ETV Bharat / sukhibhava

Effects of Social Media : সোশ্য়াল মিডিয়া থেকে এক সপ্তাহের বিরতি মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে পারে: গবেষণা

সোশ্য়াল মিডিয়া থেকে এক সপ্তাহের বিরতি নিলে মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে আপনার সাময়িক উন্নতি হতে পারে (How Social Media Effects Mental Health) ৷

Affects of Social Media
সোশ্য়াল মিডিয়া থেকে একটি একসপ্তাহের বিরতিও মানসিক স্বাস্থ্যের অনেক উন্নতি করতে পারে: গবেষণা
author img

By

Published : May 7, 2022, 4:49 PM IST

Updated : May 7, 2022, 6:21 PM IST

হায়দরাবাদ: এক সপ্তাহ সোশ্য়াল মিডিয়া থেকে বিরতি নিলে মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর ভাল না খারাপ ঠিক কী প্রভাব পড়বে, তা নিয়ে একটি গবেষণা চালিয়েছিলেন বাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা (How Social Media Effects Mental Health) ৷ এই গবেষণায় যাঁরা অংশ নিয়েছিলেন তাঁদের অনেকের ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে সোশ্য়াল মিডিয়া থেকে বিরতি মানে প্রায় 9 ঘণ্টা ফাঁকা সময় কারণ এই গোটা সময়টাই তাঁরা ফেসবুক অথবা ইনস্টাগ্রাম কিংবা টিকটক-এ স্ক্রোল করে কাটান ৷

এলোমেলোভাবে এই গবেষণার জন্য় 18-72 বছর বয়সি প্রায় 154 জন অংশগ্রহণকারীকে বেছে নিয়েছিলেন গবেষকরা ৷ তাঁদের মধ্যে কিছু ব্যক্তিকে বলা হয়েছিল এক সপ্তাহ সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে থাকতে এবং অন্য গ্রুপটিকে বলা হয়েছিল তাঁরা সোশ্য়াল মিডিয়া ব্যবহার চালিয়ে যেতে পারেন ৷ গবেষণার শুরুতে, প্রত্য়েক ব্যক্তির উদ্বেগ, বিষন্নতা এবং সামগ্রিক সুস্থতার জন্য বেসলাইন স্কোর মেপে রেখেছিলেন গবেষকরা । গবেষণার শুরুতে অংশগ্রহণকারীরা জানিয়েছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতি সপ্তাহে গড়ে 8 ঘন্টা ব্যয় করেন তাঁরা ৷

দেখা গিয়েছে যে সমস্ত অংশগ্রহণকারীদের এক সপ্তাহ সোশ্য়াল মিডিয়া থেকে বিরতি নিতে বলা হয়েছিল উদ্বেগ, বিষন্নতা এবং সামগ্রিক সুস্থতার ক্ষেত্রে তাঁদের অনেকটাই উন্নতি হয়েছে ৷ দলটিকে মোট দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল যাঁদের সোশ্যাল মিডিয়া বন্ধ রাখতে বলা হয়েছিল তাঁদের রাখা হয়েছিল ইন্টারভেনশন গ্রুপে এবং যাঁদের বাধা দেওয়া হয়নি তাঁদের রাখা হয়েছিল কন্ট্রোল গ্রুপে ৷ দেখা গিয়েছে যাঁরা ইন্টারভেনশন গ্রুপে ছিলেন তাঁরা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেছেন সপ্তাহে মাত্র 21 মিনিট আর যাঁরা কন্ট্রোল গ্রুপে ছিলেন তাঁরা ব্যবহার করেছিলেন সাত ঘণ্টা ৷

বাথের স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান গবেষক, ডক্টর জেফ ল্যাম্বার্ট ব্যাখ্যা করেছেন, "সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রোল করতে থাকা এতটাই সর্বব্যাপী যে আমরা অনেকেই ঘুম থেকে ওঠার মুহূর্ত থেকে চিন্তা না-করেই এটাই করি ৷ যতক্ষণ না আমরা রাতে চোখ বন্ধ করে থাকি । আমরা জানি যে সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার বিশাল এবং এর মানসিক স্বাস্থ্যের উপর কী প্রভাব সে সম্পর্কে উদ্বেগ বাড়ছে, তাই এই গবেষণার মাধ্যমে, আমরা দেখতে চেয়েছিলাম যে লোকেদের এক সপ্তাহের বিরতি নিতে বললে ফল পাওয়া যায় কি না ।"

আরও পড়ুন : গুরুতর স্থুল ব্যক্তিদের জন্য সঠিক কোন ভ্যাকসিন, কী বলছে গবেষণা

তিনি আরও বলেন, "আমাদের অনেক অংশগ্রহণকারী মেজাজের উন্নতি এবং সামগ্রিকভাবে কম উদ্বেগ-সহ সামাজিক মিডিয়া বন্ধ থাকার ইতিবাচক প্রভাবের কথা জানিয়েছেন । এর থেকে এটাই বোঝায যায় যে একটি ছোট বিরতিও প্রভাব ফেলতে পারে । অবশ্যই, সোশ্যাল মিডিয়া জীবনের একটি অংশ এবং অনেক লোকের জন্য, তাঁরা কে এবং তাঁরা অন্যদের সঙ্গে কীভাবে যোগাযোগ করে তার একটি অপরিহার্য অংশ । কিন্তু আপনি যদি প্রতি সপ্তাহে ঘণ্টার পর ঘণ্টা স্ক্রোল করার সময় ব্যয় করেন এবং আপনি মনে করেন যে এটি আপনাকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করছে, তাহলে এটি সাহায্য করে কি না, তা দেখতে আপনার ব্যবহার কমিয়ে দিতে পারেন।"

হায়দরাবাদ: এক সপ্তাহ সোশ্য়াল মিডিয়া থেকে বিরতি নিলে মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর ভাল না খারাপ ঠিক কী প্রভাব পড়বে, তা নিয়ে একটি গবেষণা চালিয়েছিলেন বাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা (How Social Media Effects Mental Health) ৷ এই গবেষণায় যাঁরা অংশ নিয়েছিলেন তাঁদের অনেকের ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে সোশ্য়াল মিডিয়া থেকে বিরতি মানে প্রায় 9 ঘণ্টা ফাঁকা সময় কারণ এই গোটা সময়টাই তাঁরা ফেসবুক অথবা ইনস্টাগ্রাম কিংবা টিকটক-এ স্ক্রোল করে কাটান ৷

এলোমেলোভাবে এই গবেষণার জন্য় 18-72 বছর বয়সি প্রায় 154 জন অংশগ্রহণকারীকে বেছে নিয়েছিলেন গবেষকরা ৷ তাঁদের মধ্যে কিছু ব্যক্তিকে বলা হয়েছিল এক সপ্তাহ সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে থাকতে এবং অন্য গ্রুপটিকে বলা হয়েছিল তাঁরা সোশ্য়াল মিডিয়া ব্যবহার চালিয়ে যেতে পারেন ৷ গবেষণার শুরুতে, প্রত্য়েক ব্যক্তির উদ্বেগ, বিষন্নতা এবং সামগ্রিক সুস্থতার জন্য বেসলাইন স্কোর মেপে রেখেছিলেন গবেষকরা । গবেষণার শুরুতে অংশগ্রহণকারীরা জানিয়েছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতি সপ্তাহে গড়ে 8 ঘন্টা ব্যয় করেন তাঁরা ৷

দেখা গিয়েছে যে সমস্ত অংশগ্রহণকারীদের এক সপ্তাহ সোশ্য়াল মিডিয়া থেকে বিরতি নিতে বলা হয়েছিল উদ্বেগ, বিষন্নতা এবং সামগ্রিক সুস্থতার ক্ষেত্রে তাঁদের অনেকটাই উন্নতি হয়েছে ৷ দলটিকে মোট দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল যাঁদের সোশ্যাল মিডিয়া বন্ধ রাখতে বলা হয়েছিল তাঁদের রাখা হয়েছিল ইন্টারভেনশন গ্রুপে এবং যাঁদের বাধা দেওয়া হয়নি তাঁদের রাখা হয়েছিল কন্ট্রোল গ্রুপে ৷ দেখা গিয়েছে যাঁরা ইন্টারভেনশন গ্রুপে ছিলেন তাঁরা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেছেন সপ্তাহে মাত্র 21 মিনিট আর যাঁরা কন্ট্রোল গ্রুপে ছিলেন তাঁরা ব্যবহার করেছিলেন সাত ঘণ্টা ৷

বাথের স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান গবেষক, ডক্টর জেফ ল্যাম্বার্ট ব্যাখ্যা করেছেন, "সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রোল করতে থাকা এতটাই সর্বব্যাপী যে আমরা অনেকেই ঘুম থেকে ওঠার মুহূর্ত থেকে চিন্তা না-করেই এটাই করি ৷ যতক্ষণ না আমরা রাতে চোখ বন্ধ করে থাকি । আমরা জানি যে সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার বিশাল এবং এর মানসিক স্বাস্থ্যের উপর কী প্রভাব সে সম্পর্কে উদ্বেগ বাড়ছে, তাই এই গবেষণার মাধ্যমে, আমরা দেখতে চেয়েছিলাম যে লোকেদের এক সপ্তাহের বিরতি নিতে বললে ফল পাওয়া যায় কি না ।"

আরও পড়ুন : গুরুতর স্থুল ব্যক্তিদের জন্য সঠিক কোন ভ্যাকসিন, কী বলছে গবেষণা

তিনি আরও বলেন, "আমাদের অনেক অংশগ্রহণকারী মেজাজের উন্নতি এবং সামগ্রিকভাবে কম উদ্বেগ-সহ সামাজিক মিডিয়া বন্ধ থাকার ইতিবাচক প্রভাবের কথা জানিয়েছেন । এর থেকে এটাই বোঝায যায় যে একটি ছোট বিরতিও প্রভাব ফেলতে পারে । অবশ্যই, সোশ্যাল মিডিয়া জীবনের একটি অংশ এবং অনেক লোকের জন্য, তাঁরা কে এবং তাঁরা অন্যদের সঙ্গে কীভাবে যোগাযোগ করে তার একটি অপরিহার্য অংশ । কিন্তু আপনি যদি প্রতি সপ্তাহে ঘণ্টার পর ঘণ্টা স্ক্রোল করার সময় ব্যয় করেন এবং আপনি মনে করেন যে এটি আপনাকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করছে, তাহলে এটি সাহায্য করে কি না, তা দেখতে আপনার ব্যবহার কমিয়ে দিতে পারেন।"

Last Updated : May 7, 2022, 6:21 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.