ETV Bharat / sukhibhava

Monkeypox Infection: অযথা ভয় নয়! জেনে নিন মাঙ্কিপক্স নিয়ে যা যা জানা দরকার

18 জুলাই কেরালার কন্নড়ে মাঙ্কিপক্সের দ্বিতীয় কেসের সন্ধান মিলেছে ৷ ফলত রোগ নিয়ে আতঙ্ক বেড়েছে ৷ তবে কিছু নিয়ম মানলে এই রোগকে দূরে রাখা কোনও বড় ব্যাপার নয় ৷ দেখুন বিশেষজ্ঞদের মত (Monkeypox precaution tips)৷

Monkeypox Infection
অযথা ভয় নয়! জেনে নিন মাঙ্কি পক্স নিয়ে যা যা জানা দরকার
author img

By

Published : Jul 19, 2022, 8:13 PM IST

18 জুলাই কেরালার কন্নড়ে মাঙ্কিপক্সের দ্বিতীয় কেসের সন্ধান মেলার পর থেকে এই রোগ নিয়ে উদ্বেগ বাড়তে শুরু করেছে ৷ 31 বছরের এই ব্যক্তি এখন হাসপাতালে ভর্তি ৷ সাধারণত আফ্রিকার বাইরে কিন্তু এই রোগের প্রাদুর্ভাব সেভাবে চোখে পড়ে না ৷ কিন্তু এইবার সাম্প্রতিককালে আফ্রিকায় যাননি এমন বেশ কিছু ব্যক্তির মধ্যেও এই রোগের লক্ষণ দেখা গিয়েছে ৷ যার জেরে বিশেষজ্ঞরা এই বিষয়টি নিয়ে নতুন করে ভাবতে শুরু করেছেন ৷ আসুন মাঙ্কিপক্স যা যা জেনে নেওয়া দরকার তা দেখে নেওয়া যাক ৷

যদিও ভারতে দুটি কেস সামনে আসার পর আতঙ্ক তৈরি হয়েছে অনেকের মধ্যেই তবে কিছু নিয়ম মানলে এই রোগকে দূরে রাখা কোনও বড় ব্যাপার নয় (Monkeypox precaution tips) ৷

মাঙ্কিপক্স কী (what is Monkeypox ):

মাঙ্কিপক্স একটি ভাইরাস যা ইঁদুর এবং প্রাইমেট জাতীয় বন্য প্রাণীর থেকে মানুষের মধ্য়ে ছড়িয়ে পড়ে ৷ এই রোগটির মূল জন্মস্থান আফ্রিকা ধরা যেতে পারে ৷ মধ্য় এবং পশ্চিম আফ্রিকাতেই বেশিরভাগ মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হন ৷ 1958 সালে বিজ্ঞানীরা এই রোগটি প্রথম শনাক্ত করেন ৷ বানরদের মধ্য়ে পক্সের মত একটি রোগের প্রাদুর্ভাব দেখে তা নিয়ে গবেষণা শুরু করেন তাঁরা ৷ এই জন্যই রোগটির নাম দেওয়া হয় মাঙ্কিপক্স ৷ 1970 সালে প্রথম মানুষের দেহে এই রোগের লক্ষণ দেখা যায় ৷ কঙ্গোর প্রত্যন্ত অঞ্চলে 9 বছরের একটি বাচ্চা প্রথম এই রোগে আক্রান্ত হয় ৷

এর উপসর্গ এবং চিকিৎসা (what are the symptoms of Monkeypox ):

মাঙ্কিপক্স গুটিবসন্তের মতই একই ভাইরাস পরিবারের অন্তর্গত ৷ এক্ষেত্রে বেশিরভাগ রোগীই জ্বর, গা হাত পায়ে ব্যথাভাব এবং ক্লান্তি অনুভব করেন ৷ রোগের প্রভাব গুরুতর হলে রোগীর মুখে, হাতে ফুসকুড়ি এবং পরবর্তীক্ষেত্রে ক্ষত সৃষ্টি হতে পারে ৷ প্রায় পাঁচ দিন থেকে তিন সপ্তাহ পর্যন্ত কষ্ট পেতে হয় রোগীদের । বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অবশ্য় হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন হয় না ৷ দুই থেকে চার সপ্তাহের মধ্যেই রোগী সেরে ওঠেন ৷ দশ জনের মধ্যে একজনের জন্যই মারাত্মক হতে পারে মাঙ্কিপক্স ৷

তবে শিশুদের ক্ষেত্রে এটি খুবই ভয়ংকর আকার ধারণ করতে পারে ৷ এইমসের মেডিসিন বিভাগের ডাঃ পীযূষ রঞ্জনের মতে, "মাঙ্কিপক্সের লক্ষণগুলি একেবারেই গুটিবসন্ত এবং চিকেনপক্সের মতো । শুরুতে, রোগীদের জ্বর হবে এবং লিম্ফ নোড বৃদ্ধি পাবে । 1-5 দিন পরে রোগীর মুখে, হাতের তালুতে বা তলদেশে ফুসকুড়ি দেখা দিতে পারে । তাদের কর্নিয়ায় ফুসকুড়ি হতে পারে যা অন্ধত্বের দিকে পরিচালিত করে ।"

ভাইরাসের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের প্রায়শই কয়েকটি গুটিবসন্তের টিকা দেওয়া হয় ৷ মাঙ্কিপক্সের বিরুদ্ধেও এই টিকার ভাল ফল পাওয়া গিয়েছে । বর্তমানে এই রোগ প্রতিরোধের জন্য় অ্যান্টি-ভাইরাল ওষুধও তৈরি করা হচ্ছে । বৃহস্পতিবার, ইউরোপীয় সেন্টার ফর ডিজিজ প্রিভেনশন অ্যান্ড কন্ট্রোলের তরফে সুপারিশ করা হয়েছে এবার থেকে সমস্ত সন্দেহভাজন কেসকে আলাদা করা হবে ৷ যাঁদের ঝুঁকি বেশি রয়েছে তাঁদের স্মলপক্স ভ্যাকসিনও দেওয়া হবে।

কাদের জন্য ঝুঁকি রয়েছে:

রোগে আক্রান্ত কোনও ব্যক্তির সঙ্গে যৌন সঙ্গম করলে তাদের ঝুঁকি বাড়তে পারে ৷ এছাড়া রোগটি ছড়িয়ে পড়ে আক্রান্ত প্রাণীদের থেকেও ৷

শিশুদের ঝুঁকি কতখানি :

ডাঃ পীযূষ রঞ্জনের মতে,"মাঙ্কিপক্সের সংক্রামণ এমনিতে কম, তবে শিশুদের মধ্যে এটি মারাত্মক হতে পারে । কোভিড-19 এর ক্ষেত্রে সংক্রমণ দ্রুত হয় ৷ তবে এক্ষেত্রে সংক্রামিত ব্যক্তির দীর্ঘস্থায়ী সংস্পর্শে থাকার পরেই মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণ ঘটে । তাই কোভিড-এ সংক্রমণের হার খুব বেশি এবং একটি সংক্রমিত ব্যক্তি অনেককে সংক্রামিত করতে পারে । কিন্তু, মাঙ্কিপক্স কম সংক্রামক ।"

  • মাঙ্কিপক্সের ঝুঁকি কমাতে যে যে বিষয় গুলি মনে রাখা প্রয়োজন (Monkeypox precaution tips):
  • এমন ব্যক্তিদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ কমিয়ে দেওয়া যাদের মাঙ্কিপক্স রোগী হিসেবে সন্দেহ করছেন চিকিৎসকরা কিংবা যাঁরা এই রোগ ধরা পড়েছে ৷
  • শুধু ব্যক্তি নয় প্রাণীদের থেকেও এই রোগ ছড়ায় তাই এই বিষয়ে সংক্রমিত প্রাণীদের থেকেও সাবধানে থাকতে হবে ৷
  • দূষিত পরিবেশ এবং চারপাশ পরিষ্কার রাখা এবং জীবাণুমুক্ত করা ।
  • কোনও লক্ষণ দেখা দিলে বা ফুসকুড়ি দেখা গিলে সঙ্গে সঙ্গেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া।

18 জুলাই কেরালার কন্নড়ে মাঙ্কিপক্সের দ্বিতীয় কেসের সন্ধান মেলার পর থেকে এই রোগ নিয়ে উদ্বেগ বাড়তে শুরু করেছে ৷ 31 বছরের এই ব্যক্তি এখন হাসপাতালে ভর্তি ৷ সাধারণত আফ্রিকার বাইরে কিন্তু এই রোগের প্রাদুর্ভাব সেভাবে চোখে পড়ে না ৷ কিন্তু এইবার সাম্প্রতিককালে আফ্রিকায় যাননি এমন বেশ কিছু ব্যক্তির মধ্যেও এই রোগের লক্ষণ দেখা গিয়েছে ৷ যার জেরে বিশেষজ্ঞরা এই বিষয়টি নিয়ে নতুন করে ভাবতে শুরু করেছেন ৷ আসুন মাঙ্কিপক্স যা যা জেনে নেওয়া দরকার তা দেখে নেওয়া যাক ৷

যদিও ভারতে দুটি কেস সামনে আসার পর আতঙ্ক তৈরি হয়েছে অনেকের মধ্যেই তবে কিছু নিয়ম মানলে এই রোগকে দূরে রাখা কোনও বড় ব্যাপার নয় (Monkeypox precaution tips) ৷

মাঙ্কিপক্স কী (what is Monkeypox ):

মাঙ্কিপক্স একটি ভাইরাস যা ইঁদুর এবং প্রাইমেট জাতীয় বন্য প্রাণীর থেকে মানুষের মধ্য়ে ছড়িয়ে পড়ে ৷ এই রোগটির মূল জন্মস্থান আফ্রিকা ধরা যেতে পারে ৷ মধ্য় এবং পশ্চিম আফ্রিকাতেই বেশিরভাগ মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হন ৷ 1958 সালে বিজ্ঞানীরা এই রোগটি প্রথম শনাক্ত করেন ৷ বানরদের মধ্য়ে পক্সের মত একটি রোগের প্রাদুর্ভাব দেখে তা নিয়ে গবেষণা শুরু করেন তাঁরা ৷ এই জন্যই রোগটির নাম দেওয়া হয় মাঙ্কিপক্স ৷ 1970 সালে প্রথম মানুষের দেহে এই রোগের লক্ষণ দেখা যায় ৷ কঙ্গোর প্রত্যন্ত অঞ্চলে 9 বছরের একটি বাচ্চা প্রথম এই রোগে আক্রান্ত হয় ৷

এর উপসর্গ এবং চিকিৎসা (what are the symptoms of Monkeypox ):

মাঙ্কিপক্স গুটিবসন্তের মতই একই ভাইরাস পরিবারের অন্তর্গত ৷ এক্ষেত্রে বেশিরভাগ রোগীই জ্বর, গা হাত পায়ে ব্যথাভাব এবং ক্লান্তি অনুভব করেন ৷ রোগের প্রভাব গুরুতর হলে রোগীর মুখে, হাতে ফুসকুড়ি এবং পরবর্তীক্ষেত্রে ক্ষত সৃষ্টি হতে পারে ৷ প্রায় পাঁচ দিন থেকে তিন সপ্তাহ পর্যন্ত কষ্ট পেতে হয় রোগীদের । বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অবশ্য় হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন হয় না ৷ দুই থেকে চার সপ্তাহের মধ্যেই রোগী সেরে ওঠেন ৷ দশ জনের মধ্যে একজনের জন্যই মারাত্মক হতে পারে মাঙ্কিপক্স ৷

তবে শিশুদের ক্ষেত্রে এটি খুবই ভয়ংকর আকার ধারণ করতে পারে ৷ এইমসের মেডিসিন বিভাগের ডাঃ পীযূষ রঞ্জনের মতে, "মাঙ্কিপক্সের লক্ষণগুলি একেবারেই গুটিবসন্ত এবং চিকেনপক্সের মতো । শুরুতে, রোগীদের জ্বর হবে এবং লিম্ফ নোড বৃদ্ধি পাবে । 1-5 দিন পরে রোগীর মুখে, হাতের তালুতে বা তলদেশে ফুসকুড়ি দেখা দিতে পারে । তাদের কর্নিয়ায় ফুসকুড়ি হতে পারে যা অন্ধত্বের দিকে পরিচালিত করে ।"

ভাইরাসের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের প্রায়শই কয়েকটি গুটিবসন্তের টিকা দেওয়া হয় ৷ মাঙ্কিপক্সের বিরুদ্ধেও এই টিকার ভাল ফল পাওয়া গিয়েছে । বর্তমানে এই রোগ প্রতিরোধের জন্য় অ্যান্টি-ভাইরাল ওষুধও তৈরি করা হচ্ছে । বৃহস্পতিবার, ইউরোপীয় সেন্টার ফর ডিজিজ প্রিভেনশন অ্যান্ড কন্ট্রোলের তরফে সুপারিশ করা হয়েছে এবার থেকে সমস্ত সন্দেহভাজন কেসকে আলাদা করা হবে ৷ যাঁদের ঝুঁকি বেশি রয়েছে তাঁদের স্মলপক্স ভ্যাকসিনও দেওয়া হবে।

কাদের জন্য ঝুঁকি রয়েছে:

রোগে আক্রান্ত কোনও ব্যক্তির সঙ্গে যৌন সঙ্গম করলে তাদের ঝুঁকি বাড়তে পারে ৷ এছাড়া রোগটি ছড়িয়ে পড়ে আক্রান্ত প্রাণীদের থেকেও ৷

শিশুদের ঝুঁকি কতখানি :

ডাঃ পীযূষ রঞ্জনের মতে,"মাঙ্কিপক্সের সংক্রামণ এমনিতে কম, তবে শিশুদের মধ্যে এটি মারাত্মক হতে পারে । কোভিড-19 এর ক্ষেত্রে সংক্রমণ দ্রুত হয় ৷ তবে এক্ষেত্রে সংক্রামিত ব্যক্তির দীর্ঘস্থায়ী সংস্পর্শে থাকার পরেই মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণ ঘটে । তাই কোভিড-এ সংক্রমণের হার খুব বেশি এবং একটি সংক্রমিত ব্যক্তি অনেককে সংক্রামিত করতে পারে । কিন্তু, মাঙ্কিপক্স কম সংক্রামক ।"

  • মাঙ্কিপক্সের ঝুঁকি কমাতে যে যে বিষয় গুলি মনে রাখা প্রয়োজন (Monkeypox precaution tips):
  • এমন ব্যক্তিদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ কমিয়ে দেওয়া যাদের মাঙ্কিপক্স রোগী হিসেবে সন্দেহ করছেন চিকিৎসকরা কিংবা যাঁরা এই রোগ ধরা পড়েছে ৷
  • শুধু ব্যক্তি নয় প্রাণীদের থেকেও এই রোগ ছড়ায় তাই এই বিষয়ে সংক্রমিত প্রাণীদের থেকেও সাবধানে থাকতে হবে ৷
  • দূষিত পরিবেশ এবং চারপাশ পরিষ্কার রাখা এবং জীবাণুমুক্ত করা ।
  • কোনও লক্ষণ দেখা দিলে বা ফুসকুড়ি দেখা গিলে সঙ্গে সঙ্গেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.