হায়দরাবাদ: শারদীয়া নবরাত্রি শুরু হতে চলেছে । এই সময় সাত্ত্বিক খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় । প্রকৃতপক্ষে এই খাবারের মধ্যে রয়েছে ফল, শাকসবজি, দুগ্ধজাত পণ্য, গোটা শস্য । এতে ভাজা বা মশলাদার খাবার নেই ।
সাত্ত্বিক খাবার খেলে মন পবিত্র, পরিচ্ছন্ন ও শক্তিতে পরিপূর্ণ হয় । এই ডায়েট অনুসরণ করলে শারীরিক ও মানসিক উভয় স্বাস্থ্যের উন্নতি হয় ।
সাত্ত্বিক খাদ্য বিশেষ করে কাঁচা শাকসবজি এবং ফল । যা ফাইবার, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ । এই ডায়েট নিয়মিত মেনে চললে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং অনেক রোগ থেকে বাঁচতে পারেন । জেনে নিন, সাত্ত্বিক খাবার খাওয়ার উপকারিতা ।
ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী হয়: নবরাত্রির সময় সাত্ত্বিক খাবার খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকার দেয় । এটি খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে । এর জন্য নবরাত্রির উপবাসে আপনার খাদ্যতালিকায় প্রোটিন-সমৃদ্ধ লেবু এবং দুগ্ধজাত খাবার যোগ করুন । যা সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে । এছাড়াও ফল এবং শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে যা প্রাকৃতিকভাবে শরীরকে রক্ষা করে ।
ওজন কমাতে সহায়ক: সাত্ত্বিক খাবারে মানুষ বেশি করে মরশুমি ফল ও সবজি খায় । যার মধ্যে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কম এবং ক্যালোরিও কম পাওয়া যায় । যদি ওজন কমাতে চান তাহলে সাত্ত্বিক খাবার আপনার জন্য খুবই সহায়ক । এতে অন্তর্ভুক্ত কম ক্যালরিযুক্ত খাবার আপনাকে সাহায্য করতে পারে । এছাড়াও সাত্ত্বিক খাবারে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে যা খাওয়া আপনাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য পূর্ণ রাখে যা ওজন কমাতে সহায়তা করে ।
শরীরকে শক্তি জোগায়: আপনি যদি নিয়মিত সাত্ত্বিক খাবার খান তাহলে সারাদিন সতেজ ও উদ্যমী অনুভব করবেন । সাত্ত্বিক খাবারের নিয়ম মেনে চললে ক্লান্তি ও অলসতার সমস্যাও চলে যায় ।
শরীরকে ডিটক্স করে: সাত্ত্বিক খাবার খেলে শরীরকে ডিটক্সিফাই করে । এর মাধ্যমে আপনি অনেক ধরনের সমস্যা এড়াতে পারবেন । যদি আপনার ফোলা, মাথাব্যথা, ত্বকে ফুসকুড়ি, ক্লান্তি, ব্রণ ইত্যাদি সমস্যা থাকে তাহলে অবশ্যই সাত্ত্বিক খাবার খান এতে আপনার উপকার হতে পারে । শরীরকে ডিটক্স করতে প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস গরম জলে এক চিমটি হলুদ ও মধু মিশিয়ে পান করুন । যার ফলে শরীরে উপস্থিত বিষাক্ত পদার্থ বের হয়ে যায় ।
আরও পড়ুন: মানসিকভাবে দুর্বল বোধ করছেন ? পান করতে পারেন এগুলি
(পরামর্শগুলি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের ভিত্তিতে ৷ আপনার কোনও প্রশ্ন থাকলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন)