হায়দরাবাদ: অনিয়মিত জীবনযাপনের কারণে পিঠে এবং পিঠের নীচে ব্যথা আজকাল খুবই সাধারণ ঘটনা। অল্প বয়স থেকেই বেশিরভাগ মানুষ এই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। যারা দীর্ঘ সময় ধরে বসে বসে কাজ করেন, কোনওরকম শারীরিক কার্যকলাপ করেন না তাদের পিঠে ব্যথার গুরুতর সমস্যা হতে পারে। এছাড়া ক্রমাগত ভুল আকারে ব্যায়াম করা এবং সঠিকভাবে যোগব্যায়াম না-করার ফলেও কোমরে ব্যথা বা পিঠে ব্যথা হতে পারে।
এই পিঠের ব্যথা এবং পেশির স্ট্রেন এতটাই বেদনাদায়ক যে একজন ব্যক্তির দৈনন্দিন জীবন সম্পূর্ণভাবে ব্যাহত হয় । এছাড়া আরও কিছু কারণ রয়েছে যার ফলে কোমর ব্যথা হয় ৷ জেনে নেওয়া যাক সেই কারণগুলি ৷
পিঠে ব্যথা বা স্ট্রেন কেন হয়: এর পিছনে 5 টি প্রধান কারণ রয়েছে । প্রথমত, লিগামেন্টে একধরনের স্ট্রেন ৷ দ্বিতীয়ত, হাড়ে একধরনের ইনফেকশন ৷ তৃতীয়ত, কোনও ধরনের টিউমার ৷ চতুর্থত, স্নায়বিক সমস্যা ৷ পঞ্চমত, মেরুদণ্ডের কোনও ধরনের সমস্যায় পিঠে ব্যথা হতে পারে।
লক্ষণগুলি কীভাবে দেখা যায়: এই রোগটি ব্যথার সঙ্গে জ্বর দ্বারা চিহ্নিত করা হয় । এই ব্যথা ঘাড় থেকে হাত ও পায়ে ছড়িয়ে পড়ে ৷ ওজন হ্রাসের কারণে ঘুমের মধ্যে ব্যথা এবং হাতে-পায়ে দুর্বলতা হতে পারে।
ঘরোয়া প্রতিকার: এর জন্য কিছু মৌলিক ঘরোয়া প্রতিকার ব্যবহার করা যেতে পারে। পিঠে ব্যথা হলে ঈষৎ উষ্ণ জলে গা মোছা যেতে পারে। উষ্ণ মলম ব্যবহার করা যেতে পারে । ফোলা কমাতে একটি ট্যাবলেট বা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি জেল প্রয়োগ করা যেতে পারে । সমস্যা চলতে থাকলে দেরি না-করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন ।
ব্যথানাশক ওষুধের ওপর নির্ভর করবেন না: ব্যথা অব্যাহত থাকলে নিয়মিত ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়া এড়িয়ে চলুন । এই ওষুধগুলি সাময়িক উপশম দেয় । কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। ব্যথানাশক সেবন কিডনির স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হতে পারে । তাই প্রথমে চিকিৎসা নেওয়ার পর পদক্ষেপ নিন ।
আরও পড়ুন: পিরিয়ডের সময় এই ভুলগুলি করবেন না, সমস্যা বাড়তে পারে
(পরামর্শগুলি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের ভিত্তিতে ৷ আপনার কোনও প্রশ্ন থাকলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন)