হায়দরাবাদ: ভারতে বয়ঃসন্ধিকালে প্রতি চারজনের মধ্যে তিনজন মেয়ে স্যানিটারি প্যাড ব্যবহার করে । মাসিকের সময় অনেক গুরুতর যৌন রোগ প্রতিরোধে স্যানিটারি প্যাড ব্যবহার করা হয় । কিন্তু স্যানিটারি প্যাড নিয়ে নতুন এক গবেষণায় উঠে এসেছে এক উদ্বেগজনক তথ্য । নতুন এক গবেষণায় বলা হয়েছে, প্যাড ব্যবহারে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়তে পারে । বন্ধ্যাত্বের সমস্যাও হতে পারে ।
বিশেষজ্ঞদের দ্বারা পরিচালিত একটি গবেষণার সময়, স্যানিটারি প্যাডে এমন অনেক রাসায়নিক রয়েছে যা সর্বত্র সহজলভ্য, যা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক । স্যানিটারি পণ্যে অনেক গুরুতর রাসায়নিক থাকে যেমন কার্সিনোজেন, বিষাক্ত পদার্থ, অন্তঃস্রাব বিঘ্নকারী এবং অ্যালার্জেন ।
এই গবেষণাটি আন্তর্জাতিক দূষণ নির্মূল নেটওয়ার্কের একটি ট্রায়ালের অংশ ৷ যাতে ভারতে বিক্রি হওয়া 10টি ব্র্যান্ডের স্যানিটারি ন্যাপকিন রয়েছে ৷ গবেষণার সময়, গবেষকরা সমস্ত নমুনায় ফ্যাটালেটস এবং উদ্বায়ী জৈব যৌগ (VOCs) এর চিহ্ন খুঁজে পেয়েছেন । এটি একটি উদ্বেগের বিষয় যে এই দু'টি দূষকই ক্যানসার কোষ তৈরি করতে সক্ষম ৷
এতে ঝুঁকি বাড়তে পারে:
সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হল স্যানিটারি প্যাড ব্যবহারে রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায় । আসলে এই গুরুতর রাসায়নিকগুলি একজন মহিলার যোনিকে তার ত্বকের চেয়ে বেশি প্রভাবিত করে । এমন পরিস্থিতিতে ঝুঁকি আরও বেড়ে যায় ।
আরও পড়ুন: মানসিক চাপ, উদ্বেগে ভুগছেন ? এই ভেষজ চা ব্যবহার করে দেখুন
অন্যদিকে, ভারতে এমন কোনও নির্দিষ্ট নিয়ম নেই যা প্যাড প্রস্তুতের সময় পর্যবেক্ষণ করা হয় । যদিও, এটি অবশ্যই ব্যুরো অব ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডের মানদণ্ডের অধীনে আসে, এতে যে রাসায়নিকগুলি রয়েছে সেগুলি সম্পর্কে কোনও নির্দিষ্ট নিয়ম নেই ৷
পরিসংখ্যান কী বলছে:
ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভে থেকে সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, 15 থেকে 24 বছর বয়সী প্রায় 64 শতাংশ ভারতীয় মহিলা স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করেন । গত কয়েক বছরে সচেতনতা বৃদ্ধির কারণে এর ব্যবহারও বেড়েছে ।
আইএমএআরসি গ্রুপের মতে, ভারতে স্যানিটারি পণ্যের বিশাল বাজার রয়েছে । 2021 সালে, স্যানিটারি ন্যাপকিনের টার্নওভার ছিল $618 মিলিয়ন । বাজার 1.2 বিলিয়ন ডলারে পৌঁছবে বলে আশা করা হচ্ছে ৷
