ETV Bharat / state

সোশাল মিডিয়ায় বিভ্রান্তি থেকে বিপদ, পরামর্শ চিকিৎসকদের

ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার প্রতিটি মানুষের পছন্দের শীর্ষে । আর এই প্লাটফর্মগুলি লকডাউনের সময় মূলত দুশ্চিন্তা এবং বিভ্রান্তি ছড়ানোর মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মনে করছেন রায়গঞ্জের চিকিৎসকরা । তাঁদের দাবি সোশাল মিডিয়ায় বর্তমানে গৃহবন্দী মানুষরা সব থেকে বেশি সময় কাটাচ্ছেন ।

author img

By

Published : May 24, 2020, 5:02 PM IST

image
সোশাল মিডিয়ায় বিভ্রান্তি

রায়গঞ্জ, 24 মে : দীর্ঘদিন গৃহবন্দী সাধারণ মানুষের বর্তমানে সবথেকে বেশি সময় কাটছে সোশাল মিডিয়ায় ৷ কিন্তু এই কাছের বন্ধু সোশাল মিডিয়াই হয়ে দাঁড়িয়েছে বিভ্রান্তি ছড়ানোর সবথেকে বড় মাধ্যম ৷ তাই চিকিৎসকরা সোশাল মিডিয়া থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন বারংবার ৷ সোশাল মিডিয়ায় বেশিক্ষণ থাকার থেকে সেই সময়টা নিজের শিল্পীসত্ত্বাকে নতুন রূপে চিনে নেওয়ার কাজে ব্যবহার করার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা। চিকিৎসকদের পরামর্শ সঠিক বলে মেনে নিলেও রায়গঞ্জের সংস্কৃতি জগতের একাংশ যে এখনও সোশাল মিডিয়াতেই ডুবে রয়েছেন তা অকপটে স্বীকার করে নিচ্ছে প্রায় সবাই । সোশাল মিডিয়াকে বিভ্রান্তির ছড়ানোর মাধ্যম মানলেও তা থেকে দূরে যাওয়ার উপায় খুঁজে পাচ্ছেন না কেউই ।

মুঠোফোনের বাড়বাড়ন্ত হতেই বিশ্বজুড়ে অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে দাঁড়িয়েছে সোশাল মিডিয়া । ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার প্রতিটি মানুষের পছন্দের শীর্ষে । আর এই প্লাটফর্মগুলি লকডাউনের সময় মূলত দুশ্চিন্তা এবং বিভ্রান্তি ছড়ানোর মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মনে করছেন রায়গঞ্জের চিকিৎসকরা । তাঁদের দাবি সোশাল মিডিয়ায় বর্তমানে গৃহবন্ধী মানুষরা সব থেকে বেশি সময় কাটাচ্ছেন । যা অত্যন্ত চিন্তার কারণ ।

সোশাল মিডিয়াতে নানান মাধ্যমে ফেক নিউজ ছড়ায় । যে সকল ভুয়ো খবর মানুষের মনে চরম অশান্তির সৃষ্টি করে। বাড়ে অনিদ্রা সহ একাধিক রোগভোগ । তাছাড়াও সোশাল মিডিয়ার খবর দেখে অনেকেই তার সত্যতা বিচার করার জন্য অপর ব্যক্তির সাহায্য নেয়। যার ফলে সামাজিক বিভ্রান্তির জায়গা আরও তৈরি হয় । চিকিৎসকরা পরামর্শ দিচ্ছেন, এই সময়ে বিভিন্ন মানুষ তাদের ভুলে যাওয়া শিল্পীসত্তাকে জাগিয়ে তুলতে পারেন নতুন রূপে । যার ফলে আখেরে লাভ হবে সমাজেরই । রায়গঞ্জের সাংস্কৃতিক জগতের একাংশ এই তথ্যকে মেনে নিয়েছেন । তাদের দাবি ঘরের কাজ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাজকর্ম সারার পরেও যে সময় থাকে তার বেশিরভাগটাই সোশাল মিডিয়াতে কেটে যায়। তবে তার ফলে কিছুটা বিভ্রান্তি ছড়ায় বলেও মেনে নিয়েছেন তাঁরা।

রায়গঞ্জের প্রসিদ্ধ চিকিৎসক শান্তনু দাস বলেন, বর্তমান সময়ে এটি একটি অত্যন্ত সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে । সোশাল মিডিয়াতে নানান ধরনের ভুয়ো খবর নিয়ে মানুষ বিভ্রান্ত হচ্ছেন। অসুস্থ হচ্ছেন অনেকে । আমরা বারবার সবাইকে পরামর্শ দিচ্ছি এই সময়ে নিজেদেরকে অন্য কাজে ব্যস্ত রাখুন । বাড়িতে থেকে যারা সাংস্কৃতিক জগতের সঙ্গে যুক্ত বা কোনও এক সময় যুক্ত ছিলেন তারা সেগুলি চর্চা করলে অনেকটাই বেশি উপকার হবে ।

সাংস্কৃতিক জগতের সঙ্গে যুক্ত শ্রেয়শ্রী ভৌমিক বলেন, মায়ের সঙ্গে বাড়ির কিছু কাজকর্ম করার পাশাপাশি নিজের কিছু কাজ করে থাকি । এছাড়া বাকি সময়টা সোশাল মিডিয়াতেই কেটে যায় । নানা সময় নানন বিভ্রান্তিমূলক খবর আসে ঠিকই । কিন্তু এগুলো থেকে দূরে যাওয়ার উপায়ও বর্তমানে খুঁজে পাচ্ছিনা ।

রায়গঞ্জের শিক্ষক তথা বাঁশিবাদক চন্দ্রনারায়ণ সাহা বলেন, এই সময় আমরা সত্যিই সোশাল মিডিয়াতে অনেকটা বেশি সময় কাটাচ্ছি । যা অনেক সময় বিভ্রান্তি আমাদের মধ্যে ছড়াচ্ছে । হাতে অতিরিক্ত সময় থাকার কারণে সোশাল মিডিয়ার প্রতি আসক্ত হচ্ছি । আগামীতে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার চিন্তা ভাবনা করছি ।

রায়গঞ্জ, 24 মে : দীর্ঘদিন গৃহবন্দী সাধারণ মানুষের বর্তমানে সবথেকে বেশি সময় কাটছে সোশাল মিডিয়ায় ৷ কিন্তু এই কাছের বন্ধু সোশাল মিডিয়াই হয়ে দাঁড়িয়েছে বিভ্রান্তি ছড়ানোর সবথেকে বড় মাধ্যম ৷ তাই চিকিৎসকরা সোশাল মিডিয়া থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন বারংবার ৷ সোশাল মিডিয়ায় বেশিক্ষণ থাকার থেকে সেই সময়টা নিজের শিল্পীসত্ত্বাকে নতুন রূপে চিনে নেওয়ার কাজে ব্যবহার করার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা। চিকিৎসকদের পরামর্শ সঠিক বলে মেনে নিলেও রায়গঞ্জের সংস্কৃতি জগতের একাংশ যে এখনও সোশাল মিডিয়াতেই ডুবে রয়েছেন তা অকপটে স্বীকার করে নিচ্ছে প্রায় সবাই । সোশাল মিডিয়াকে বিভ্রান্তির ছড়ানোর মাধ্যম মানলেও তা থেকে দূরে যাওয়ার উপায় খুঁজে পাচ্ছেন না কেউই ।

মুঠোফোনের বাড়বাড়ন্ত হতেই বিশ্বজুড়ে অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে দাঁড়িয়েছে সোশাল মিডিয়া । ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার প্রতিটি মানুষের পছন্দের শীর্ষে । আর এই প্লাটফর্মগুলি লকডাউনের সময় মূলত দুশ্চিন্তা এবং বিভ্রান্তি ছড়ানোর মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মনে করছেন রায়গঞ্জের চিকিৎসকরা । তাঁদের দাবি সোশাল মিডিয়ায় বর্তমানে গৃহবন্ধী মানুষরা সব থেকে বেশি সময় কাটাচ্ছেন । যা অত্যন্ত চিন্তার কারণ ।

সোশাল মিডিয়াতে নানান মাধ্যমে ফেক নিউজ ছড়ায় । যে সকল ভুয়ো খবর মানুষের মনে চরম অশান্তির সৃষ্টি করে। বাড়ে অনিদ্রা সহ একাধিক রোগভোগ । তাছাড়াও সোশাল মিডিয়ার খবর দেখে অনেকেই তার সত্যতা বিচার করার জন্য অপর ব্যক্তির সাহায্য নেয়। যার ফলে সামাজিক বিভ্রান্তির জায়গা আরও তৈরি হয় । চিকিৎসকরা পরামর্শ দিচ্ছেন, এই সময়ে বিভিন্ন মানুষ তাদের ভুলে যাওয়া শিল্পীসত্তাকে জাগিয়ে তুলতে পারেন নতুন রূপে । যার ফলে আখেরে লাভ হবে সমাজেরই । রায়গঞ্জের সাংস্কৃতিক জগতের একাংশ এই তথ্যকে মেনে নিয়েছেন । তাদের দাবি ঘরের কাজ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাজকর্ম সারার পরেও যে সময় থাকে তার বেশিরভাগটাই সোশাল মিডিয়াতে কেটে যায়। তবে তার ফলে কিছুটা বিভ্রান্তি ছড়ায় বলেও মেনে নিয়েছেন তাঁরা।

রায়গঞ্জের প্রসিদ্ধ চিকিৎসক শান্তনু দাস বলেন, বর্তমান সময়ে এটি একটি অত্যন্ত সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে । সোশাল মিডিয়াতে নানান ধরনের ভুয়ো খবর নিয়ে মানুষ বিভ্রান্ত হচ্ছেন। অসুস্থ হচ্ছেন অনেকে । আমরা বারবার সবাইকে পরামর্শ দিচ্ছি এই সময়ে নিজেদেরকে অন্য কাজে ব্যস্ত রাখুন । বাড়িতে থেকে যারা সাংস্কৃতিক জগতের সঙ্গে যুক্ত বা কোনও এক সময় যুক্ত ছিলেন তারা সেগুলি চর্চা করলে অনেকটাই বেশি উপকার হবে ।

সাংস্কৃতিক জগতের সঙ্গে যুক্ত শ্রেয়শ্রী ভৌমিক বলেন, মায়ের সঙ্গে বাড়ির কিছু কাজকর্ম করার পাশাপাশি নিজের কিছু কাজ করে থাকি । এছাড়া বাকি সময়টা সোশাল মিডিয়াতেই কেটে যায় । নানা সময় নানন বিভ্রান্তিমূলক খবর আসে ঠিকই । কিন্তু এগুলো থেকে দূরে যাওয়ার উপায়ও বর্তমানে খুঁজে পাচ্ছিনা ।

রায়গঞ্জের শিক্ষক তথা বাঁশিবাদক চন্দ্রনারায়ণ সাহা বলেন, এই সময় আমরা সত্যিই সোশাল মিডিয়াতে অনেকটা বেশি সময় কাটাচ্ছি । যা অনেক সময় বিভ্রান্তি আমাদের মধ্যে ছড়াচ্ছে । হাতে অতিরিক্ত সময় থাকার কারণে সোশাল মিডিয়ার প্রতি আসক্ত হচ্ছি । আগামীতে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার চিন্তা ভাবনা করছি ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.