রায়গঞ্জ, 21 অক্টোবর: বিয়ের দাবিতে নাবালক প্রেমিকের বাড়ির সামনে ধরনায় বসেছিল কিশোরী ৷ তাকে পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়ায় থানার ভেতরে ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হল সে । এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হেমতাবাদ থানা চত্বরে (Hemtabad Suicide)। 24 ঘণ্টা পার হয়ে যাওয়ার পরেও বাড়ির লোকেরা মেয়ের মৃতদেহ দেখতে না পারায়, হেমতাবাদ মোড়ে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান মৃতার পরিবারের সদস্যরা । ঘটনাস্থলে গিয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী ।
হেমতাবাদ থানার ভেতরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে কিশোরীর আত্মহত্যার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল বৃহস্পতিবার । পুলিশ সূত্রে খবর, হেমতাবাদ থানার বেলতোর এলাকার বাসিন্দা 17 বছরের কিশোরের সঙ্গে কালিয়াগঞ্জ থানার মাধবপুর সংলগ্ন কাশিডাঙ্গা এলাকায় বাসিন্দা 17 বছরের কিশোরীর দীর্ঘ দু বছর ধরে ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে । বৃহস্পতিবার ওই নাবালিকা বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়ির সামনে ধর্নায় বসলে হেমতাবাদ থানার পুলিশ ওই কিশোরীকে থানায় তুলে নিয়ে যায় । এরপরই বাথরুমে যাওয়ার নাম করে নাবালিকাটি বাথরুমের ভেতরে ঢুকে নিজের ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে ৷ বাথরুমের ভেতর থেকে পুলিশ শব্দ শুনে ছুটে গিয়ে দেখে ওই কিশোরী ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলছে । তখনই তড়িঘড়ি পুলিশ কিশোরীকে প্রথমে উদ্ধার করে হেমতাবাদ গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায় ৷ এরপর অবস্থার অবনতি হলে তাকে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক ওই কিশোরীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ।
আরও পড়ুন: নাবালক প্রেমিকের সঙ্গে সহবাস ! বিয়ের দাবিতে ধরনা দিলেন যুবতী
নাবালিকার পরিবার এই ঘটনায় হেমতাবাদ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে । ওই নাবালিকারার মৃতদেহটির খোঁজ না পাওয়ায় শুক্রবার বেলা 11টা থেকে হেমতাবাদ মোড়ে রায়গঞ্জ-বালুরঘাট রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন পরিবারের লোকজন । অবরোধের ফলে ওই রাজ্য সড়কে ব্যাপক যানযটের সৃষ্টি হয় । খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় হেমতাবাদ থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী । মৃতার আত্মীয়দের বুঝিয়ে অবরোধ তুলে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন পুলিশের শীর্ষ কর্তারা ৷