হায়দরাবাদ : বিএমসি মেডিসিন জার্নালে প্রকাশিত সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, অটিজম আক্রান্ত ছেলেদের ক্ষেত্রে নিজের ক্ষতি করা এবং মেডিক্য়াল ইমারজেন্সির ঝুঁকি সাধারণ ছেলেদের তুলনায় প্রায় তিনগুণ বেশি (What Increases The Risk of Self Harm) ৷ লন্ডনের কিংস কলেজের গবেষক এমিলি সিমোনফ বলেন, "আমরা জানি অটিজম আক্রান্তদের প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে অকালমৃত্যুর হার বেশ বেশি থাকে এবং আত্মহত্যার হারও যথেষ্ট বেশি ৷ বর্তমান এই গবেষণার ফলাফল অনুসারে নিজের ক্ষতি করার এই স্বভাব গুরুতর আত্মহত্যার প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে আরও বেশি বড় কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে ৷ সুতরাং প্রথমবার নিজের ক্ষতি করার চেষ্টা করার পরেই তাড়াতাড়ি শনাক্তকরণ এবং সক্রিয় হস্তক্ষেপ খুবই জরুরি ৷"
এই গবেষণার জন্য় দলটি হাসপাতালের বিভিন্ন 'আত্মক্ষতির' ঘটনার তথ্য সংগ্রহ করেছেন ৷ একইসঙ্গে শিক্ষা সংক্রান্ত তথ্যও বিশ্লেষণ করেছেন তাঁরা ৷ তাঁরা স্কুলে উপস্থিতি, বিশেষ শিক্ষাগত চাহিদা, স্কুলে বিনামূল্যে পাওয়া খাবারের অবস্থা এবং সার্বিক মানসিক পরিস্থিতি-সহ বিভিন্ন শিক্ষা সংক্রান্ত কারণগুলিও খতিয়ে দেখেছেন ৷ গবেষণায় দক্ষিণ লন্ডনের চারটি বরো থেকে 2009-2013 সালের মধ্য়ে 113,286 জন তরুণ-তরুণীর ডেটা মূল্যায়ন করা হয়েছে ।
এই তথ্য বিশ্লেষণ করতে গিয়ে তাঁরা খতিয়ে দেখেছিলেন, এএসডি (অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডার) আক্রান্ত ছাত্রছাত্রীদের জন্য কোনও স্পেশাল এডুকেশনাল নিডস-এর ব্যবস্থা করা হয়েছে কি না ? ফলাফল বলছে, সাধারণ ছাত্রদের তুলনায় অটিজম আক্রান্ত ছেলেদের আত্মক্ষতি করার ঝুঁকি অনেকটাই বেশি ৷ এএসডি আক্রান্ত মেয়েদের মধ্যে এই প্যাটার্নটি পরিলক্ষিত হয়নি ৷ তবে সাধারণভাবে দেখতে গেলে ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের মধ্যে আত্মক্ষতি করার ঝুঁকি বেশি (ছেলেদের মধ্যে 0.3 শতাংশ আর মেয়েদের মধ্য়ে 1.5 শতাংশ) ৷
আরও পড়ুন : চলছে বিশ্ব টিকাদান সপ্তাহ, জেনে নিন টিকা সংক্রান্ত কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
গবেষকরা এও দেখেছেন যে, সমস্ত ছাত্ররা 'অ্যাটেনশন-ডেফিসিট হাইপারঅ্যাকটিভিটি ডিসঅর্ডার'এই স্বাস্থ্য পরিষেবায় অংশ নিয়েছিল তাদের তুলনায় যারা অংশ নেয়নি, তাদের মধ্য়ে আত্মক্ষতির ঝুঁকি প্রায় চারগুণ বেশি ছিল ৷ এমনকী স্কুলে অনুপস্থিতিও আত্মক্ষতির ঝুঁকি বৃদ্ধির সঙ্গে যুক্ত ৷ দেখা গিয়েছে যে, সমস্ত ছাত্রদের উপস্থিতির হার 80 শতাংশের বেশি, তাদের তুলনায় অন্যদের আত্মক্ষতির ঝুঁকি তিনগুণ বেশি ৷