হায়দরাবাদের ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা ড. রেড্ডিজ ল্যাবরেটরিজ ঘোষণা করেছে যে তারা শুধুমাত্র আপৎকালীন ক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য স্পুটনিক-ভি ভ্যাকসিন আমদানি করবে । এব্যাপারে ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনেরাল অফ ইন্ডিয়ার (ডিসিজিআই) অনুমোদনও মিলেছে বলে জানিয়েছে তারা । সেক্ষেত্রে এই ভ্যাকসিন সম্পর্কে আপনার কয়েকটা কথা জেনে রাখা দরকার ।
গাইডলাইন অনুযায়ী, এই ভ্যাকসিন 18 বছরের বেশি বয়সীদের কোভিড সংক্রমণ রুখতে প্রয়োগ করতে হবে এবং একে তরল আকারে মাইনাস 18 ডিগ্রি তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হবে । কিন্তু একে ফ্রিজ-ড্রায়েড আকারে সাধারণ রেফ্রিজারেটারেও 2 থেকে 8 ডিগ্রি তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা যেতে পারে, তার ফলে পরিবহণ ও মজুত করাও সহজ হবে । দ্য ল্যান্সেট জার্নালে প্রকাশিত সাম্প্রতিক গবেষণায়, স্পুটনিক-ভি'র সাফল্যের হার বা এফিকেসি 91.6 শতাংশ বলে নির্ধারণ করা হয়েছে ।
নয়াদিল্লির এইমসের সেন্টার ফর কমিউনিটি মেডিসিনের অধ্যাপক হর্ষল আর সালভে জানিয়েছেন, “ভারতের জনসংখ্যার মধ্যে এর এফিকেসির প্রমাণের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে । স্পুটনিক-ভি দেশের সামনে আরেকটা বিকল্প রাখবে, যাতে টিকাকরণ অভিযানে আরও গতি আনা যায় ।”
আরও পড়ুন : করোনা আবহে ভোট কীভাবে, সর্বদলীয় বৈঠক ডাকল কমিশন
গুরগাঁওয়ের মেদান্ত-দ্য মেডিসিটির সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ নেহা গুপ্তার মতে, স্পুটনিক-ভি একটি ভাইরাল ভেক্টর দিয়ে তৈরি ভ্যাকসিন এবং সম্ভবত তা কোভিশিল্ডের মতোই কাজ করবে । 21 দিনের ব্যবধানে এই ভ্যাকসিনের 0.5 মিলিলিটারের দুটি ডোজ় দিতে হবে ।
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চের এন কে অরোরা বলেন, “প্রথম ডোজ়ের উপাদান দ্বিতীয়টির থেকে আলাদা এবং প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ়ের মধ্যে তিন-থেকে চার সপ্তাহের ব্যবধান রাখা উচিত।”
আরও পড়ুন : দিল্লির অধিকাংশ করোনা হাসপাতালেই খালি নেই শয্যা
কোভিড মোকাবিলার জন্য স্পুটনিক-ভিকে 60 টি দেশে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে । সরকারি ব্যবস্থার ছাড়পত্রের দিক থেকে দেখলে, গোটা বিশ্বে করোনা ভ্যাকসিনগুলোর মধ্যে এটা দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।
গত কয়েকদিনে হু হু করে সংক্রমণ বাড়তে থাকার মধ্যেই কয়েকটি রাজ্য থেকে ভ্যাকসিনে ঘাটতির খবরও সামনে আসছিল । এই পরিস্থিতির মধ্যেই স্পুটনিক-ভিকে জরুরিভিত্তিক অনুমোদন দেওয়া হল ।