হায়দরাবাদ : চলছে তীব্র দাবদাহ, এই গরমে ঘাম, শরীরের আদ্রতা হারিয়ে ফেলা এবং আরও বেশ কিছু কারণের জেরে পুরুষ- মহিলা সকলকেই বেশ কিছু সমস্য়ায় পড়তে হয় ৷ গ্রীষ্মে চুলের শুষ্কতা, খুশকি, মাথার ত্বকে সংক্রমণ, এমনকী উকুনও খুব সাধারণ সমস্যা । এর ফলে চুল একেবারে নিস্তেজ এবং প্রাণহীণ হয়ে পড়ে ৷ ইটিভি ভারতের সুখীভব টিম এই বিষয়ে যোগাযোগ করেছিল চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ আশা সাকলানির সঙ্গে ৷ তিনি স্পষ্টতই জানান, এক্ষেত্রে প্রধান অপরাধী হল সূর্যের তাপ, ময়লা এবং ঘাম ৷ একইসঙ্গে দূষণ তো রয়েছেই ৷ তাই এসময় চুল এবং ত্বকের যত্ন নেওয়া একান্ত প্রয়োজন (how to keep hair healthy in summer)৷
ডক্টর আশা সাকলানি বলেন, "বেশিরভাগ মানুষ গ্রীষ্মকালে মাথা না ঢেকে ঘর থেকে বের হন । এমন পরিস্থিতিতে, যখন আমাদের মাথার ত্বক ধূলো, দূষণ এবং তীব্র তাপপ্রবাহের সংস্পর্শে আসেন, তখন তা আমাদের মাথার ত্বকে খারাপ প্রভাব ফেলে । একই সময়ে, যারা টু-হুইলার চালানোর সময় দীর্ঘ সময় ধরে হেলমেট পরেন, তাঁদের অতিরিক্ত ঘাম হয় । ময়লা এবং দূষণের সঙ্গে সঙ্গে ঘাম মাথার ত্বকে জমা হয়, যা আরও নানান সংক্রমণ যেমন চুলকানি, ফুসকুড়ি এবং অন্যান্য সমস্যার কারণ হতে পারে ।"
প্রতিকার :
এর প্রতিকারের জন্য বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক আশা সাকলানি :
- সপ্তাহে অন্তত তিনবার হালকা অথবা হার্বাল শ্যাম্পু চুল ধুয়ে ফেলুন ৷ বিশেষ করে যাঁরা প্রতিদিন বেশি ধুলাবালি এবং দূষণের সংস্পর্শে আসেন বা যাঁরা দীর্ঘ সময় ধরে হেলমেট পরেন, তাঁদের অবশ্যই এই বিষয়টি মেনে চলা দরকার ৷
- যখনই ঘর থেকে বেরোবেন এমনকি কয়েক মিনিটের জন্য হলেও টুপি বা সুতির কাপড় বা ওড়না দিয়ে মাথা ঢেকে নিতে ভুলবেন না ৷ সরাসরি সূর্যালোক বা ধুলোর সংস্পর্শে এলে চুল এবং মাথার ত্বকে বেশি সমস্য়া তৈরি হবে ৷ এছাড়া হেলমেট পরার আগে মাথায় একটি সুতির কাপড় বেঁধে নিন ৷ এতে অত্যধিক ঘাম তাড়াতাড়ি শুকোবে আর সংক্রমণ সম্ভবনাও কমবে ৷
- সারাদিন নিজেকে সঠিকভাবে হাইড্রেটেড রাখুন। জল ছাড়া অন্যান্য পানীয়ও পান করুণ । একইসঙ্গে জলের পরিমাণ বেশি রয়েছে এমন ফল যেমন তরমুজ, কস্তুরি এগুলিকে খাদ্যতালিকার অন্তর্ভুক্ত করে নিন ৷
- মহিলাদের ক্ষেত্রে চুল খুব বেশি আঁটসাঁট করে বাঁধা উচিত নয়, কারণ ঘাম এবং সূর্যের আলোর তীব্রতার কারণে চুলের শিকড় দুর্বল হয়ে যেতে পারে ৷
- গ্রীষ্ম হোক বা অন্য় যে কোনও ঋতু, সবসময় মনে রাখবেন চুল কখনও তোয়ালে দিয়ে মুছবেন না । কারণ এর ফলে ঘর্ষণ সৃষ্টি হয় এবং চুলের প্রাকৃতিক আদ্রতাও নষ্ট হয়ে যায় ৷ বদলে সুতির কাপড় এক্ষেত্রে আদর্শ ৷
- আপনার চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে, আপনার চুলের বিভিন্ন স্টাইলিং করা এড়িয়ে চলুন যেমন স্ট্রেইটনার, কালার বা ড্রায়ার ব্যবহার করা । এছাড়াও, রাসায়নিক যুক্ত পণ্যগুলি ব্যবহার করা এড়িয়ে চলুন ৷
- সপ্তাহে দু'বার আপনার চুলে তেল দিন, কিন্তু আপনার চুলে তেল বেশিক্ষণ রাখবেন না । গ্রীষ্মকালে শ্যাম্পু করার 15-60 মিনিট আগে চুলে তেল দিন ।