রায়গঞ্জ, 4 সেপ্টেম্বর : স্বামী জঙ্গি মানতে পারছেন না বিবি ৷ বাড়ির ছেলে যে জামাত-উল-মুজাহিদিনের উত্তর দিনাজপুর মডিউলের পান্ডা তা বিশ্বাস করতে পারছেন না পরিবারের অন্যরাও ৷ ধৃত আবদুল বারির মামা মোসারফ হোসেন বলেন, "আমার বিশ্বাস হচ্ছে না ও জঙ্গি ৷ আমার তো মনে হচ্ছে ফেঁসে গেছে ৷ "
আরও পড়ুন : নিজামউদ্দিনের ডাক্তারির পিছনে চলত মগজধোলাই, বারির ল্যাবের আড়ালে কী?
জামাত-উল-মুজাহিদিনের দুই সক্রিয় সদস্য নিজামউদ্দিন ও আবদুল বারিকে গতকাল মালদার সামসি থেকে গ্রেপ্তার করেছে স্পেশাল টাস্ক ফোর্স ৷ আবদুল উত্তর দিনাজপুরের ইটাহার থানার কাশিমপুর গ্রামের বাসিন্দা ৷ ইটাহারে একটি প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরিতে কাজ করত সে । প্রায় 9 দিন ধরে সে নিখোঁজ ছিল বলে তার পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন ৷ ইটাহার থানায় মিসিং ডায়েরিও করা হয়েছিল ।
আরও পড়ুন : উত্তর দিনাজপুরেও জামাত মডিউল ! মালদা থেকে গ্রেপ্তার 2 জঙ্গি
সূত্রের খবর, বহুদিন ধরেই জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত নিজামউদ্দিন ও আবদুল বারি ৷ জামাত-উল- মুজাহিদিনের আমের সালাউদ্দিনের কাছ থেকে নির্দেশ এসেছিল উত্তর দিনাজপুর জেলায় মডিউল তৈরি করার । এই মডিউলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত জামাত-উল-মুজাহিদিন ইন্ডিয়ার আমের ইজ়াজ়ও । নিজামউদ্দিন ও আবদুল বারি এলাকার যুবকদের টার্গেট করত ৷ দাওয়াতে ডাকত ৷ সুযোগ পেলেই করত মগজ ধোলাই ৷
যদিও স্বামী যে গোপনে জঙ্গি সংগঠনের হয়ে কাজ করছে তা টের পাননি মাইনুরা বিবি ৷ বলেন, "এখনই শুনলাম, ছবিতে দেখলাম স্বামী ধরা পড়েছেন ৷" যদিও কী কারণে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তা তিনি জানেন না বলেই দাবি করেছেন ৷ মোসারফ হোসেন বলেন, "এরকম কোনও কাজের সঙ্গে সে জড়িত থাকতে পারে বলে আমার মনে হয় না ৷ আমার বিশ্বাস হচ্ছে না ৷ কারণ আগে কোনও প্রমাণ পাইনি ৷" কেউ ষড়যন্ত্র করে আবদুলকে ফাঁসিয়েছে বলে দাবি পরিবারের সদস্যদের ৷