ETV Bharat / state

"পেটের জ্বালা কোরোনার চেয়েও ভয়ঙ্কর", ফের ভিন রাজ্যে পাড়ি শ্রমিকদের

কোরোনা আবহেই ভিন রাজ্যে পাড়ি দিলেন পরিযায়ী শ্রমিকেরা । রায়গঞ্জ ব্লকের মাড়াইকুঁড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকা থেকে পরিযায়ী শ্রমিকরা ফের যাচ্ছেন দিল্লি, মুম্বই বা হরিয়ানা । তাঁরা জানালেন, ভেবেছিলেন এখানে কাজ পাবেন । কিন্তু, পাননি । সেই কারণে ফের যেতে হচ্ছে ভিন রাজ্যে ।

Immigrants from North Dinajpur go to other states
Immigrants from North Dinajpur go to other states
author img

By

Published : Jun 20, 2020, 5:05 AM IST

রায়গঞ্জ, 19 জুন : কোরোনার চেয়েও ভয়াবহ পেটের জ্বালা। তাই আবারও ভিন রাজ্যে পাড়ি দিলেন পরিযায়ী শ্রমিকেরা । পেটের ভাত জোগাড় করতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাড়ি দিলেন তাঁরা । লকডাউনের ফলে কর্মহীন হয়ে পড়ায় উত্তর দিনাজপুর জেলায় ফিরে আসেন কয়েক হাজার শ্রমিক। কিন্তু, জেলায় কোনও কাজ না মেলায় আবারও অন্য রাজ্যে যাচ্ছেন তাঁরা।

দিল্লি, মুম্বই, হরিয়ানা ও পঞ্জাব ফেরত পরিযায়ী শ্রমিকদের অভিযোগ, নিজের জেলায় ফিরে এসে কোনও কাজ মেলেনি। তাই বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আবারও যেতে হচ্ছে ভিন রাজ্যে। রায়গঞ্জ ব্লকের মাড়াইকুঁড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকা থেকে পরিযায়ী শ্রমিকেরা রায়গঞ্জ থেকে ডালখোলা স্টেশন হয়ে চলে যাচ্ছেন দিল্লি, হরিয়ানা বা পঞ্জাব। সেখানে কারখানাগুলোতে শ্রমিকের কাজ করে নিজের ও পরিবারের অন্নের সংস্থান করবেন তাঁরা।

যদিও স্থানীয় মাড়াইকুড়া গ্রামপঞ্চায়েত প্রধান বলেন, “যেসমস্ত পরিযায়ী শ্রমিক কাজের আবেদন করেছেন তাঁদের কাজ দেওয়া হয়েছে। এখন যাঁরা আবার দিল্লি যাচ্ছেন তাঁরা কেউই কাজের জন্য আবেদন করেননি।”

কোরোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশজুড়ে লাগু হয়েছিল লকডাউন। এই লকডাউনে উত্তর দিনাজপুর জেলার হাজার হাজার পরিযায়ী শ্রমিক আটকে পড়েছিলেন ভিনরাজ্যে। ট্রেনে বা লরিতে চেপে অনেকে সাইকেল চালিয়ে কিংবা পায়ে হেঁটেও বহু কষ্টে নিজেদের বাড়িতে ফিরেছিলেন। আশায় ছিলেন, জেলায় ফিরে গ্রামেই কোনও কাজ করে সংসার চালাবেন। কিন্তু, বাস্তবে চিত্রটা একেবারেই অন্যরকম হয়ে গিয়েছে। জেলায় ফিরে এসেও তাঁদের কপালে জোটেনি কোনও কাজ। দিনের পর দিন কাজ না থাকায় টান পড়েছে রুজি-রুটিতে। আর সেকারণেই পাড়ি দিতে হচ্ছে ভিন রাজ্যে।

মাড়াইকুড়া গ্রামের পরিযায়ী শ্রমিক শংকর মণ্ডল জানান, দিল্লিতে রাজমিস্ত্রীর কাজ করতেন তিনি। কোরোনা আবহে বাড়ি ফিরে এসেছিলেন । ভেবেছিলেন এখানেই কাজ জুটে যাবে। কিন্তু কোনও কাজই পাননি । কাজের আশায় তাই দিল্লিতেই আবার ফিরে যাচ্ছেন । তাঁর কথায়, “পেটের জ্বালা কোরোনার চেয়েও ভয়ঙ্কর, তাই বাধ্য হয়ে দিল্লিতে কাজের জন্য ফিরে যেতে হচ্ছে।”

রায়গঞ্জ, 19 জুন : কোরোনার চেয়েও ভয়াবহ পেটের জ্বালা। তাই আবারও ভিন রাজ্যে পাড়ি দিলেন পরিযায়ী শ্রমিকেরা । পেটের ভাত জোগাড় করতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাড়ি দিলেন তাঁরা । লকডাউনের ফলে কর্মহীন হয়ে পড়ায় উত্তর দিনাজপুর জেলায় ফিরে আসেন কয়েক হাজার শ্রমিক। কিন্তু, জেলায় কোনও কাজ না মেলায় আবারও অন্য রাজ্যে যাচ্ছেন তাঁরা।

দিল্লি, মুম্বই, হরিয়ানা ও পঞ্জাব ফেরত পরিযায়ী শ্রমিকদের অভিযোগ, নিজের জেলায় ফিরে এসে কোনও কাজ মেলেনি। তাই বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আবারও যেতে হচ্ছে ভিন রাজ্যে। রায়গঞ্জ ব্লকের মাড়াইকুঁড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকা থেকে পরিযায়ী শ্রমিকেরা রায়গঞ্জ থেকে ডালখোলা স্টেশন হয়ে চলে যাচ্ছেন দিল্লি, হরিয়ানা বা পঞ্জাব। সেখানে কারখানাগুলোতে শ্রমিকের কাজ করে নিজের ও পরিবারের অন্নের সংস্থান করবেন তাঁরা।

যদিও স্থানীয় মাড়াইকুড়া গ্রামপঞ্চায়েত প্রধান বলেন, “যেসমস্ত পরিযায়ী শ্রমিক কাজের আবেদন করেছেন তাঁদের কাজ দেওয়া হয়েছে। এখন যাঁরা আবার দিল্লি যাচ্ছেন তাঁরা কেউই কাজের জন্য আবেদন করেননি।”

কোরোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশজুড়ে লাগু হয়েছিল লকডাউন। এই লকডাউনে উত্তর দিনাজপুর জেলার হাজার হাজার পরিযায়ী শ্রমিক আটকে পড়েছিলেন ভিনরাজ্যে। ট্রেনে বা লরিতে চেপে অনেকে সাইকেল চালিয়ে কিংবা পায়ে হেঁটেও বহু কষ্টে নিজেদের বাড়িতে ফিরেছিলেন। আশায় ছিলেন, জেলায় ফিরে গ্রামেই কোনও কাজ করে সংসার চালাবেন। কিন্তু, বাস্তবে চিত্রটা একেবারেই অন্যরকম হয়ে গিয়েছে। জেলায় ফিরে এসেও তাঁদের কপালে জোটেনি কোনও কাজ। দিনের পর দিন কাজ না থাকায় টান পড়েছে রুজি-রুটিতে। আর সেকারণেই পাড়ি দিতে হচ্ছে ভিন রাজ্যে।

মাড়াইকুড়া গ্রামের পরিযায়ী শ্রমিক শংকর মণ্ডল জানান, দিল্লিতে রাজমিস্ত্রীর কাজ করতেন তিনি। কোরোনা আবহে বাড়ি ফিরে এসেছিলেন । ভেবেছিলেন এখানেই কাজ জুটে যাবে। কিন্তু কোনও কাজই পাননি । কাজের আশায় তাই দিল্লিতেই আবার ফিরে যাচ্ছেন । তাঁর কথায়, “পেটের জ্বালা কোরোনার চেয়েও ভয়ঙ্কর, তাই বাধ্য হয়ে দিল্লিতে কাজের জন্য ফিরে যেতে হচ্ছে।”

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.