হায়দরাবাদ: ফুলকপি সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর সবজিগুলির একটি ৷ এতে জলের পরিমাণ থাকে 85% ৷ এবং খুব অল্প পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট ও প্রোটিন থাকে । কিন্তু এতে গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন, মিনারেল, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অন্য ফাইটোকেমিক্যাল ও থাকে । এতে ক্যালোরির পরিমাণ খুবই কম থাকে (Cauliflower)। এর বহুগুণ ৷ জেনে নিন ফুলকপির উপকারিতা :
ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ:
ফুলকপিতে ভিটামিন সি, বিটাক্যারোটিন, কায়েম্ফেরোল, কোয়ারসেটিন, রুটিন, সিনামিক এসিড-সহ আরও অনেক উপাদান থাকে । এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো ফ্রি র্যাডিকেলের ক্ষতির হাত থেকে শরীরকে সুরক্ষা দেয় । এগুলি বয়স বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে ধীর গতির করে এবং টিস্যু ও অঙ্গের ক্ষতি হওয়া প্রতিহত করে ।
মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়
ফুলকপিতে আরেকটি উপকারী যৌগ কোলাইন থাকে । কোলাইন একটি বি ভিটামিন । এটি মস্তিষ্কের উন্নয়নে সাহায্য করে । প্রেগনেন্সির সময়ে ফুলকপি গ্রহণ করলে ভ্রূণের মস্তিষ্কের গঠনে সাহায্য করে । গবেষণায় জানা গিয়েছে, জ্ঞানীয় কাজের, শিক্ষার এবং স্মৃতির উন্নয়নে সাহায্য করে কোলাইন ।
আরও পড়ুন: পালং শাকের বহুগুণ ! জেনে নিন এর উপকারিতা
স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাহায্য করে
ফুলকপিতে সালফারের যৌগ সালফোরাফেন থাকে, যা ব্লাড প্রেসার ঠিক রাখে । গবেষণার মতে, সালফোরাফেন ডিএনএ-এর মিথাইলেশনের সঙ্গে সম্পর্কিত, যা কোষের স্বাভাবিক কাজের জন্য অত্যাবশ্যকীয় । সালফোরাফেন ক্যানসার সৃষ্টিকারী কোষ ধ্বংস করতে পারে এবং টিউমারের বৃদ্ধিতে বাধা দেয় । অন্য এক গবেষণায় জানা যায়, ফুলকপির সঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণ হলুদ যোগ করলে প্রোস্টেট ক্যানসার নিরাময়ে ও প্রতিরোধে অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা রাখে ।
পুষ্টির জন্য সাহায্য করে
নিয়মিত ফুলকপি খেলে দেহের প্রয়োজনীয় পুষ্টি চাহিদা পূরণ হয় । ফুলকপিতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন-সি । পাশাপাশি আছে ভিটামিন কে, ভিটামিন বি6, প্রোটিন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, ফাইবার, পটাসিয়াম ও ম্যাঙ্গানিজ ।
ব্লাড প্রেশারের উন্নতিতে সাহায্য করে
ফুলকপিতে সালফারের যৌগ সালফোরাফেন থাকে যা ব্লাড প্রেশারের উন্নতিতে সাহায্য করে । সালফোরাফেন ডিএনএ-এর মিথাইলেশনের সঙ্গে সম্পর্কিত যা কোষের স্বাভাবিক কাজের জন্য এবং জিনের সঠিক প্রকাশের জন্য অত্যাবশ্যকীয়, বিশেষ করে ধমনীর ভেতরের প্রাচীরের । সালফোরাফেন ক্যানসার সৃষ্টিকারী কোষ ধ্বংস করতে পারে এবং টিউমারের বৃদ্ধিকে বাঁধা দেয় ।