রায়গঞ্জ, 27 সেপ্টেম্বর : বর্ষার মরশুম শুরু হওয়ার পর থেকেই এলাকায় টানা জল দাঁড়িয়ে থাকায় সমস্যায় পড়েছে কয়েকশো পরিবার । জল বার করার কোনওরকমের কোনও প্রচেষ্টা স্থানীয় প্রশাসনের নেই বলেই অভিযোগ করেছে তারা। এই চিত্র রায়গঞ্জ শহর সংলগ্ন সুভাষগঞ্জ এলাকার দাশপাড়ার । দীর্ঘদিন ধরেই বৃষ্টি হলেই ওই এলাকাতে জল জমে যায় বলে জানিয়েছে তারা । তবে এবছর লাগাতার বৃষ্টি হওয়ার কারণে তিন-চার মাস একইভাবে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা জলের কারণে প্রবল সমস্যায় পড়েছেন বলে দাবি করেছেন স্থানীয়রা ।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই এলাকায় BJP পঞ্চায়েত সদস্য বিষয়টি অত্যন্ত ভালোভাবে জানেন । তাঁর কাছে বারবার এই ব্যাপারে অভিযোগ করেও কোন সুরাহা হয়নি । ওই এলাকার বাসিন্দারা মূলত নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার । রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা জলের কারণে কাজে যেতেও নানা সমস্যায় পড়ছেন স্থানীয়রা । ওই এলাকায় জলের মধ্যে শিশুরা পড়ে গিয়ে আঘাত পাচ্ছে । একপ্রকার ওই পরিবারগুলি পুরোপুরিভাবে গৃহবন্দী রয়েছে । চিত্রটা তিন চার মাস ধরে একই থাকলেও কেউ কোনও উদ্যোগ নেয় না বলে অভিযোগ তাদের । জমা জলে নানা ধরনের পোকামাকড় সাপ ঘুরে বেড়ালেও তাদের সঙ্গী করেই বর্তমানে বাঁচতে হচ্ছে ওই পরিবারগুলিকে । অবিলম্বে এলাকায় ড্রেন এবং রাস্তা তৈরির দাবি জানিয়েছে তারা ।
যদিও রায়গঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ওই জায়গাটি রেলের অধীনে রয়েছে । বারবার মাস্টার প্ল্যান তৈরি করে রাস্তা এবং ড্রেনের ব্যবস্থা করার চেষ্টা করা হলেও রেলের জায়গাতে ওই নির্মাণের অনুমতি দেয়নি কর্তৃপক্ষ । সেই কারণেই আপাতত রাস্তা বা ড্রেন তৈরি পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষে সম্ভব নয় ।
এই বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা মঙ্গলি দাস বলেন, "আমাদের এই রাস্তার উপর টানা কয়েক মাস ধরে জল জমে রয়েছে । যার জন্য আমরা প্রচণ্ড সমস্যায় রয়েছি । কোনওভাবেই জল বার করার উদ্যোগ নেয়নি স্থানীয় প্রশাসন ।"
আরেক বাসিন্দা আনন্দ দাস বলেন, "ভোটের সময় ভোট নিয়ে যায় আর তারপর কেউ কোনও কাজ করে না । দীর্ঘদিন ধরেই আমাদের এলাকায় জল জমে থাকার সমস্যা রয়েছে । তবে এবারে বৃষ্টিতে আরও বেশি জল জমে রয়েছে । আমরা প্রচণ্ড সমস্যায় রয়েছি। কিন্তু কেউ আমাদের দিকে ফিরেও তাকায় না ।"
এবিষয়ে রায়গঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সহসভাপতি মানষ ঘোষ বলেন, "আমরা ওই এলাকার রাস্তা এবং ড্রেন তৈরি করার জন্য প্ল্যান তৈরি করেছিলাম । কিন্তু যেহেতু জায়গাটি রেলের অধীনে রয়েছে তাই সেখানে কোনও রকমের নির্মাণের অনুমতি দেয়নি কর্তৃপক্ষ । এছাড়াও ওই এলাকার BJP পঞ্চায়েত সদস্য একেবারে অপদার্থ । নিজের এলাকার কোনও খোঁজ খবর রাখে না । সেই কারণে সমস্যা আরও বাড়ছে । আমরা সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করব ।"