রায়গঞ্জ, 24 ডিসেম্বর: জেলায় জাঁকিয়ে পড়েছে শীত ৷ আর শীত মানেই পিঠে-পুলি ৷ কুয়াশার চাদরে মোড়া সকালে গরম গরম পিঠে খেতে কে না ভালোবাসে ৷ তাই শীতের মরশুমে রায়গঞ্জে চাহিদা তুঙ্গে ভাপা পিঠের ৷ গ্রাম থেকে শহর বিভিন্ন বাজারে পাওয়া যায় এই পিঠে ৷ বাজার করার মাঝে টুক করে এই পিঠে খেয়ে নিচ্ছেন অনেকে ৷ অনেকে আবার বাড়ির জন্য কিনে নিয়ে যাচ্ছেন ৷ কারণ এই মরশুমে অন্যান্য খাবারের পাশাপাশি পিঠে-পুলি খাওয়ার হিড়িক পরে যায় ঘরে ঘরে । তবে কর্মব্যস্ততার জেরে বাড়িতে বাড়িতে এখন পিঠে তৈরির চল তেমন নেই ৷ তাই দোকানে দোকানে ভাপা পিঠে কিনতে ভিড় জমাচ্ছেন সাধারণ মানুষেরা ।
বলাকা রায়চৌধুরী ও সুবোধ বর্মনরা জানাচ্ছেন, বাজার করতে এসেছিলেন তাঁরা ৷ এরই মাঝে ভাপা পিঠে কিনে খাচ্ছেন এবং বাড়ির জন্য নিয়ে যাচ্ছেন ৷ গরম গরম এই পিঠে খেতে ভালো লাগে ৷ ঠান্ডা হলে পিঠেটা একটু শক্ত হয়ে যায় ৷
রায়গঞ্জ শহরের বিভিন্ন এলাকায় ভাপা পিঠের জনপ্রিয়তা এই সময় আকাশছোঁয়া । মাটির হাড়িতে ফুটতে থাকা গরম জলের ভাপে তৈরি হয় চালের এই পিঠে । পিঠের নরম শরীরে লুকিয়ে থাকে গুড়ের আস্তরন । শীতের কুয়াশা ভেজা সকালে এই পিঠের সন্ধানেই রায়গঞ্জের বিভিন্ন বাজারে আসেন মানুষজন ৷ একদিকে ভাপা-পিঠার স্বাদ আর অন্যদিকে উনুনের আগুন ও জলীয় বাষ্পের উত্তাপ যেন চাঙ্গা করে দেয় দেহমন । অনেকেই পিঠার দোকানে উনুনের পাশে বসেই খেয়ে নিচ্ছেন গরম গরম পিঠে ।
চালের গুঁড়োর সঙ্গে আটা বা ময়দা ও নারকেলের গুঁড়ো মিশিয়ে তৈরি করা হচ্ছে ভাপা পিঠে । মাটির উনুনে তৈরি পিঠে দেদার বিকচ্ছে রায়গঞ্জে ৷ সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত গ্রামের মহিলারা এই পিঠের পসরা নিয়ে বসছেন শহরের বিভিন্ন এলাকায় । শীতের মরশুমে নরম নরম ভাপা পিঠের নেশায় মন মজেছে রায়গঞ্জবাসীর । পিঠে বিক্রেতা মামনি বর্মন ও সর্পিলা রাজবংশী বলেন, "এবারে ভালোই বিক্রি হচ্ছে ভাপা পিঠে ৷ দিয়ে উঠতে পারছি না ৷ শীতের এই কয়েকদিন পিঠের চাহিদা থাকে ৷ গরমের সময় এই পিঠে খেতে ভালো লাগে না ৷"
আরও পড়ুন: