিকর্তা, ড. রাকেশ মিশ্র বলেছেন, যে এই রাজ্যগুলোতে সংক্রমণের সংখ্যাবৃদ্ধির জন্য নতুন মিউটেশনের ভাইরাস দায়ী নয় । তাঁর হুঁশিয়ারি, মাস্ক পরা ও সামাজিক দূরত্বের মতো বিষয়গুলোর প্রতি অবহেলা অন্যান্য রাজ্যেও পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে পারে ।

এখন শাসকের সামনে চ্যালেঞ্জ দুটো – ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া আটকানো এবং মিউটেটেড ভাইরাসকে প্রতিহত করা ।

এ বছরের শেষের দিকে কোভিড-১৯-এর ওপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ পাওয়া যাবে, এই ভাবনাকে অবাস্তব বলে উড়িয়ে দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। মহামারীর ক্রমাগত বদলাতে থাকা গতিপথের দিকে নজর রাখতে বলেছে তারা । হু-র নির্দেশিকা ভারতের মতো দেশগুলোর পক্ষে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে আক্রান্তের সংখ্যা আবার বাড়ছে ।

বিজ্ঞানীদের উদ্বেগ, টিকাকরণে দেরি হলে মিউটেটেড ভাইরাস পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে পারে । তাঁদের হুঁশিয়ারি, পরীক্ষায় ধরা পড়বে না এমন ভাইরাস স্ট্রেনও দেখা দিতে পারে । যখন কর্পোরেট হাসপাতালে ভ্যাকসিনের চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে, তখন পাশাপাশি তেলেঙ্গানা সরকার জেলা ও আঞ্চলিক হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতেও ভ্যাকসিন বণ্টনে সবুজ সংকেত দিয়েছে ।

আরও পড়ুন : কোভিডকালে ক্যানসার নিরাময়ে টেলি-কাউন্সেলিং নয়া দিগন্ত উন্মোচন করেছে

ষাটোর্ধ্বদের ভ্যাকসিন দেওয়ার সময়সীমা তুলে দিয়েছে কেন্দ্র । এখন এই বয়সের ব্যক্তিরা যে কোনও সময় ভ্যাকসিন নিতে পারেন । সরকারি উদ্যোগ এতেই আটকে থাকা উচিত নয় । বিশেষজ্ঞদের মতে, এই গতিতে চলতে থাকলে গ্রামে গ্রামে ভ্যাকসিন পৌঁছতে বহু বছর লেগে যাবে । এইদিকটা মাথায় রেখে, আরও দ্রুত ভ্যাকসিন বণ্টনে সরকারি নীতি ও পদক্ষেপই এখন সময়ের চাহিদা ।

উৎপাদন ও গ্রহণে বিপুল ফারাকের দিকে তালিকা, গাইডলাইন শিথিল করে চাহিদা অনুযায়ী প্রত্যেকের কাছে ভ্যাকসিন পৌঁছনো উচিত । টিকাকরণই একমাত্র পথ, যাতে সমাজ নিরাপত্তার ঘেরাটোপে আসবে ।

দেশ মহাসঙ্কট থেকে নিজেকে বাঁচাতে পারে তখনই, যখন ভ্যাকসিন নেওয়া মানুষদের মধ্যে অ্যান্টি-বডি ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নিয়ে গবেষণা অব্যাহত থাকবে ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.