রায়গঞ্জ, ৩ এপ্রিল : এবার লোকসভা নির্বাচনে কোন ভোটকর্মীর ডিউটি কোন বিধানসভা এলাকায় পড়েছে তা চেনা যাবে তাঁর টুপির রং দিয়ে। এমনই অভিনব পদ্ধতিতে উত্তর দিনাজপুর জেলার ৯টি বিধানসভা এলাকার ভোটকর্মীদের ভাগ করে দিয়েছেন জেলাশাসক অরবিন্দ কুমার মিনা। ৯টি ভিন্ন রং চিহ্নিত করে কালার কোডিং পদ্ধতির মাধ্যমে আলাদা করা হয়েছে তাদের। তবে শুধু ভিন্ন রঙের টুপি নয়, পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট রঙের অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটারও পাবেন ওই ভোটকর্মীরা। ৯টি বিধানসভা এলাকার প্রায় দশ হাজার ভোটকর্মীরা এই সামগ্রী হাতে পাবেন।
জেলাশাসক অরবিন্দ কুমার মিনার দাবি, এই কালার কোডিং পদ্ধতির মাধ্যমে একদিকে যেমন ভোটকর্মীরা তাদের জন্য নির্দিষ্ট বুথ খুঁজে পেতে সুবিধা লাভ করবে তেমনই ভোটের কাজ শেষ হওয়ার পর কোন এলাকার ভোটকর্মীরা কখন এসে পৌঁছাচ্ছে বা তারা কী অবস্থায় রয়েছে ইত্যাদি সঠিকভাবে জানতে পারবে প্রশাসন। তিনি আরও জানান, এবছর ভোটকর্মীদের অন্যান্য সুযোগ সুবিধাও করে দিচ্ছে প্রশাসন। একদিকে যেমন তাদের স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত সমস্যার জন্য মেডিসিন কিট দেওয়া হচ্ছে তেমনই বেড রোল মশারিসহ মশা মারার ধুপ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রও দেওয়া হচ্ছে ভোটের আগের দিনের জন্য। এছাড়াও ভোটের কাজ শেষে ভোটকর্মীরা যখন ফিরবেন তখন তাদের ঠাণ্ডা পানীয়, চকোলেট ও লস্যি দেওয়া হবে।
জেলাশাসক অরবিন্দ কুমার মিনা বলেন, "আমরা আমাদের ভোটকর্মীদের সবদিক থেকে ভালো রাখার উপর পুরো নজর দিয়েছি।"
আর কিছুদিনের মধ্যেই রায়গঞ্জ, দার্জিলিং ও বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। উত্তর দিনাজপুর জেলার ৯টি বিধানসভার মধ্যে ৭টি বিধানসভা এলাকাই রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের। বাকি ২টি বিধানসভা এলাকা দার্জিলিং ও বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। নির্বাচনের সময় বা তারপর ভোটকর্মীদের বিভিন্ন অসুবিধার কথা সামনে আসে। কখনও তারা নিজেদের বুথ খুঁজে পান না আবার কখনও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। যদিও গত লোকসভা নির্বাচনের সময় থেকেই উত্তর দিনাজপুর জেলায় ভোটকর্মীদের সুবিধার জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।