রায়গঞ্জ, 16 ফেব্রুয়ারি: রাজ্য সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী দুবছর পর বুধবার থেকে খুলেছে রায়গঞ্জ ব্লকের নোয়াপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় (No students in Raiganj school)৷ তবে সে ভাবে দেখা মেলেনি পড়ুয়াদের । অভিভাবক ও ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে কোভিড আতঙ্ক কাটাতে এবং পড়ুয়াদের স্কুলমুখী করার লক্ষ্যে স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারাই ঘুরলেন দুয়ারে দুয়ারে । পড়ুয়াদের স্কুলে পাঠানোর জন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে আবেদন জানালেন শিক্ষকরা । এই অভিনব উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন স্কুলের অভিভাবকরা (Raiganj teachers go to students' house)।
কোভিডের সংক্রমণ থেকে শিশুদের দূরে রাখতে 2020 সালের মার্চ মাসে দেশজুড়ে বন্ধ করে দেওয়া হয় সমস্ত স্কুল কলেজ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান । রাজ্য সরকার মাঝে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পঠন পাঠন শুরু করলেও করোনার প্রকোপ বাড়তে থাকায় তা ফের বন্ধ করে দেয় । আর প্রাথমিক স্কুল তো খোলেইনি । প্রায় দু বছর পর 7 ফেব্রুয়ারি থেকে পাড়ায় শিক্ষালয়ের মাধ্যমে প্রাথমিক স্কুলের পঠন পাঠন শুরু হয় (Bengal School reopening)। আর এ বার পাকাপাকিভাবে বুধবার থেকে খুলে দেওয়া হয় রাজ্যের সমস্ত প্রাথমিক স্কুল (North Dinajpur news)।
আরও পড়ুন: WB School Reopening : ফের স্কুল পোশাক, পিঠে ব্যাগ আর বন্ধুর হাতে হাত স্কুলমুখী খুদে পড়ুয়ার দল
রাজ্য সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী রায়গঞ্জ ব্লকের নোয়াপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ও খোলা হয় । কিন্তু স্কুলে প্রথম দিনে উপস্থিতির সংখ্যা একেবারেই কম ছিল । স্কুল কর্তৃপক্ষের ধারণা, করোনা সংক্রমণের ভয়ে অভিভাবকরা খুদে পড়ুয়াদের স্কুলে পাঠাতে চাইছেন না । পড়ুয়াদের স্কুলে ফেরাতে স্কুলের শিক্ষকরা নোয়াপাড়া গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে আবেদন জানিয়েছেন অভিভাবকদের কাছে ৷
শিক্ষকরা বুঝিয়েছেন, স্কুলে কোভিড বিধি মেনে পঠন পাঠন করানো হচ্ছে ৷ স্কুলে শিশুদের সংক্রমণের কোনও ভয় নেই । এই উদ্যোগে খুশি অভিভাবকরা ৷ তাঁরা বললেন, শিক্ষকরা এসে শিশুদের স্কুলে পাঠানোর কথা বলে গেলেন । এ বার থেকে তাঁরা শিশুদের স্কুলে পাঠাবেন ।
আরও পড়ুন: School Reopening in KMC : রাজ্যের নির্দেশের পরই পৌর প্রাথমিকে স্কুল খোলার তৎপরতা, রিপোর্ট তলব মেয়রের
স্কুলের প্রধান শিক্ষক নীরেন্দ্র নাথ দাসের কথায়, "আমাদের নোয়াপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় শুরুর প্রথম দিনেই আমরা খেয়াল করেছি, অভিভাবকরা তাঁদের ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠাননি । তাই অভিভাবকদের মধ্যে করোনা নিয়ে ভয়ভীতি কাটাতে এবং স্কুলে শিশুদের পাঠানোর জন্য তাঁদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে আবেদন করে এসেছি ।"