ইটাহার, 4 সেপ্টেম্বর : ইটাহারের দুই জঙ্গির বাড়িতে তল্লাশি চালাল STF (স্পেশাল টাস্কফোর্স) ৷ আজ STF-এর ছয় জন অফিসারের একটি বিশেষ দল প্রথমে ইটাহারের মারনাই এলাকায় জামাত জঙ্গি আবদুল বারির বাড়িতে ও প্যাথলজিক্যাল ল্যাবে তল্লাশি চালায় ৷ পরে তারা গাজ়িহার এলাকায় অপর জামাত জঙ্গি নিজামউদ্দিন খানের বাড়িতে দীর্ঘক্ষণ তল্লাশি চালায় ৷ STF সূত্রে খবর, এই দুই জঙ্গির বাড়ি ও ল্যাব থেকে একাধিক আপত্তিকর সামগ্রী ও নথি উদ্ধার হয়েছে ৷
আজ সকালে ইটাহার থানার পুলিশের সাহায্যে STF মারনাইয়ের আবদুল বারির বাড়িতে তল্লাশি চালায় ৷ এরপর বাড়ির কাছেই থাকা তার প্যাথলজিক্যাল ল্যাবে যায় STF ৷ সেখানে একটি কাপড়ের পুঁটলি দেখতে পায় ৷ ওই পুঁটলি থেকে ডিটোনেটর, ক্যাপাসিটর, বোমা বানানোর স্প্রিন্টার, ওয়াচ মেশিন ও একটি ল্যাপটপ উদ্ধার করে তদন্তকারীরা ৷ এছাড়াও কিছু আপত্তিকর বস্তু পাওয়া গেছে ৷ আবদুলের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও কথা বলেন তদন্তকারীরা ৷
বিকেলে ইটাহারের গাজ়িহারে আর এক জঙ্গি নিজামউদ্দিনের বাড়িতে যায় STF ৷ সেখানেও দীর্ঘক্ষণ ধরে তল্লাশি চালায় তদন্তকারীরা ৷ নিজামউদ্দিনের বাড়িতে বিশেষ কিছু পাওয়া যায়নি ৷ তবে, জুতোর বাক্স থেকে একটি ল্যাপটপ উদ্ধার করেছে তদন্তকারী দল ৷
আজকের তল্লাশি থেকে উদ্ধার হওয়া জিনিস ও নথিপত্র থেকে নতুন কোনও তথ্য মিলতে পারে বলে অনুমান তদন্তকারীদের ৷ পাশাপাশি জামাত জঙ্গি মডিউলের কাজের ধরন সম্পর্কেও মিলতে পারে কিছু তথ্য বলে আশা করা হচ্ছে ৷
উত্তর দিনাজপুরের পুলিশ সুপার সুমিত কুমার বলেন, "ইটাহারে ধৃতদের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছেন STF -এর তদন্তকারীরা ৷ তদন্তের স্বার্থে কাজ করছে তারা ৷ এর বেশি কিছু বলতে পারছি না ৷"
প্রসঙ্গত, 3 অগাস্ট মালদা থেকে দুই জামাত-উল-মুজাহিদিন জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স ৷ জঙ্গিদের নাম আবদুল বারি ও নিজামউদ্দিন খান । কয়েকদিন ধরে গোয়েন্দারা খবর পাচ্ছিলেন, উত্তর দিনাজপুরে তৈরি হয়েছে জামাতের জাল । পুরোদস্তুর মডিউল তৈরি হয়েছে সেখানে । সেইমতো তদন্ত শুরু করেন গোয়েন্দারা ৷ তদন্তকারীরা খবর পান, মডিউলের দুই জঙ্গি পালানোর চেষ্টায় ছিল । কিন্তু তার আগেই গ্রেপ্তার করা হয় তাদের ।