হায়দরাবাদ: ইউরিক অ্যাসিড হল শরীরে তৈরি একটি রাসায়নিক, যা শরীরে পিউরিন নামক রাসায়নিকের ভাঙনের ফলে তৈরি হয় । শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে গেলে অনেক মারাত্মক রোগের ঝুঁকিও বাড়তে পারে । তাই এটি নিয়ন্ত্রণে রাখা খুবই জরুরি । তাই যদি আপনার ইউরিক অ্যাসিডও বেড়ে যায় এবং আপনি ওষুধ দিয়ে নয়, প্রাকৃতিকভাবে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করবেন জেনে নিন ৷
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খান: বর্ধিত ইউরিক অ্যাসিড কমাতে খাবারে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবারের পরিমাণ বাড়ান । কমলা, লেবু, আমলা এবং অন্যান্য সাইট্রাস রসালো ফল ভিটামিন সি সমৃদ্ধ । এই ধরণের খাবার খেলে গাউটের ঝুঁকি কমবে ।
মিষ্টি জিনিস এড়িয়ে চলুন: খুব বেশি মিষ্টি জিনিস খাওয়া ইউরিক অ্যাসিড বাড়াতে পারে ৷ তাই আপনার খাদ্যতালিকা থেকে প্রতিদিন মিষ্টি জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন । মিষ্টি জিনিসের মধ্যে শুধু মিষ্টিই অন্তর্ভুক্ত নয়, ঠান্ডা পানীয় ও প্যাকেটজাত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।
আপেল ভিনিগার খান: আপেল সিডার ভিনিগারে প্রদাহ বিরোধী গুণ রয়েছে । তাই আপনার ইউরিক অ্যাসিড বেশি হলে সপ্তাহে 2 থেকে 3 বার আপেল সিডার ভিনিগার খান । ইউরিক অ্যসিডের ক্ষেত্রে আপেল সিডার ভিনিগার অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ৷
পর্যাপ্ত জল পান করুন: যদি আপনার ইউরিক অ্যাসিড বেশি থাকে, তাহলে সারাদিনে অন্তত 8 থেকে 10 গ্লাস জল পান করুন । পর্যাপ্ত জল পান করলে কিডনি সক্রিয় থাকে এবং শরীর থেকে ইউরিক অ্যাসিড বের হয়ে যায় ।
অ্যালকোহল থেকে বিরত থাকুন: অত্যধিক অ্যালকোহল গ্রহণও শরীরে ইউরিক অ্যাসিড বাড়াতে পারে, তাই আপনি যদি স্বাভাবিকভাবে এটি নিয়ন্ত্রণ করার কথা ভাবছেন, তাহলে প্রথমে অ্যালকোহল খাওয়া বন্ধ করুন ।
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন: ওজন নিয়ন্ত্রণে খাদ্যতালিকায় গোটা শস্য, সবুজ শাক-সবজি ও ফলমূল বেশি পরিমানে খান । এর ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি ইউরিক অ্যাসিডও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
আরও পড়ুন: ভেষজ চা থেকে হলুদ জল-ওজন কমাতে আস্থা রাখুন এই পানীয়গুলির উপর
(পরামর্শগুলি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের উদ্দেশ্যে ৷ আপনার কোনও প্রশ্ন বা উদ্বেগ থাকলে আপনার ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন )।