রায়গঞ্জ, 31 অগষ্ট: বাড়ি ফেরার পথে গুলিবিদ্ধ যুবক। গুরুতর আহত অবস্থায় রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই যুবক ৷ ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলার ফারসারায়। অভিযোগের তীর ডালখোলা পৌরসভার উপপ্রধান হাজি ফিরোজ আহমেদের ছেলে আসগর ও ভাইপো প্রিন্স আহমেদের বিরুদ্ধে। তবে এই ঘটনায় এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি।
গুলিবিদ্ধ যুবক তইবুর রহমান বলেন, "বন্ধুর সঙ্গে মোমো খেয়ে বাড়ি ফিরছিলাম ৷ রাস্তায় ডালখোলার ফারসারা এলাকায় কয়েকজন যুবকের সঙ্গে বচসা বাঁধে ৷ এরপর তারা আমাদের উপর চড়াও হন ৷ তাদের মধ্যে একজন তিন রাউন্ড গুলি চালায় ৷ একটা গুলি আমার হাতে এসে লাগে।" আহতের দাদা তাজিবুর রহমান বলেন, "আমার ভাইকে যারা গুলি করেছে তাদের শাস্তি চাই ৷ অন্যথায় পথ অবরোধ করব ৷ কারা গুলি চালিয়েছে সেটা আমরা জানি ৷"
অন্যদিকে, গোটা বিষয়টি জেনে প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন ডালখোলা পৌরসভার পুরপ্রধান স্বদেশ চন্দ্র সরকার। তিনি জানিয়েছেন, এই রকম ঘটনা ঘটে থাকলে দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা হবে ৷ অন্যদিকে, ডালখোলা থানার পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে ৷ তবে অভিযুক্তদের এখনও চিহ্নিত করা যায়নি।
উল্লেখ্য, বুধবার সন্ধ্যায় একটি স্করপিও গাড়িতে চেপে ডালখোলায় মোমো খেতে আসেন তইবুর এবং তাঁর দুই বন্ধু। রাতে বাড়ি ফেরার সময় তাঁরা দেখেন ডালখোলার ফারসারা এলাকায় কয়েকজন যুবক রাস্তায় মোটর বাইক রেখে গল্প করছেন। হর্ন বাজিয়ে তাঁদের সরতে যেতে বলাতেই শুরু হয় বচসা ৷
অভিযোগ, তইবুর ও তাঁর দুই বন্ধুর ওপর চড়াও হন বেশ কয়েকজন যুবক ৷ মদ্যপ অবস্থায় তাঁদের মারধর করা হয়। সেই সময় একজন আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে এসে তিন রাউন্ড গুলি চালায় বলে অভিযোগ। এর মধ্যে একটি গুলি এসে লাগে তইবুরের হাতে। অন্য একটি গাড়ির সামনের কাঁচে লাগে ৷ অভিযোগ, একটি আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে এসে তইবুরকে লক্ষ করে তিন রাউন্ড গুলি চালায় প্রিন্স আহমেদ ও আসগর।
আরও পড়ুন: রানাঘাটে ডাকাতিতে ধৃত রাজু ঝা খুনে মূল অভিযুক্ত! পুলিশি জেরায় সামনে এল তথ্য
কোনওরকমে সেখান থেকে পালিয়ে একটি জায়গায় আশ্রয় নেন তাঁরা। পরে ফোন করে বাড়ির লোকেদের জানালে ঘটনাস্থলে তাঁরা ছুটে আসেন । খবর দেওয়া হয় পুলিশে। পুলিশ এসে আহত তইবুর ও তাঁর দুই বন্ধুকে উদ্ধার করে প্রথমে ডালখোলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে গুলিবিদ্ধ তইবুরকে রায়গঞ্জ গভর্মেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে সরব আহতের পরিবার।