ETV Bharat / state

যুবতির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, প্রেমিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ পরিবারের

অভিযোগ, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস ও মেলামেশা করার পর পণ হিসেবে দশ লাখ টাকা দাবি করে প্রেমিক । টাকা না দিলে বিয়ে করা সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেওয়ায় গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হল এক যুবতি । ঘটনাটি উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ থানার হাতিয়া গ্রামের ।

Suicide a girl because of dowry
দীর্ঘ সম্পর্কের পর বিয়ের পণ চাইলে আত্মঘাতী যুবতী
author img

By

Published : Feb 28, 2020, 9:12 AM IST

রায়গঞ্জ, ২৭ ফেব্রুয়ারি : বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দীর্ঘদিন সহবাস ও মেলামেশা করার পর পণ হিসেবে দশ লাখ টাকা দাবি করে প্রেমিক । অভিযোগ, টাকা না দিলে বিয়ে করা সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেয় ছেলের পরিবার ৷ তারপরই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হল এক যুবতি । ঘটনাটি উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ থানার হাতিয়া গ্রামের । মৃতার নাম মালা দাস (২৪) । পেশায় প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক অভিযুক্ত প্রেমিক অনিমেষ দাস ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে রায়গঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতার বাবা মণিমোহন দাস । দোষীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে মৃতার পরিবার । মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ মর্গে পাঠিয়েছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ । ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ৷

রায়গঞ্জ থানার হাতিয়া গ্রামের বাসিন্দা মালা দাসের সাথে ছয়-সাত বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল এলাকারই যুবক অনিমেষ দাসের । এরইমধ্যে প্রাথমিক স্কুলের চাকরি পায় অনিমেষ । অভিযোগ, চাকরি পাওয়ার পর থেকে প্রেমিকা মালাকে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে থাকেন তিনি । বিয়ের কথা বললেই দেরি আছে বলে এড়িয়ে যান । শিক্ষকতার কাজের সূত্রে চোপড়ায় থাকতে হয় অনিমেষকে । মালাও হাতিয়া এলাকাতেই একটি বেসরকারি নার্সারি স্কুলে শিক্ষিকার কাজ শুরু করেন । তাঁদের মধ্যে দেখা হলেও অনিমেষ বিয়ের কথা এড়িয়ে যেতেন । তাঁদের সম্পর্কের বিষয়টি নিয়ে দুই পরিবারের লোকেরাই জানত । মালার বাবা মণিমোহন দাস অনিমেষের পরিবারকে মেয়ের বিয়ের ব্যাপারে কথা বলতে গেলে তাঁরা দশ লাখ টাকা দাবি করে বলে অভিযোগ । কর্মসূত্রে দিল্লিতে থাকা মণিমোহনবাবু হতোদ্যম হয়ে পড়েন । মৃতের পরিবারের দাবি, এতদিনের সম্পর্কের পর প্রেমিক অনিমেষের এই আচরণে অপমানে আত্মঘাতী হয় মালা। মালার বাবা মণিমোহন দাস রায়গঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন অনিমেষ ও তাঁর পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে ।

তিনি বলেন, ‘‘সরকারের স্লোগান, বেটি পড়াও, বেটি বাঁচাও ৷ মেয়েকে পড়িয়েছি ৷ কিন্তু বাঁচাতে পাড়লাম না ৷ আমি চাই অনিমেষের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক ৷ যাতে ফুলের মতো মেয়ে অসময়ে ঝরে না যায় ৷’’

রায়গঞ্জ, ২৭ ফেব্রুয়ারি : বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দীর্ঘদিন সহবাস ও মেলামেশা করার পর পণ হিসেবে দশ লাখ টাকা দাবি করে প্রেমিক । অভিযোগ, টাকা না দিলে বিয়ে করা সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেয় ছেলের পরিবার ৷ তারপরই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হল এক যুবতি । ঘটনাটি উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ থানার হাতিয়া গ্রামের । মৃতার নাম মালা দাস (২৪) । পেশায় প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক অভিযুক্ত প্রেমিক অনিমেষ দাস ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে রায়গঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতার বাবা মণিমোহন দাস । দোষীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে মৃতার পরিবার । মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ মর্গে পাঠিয়েছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ । ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ৷

রায়গঞ্জ থানার হাতিয়া গ্রামের বাসিন্দা মালা দাসের সাথে ছয়-সাত বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল এলাকারই যুবক অনিমেষ দাসের । এরইমধ্যে প্রাথমিক স্কুলের চাকরি পায় অনিমেষ । অভিযোগ, চাকরি পাওয়ার পর থেকে প্রেমিকা মালাকে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে থাকেন তিনি । বিয়ের কথা বললেই দেরি আছে বলে এড়িয়ে যান । শিক্ষকতার কাজের সূত্রে চোপড়ায় থাকতে হয় অনিমেষকে । মালাও হাতিয়া এলাকাতেই একটি বেসরকারি নার্সারি স্কুলে শিক্ষিকার কাজ শুরু করেন । তাঁদের মধ্যে দেখা হলেও অনিমেষ বিয়ের কথা এড়িয়ে যেতেন । তাঁদের সম্পর্কের বিষয়টি নিয়ে দুই পরিবারের লোকেরাই জানত । মালার বাবা মণিমোহন দাস অনিমেষের পরিবারকে মেয়ের বিয়ের ব্যাপারে কথা বলতে গেলে তাঁরা দশ লাখ টাকা দাবি করে বলে অভিযোগ । কর্মসূত্রে দিল্লিতে থাকা মণিমোহনবাবু হতোদ্যম হয়ে পড়েন । মৃতের পরিবারের দাবি, এতদিনের সম্পর্কের পর প্রেমিক অনিমেষের এই আচরণে অপমানে আত্মঘাতী হয় মালা। মালার বাবা মণিমোহন দাস রায়গঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন অনিমেষ ও তাঁর পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে ।

তিনি বলেন, ‘‘সরকারের স্লোগান, বেটি পড়াও, বেটি বাঁচাও ৷ মেয়েকে পড়িয়েছি ৷ কিন্তু বাঁচাতে পাড়লাম না ৷ আমি চাই অনিমেষের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক ৷ যাতে ফুলের মতো মেয়ে অসময়ে ঝরে না যায় ৷’’

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.