রায়গঞ্জ, 12 সেপ্টেম্বর : রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর সঙ্গে বিজেপি নেতৃত্বের ফাটল ক্রমশই চওড়া হচ্ছে । এবার রায়গঞ্জের সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীর বিরুদ্ধে প্রচারে নামলেন বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। মালদার হবিবপুরের বিধায়ক জুয়েল মুর্মুকে পাশে বসিয়ে সাংসদের ভূমিকা নিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে জানতে চান তিনি। এমনই ঘটনার সাক্ষী থাকল রায়গঞ্জ ব্লকের মধুপুরের বাসিন্দারা।
বেশ কিছুদিনধরেই কৃষ্ণ কল্যাণী উত্তর দিনাজপুর জেলা বিজেপি নেতৃত্ব এবং সাংসদের বিরুদ্ধে বিষোদগার করছিলেন। বিজেপি জেলা কমিটি তাঁকে গুরুত্ব না দেওয়ায় জেলার কর্মসূচি থেকে সরে দাঁড়াবার কথা ঘোষণা করেন তিনি। বিজেপি জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার এবং রায়গঞ্জের সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীর বিরুদ্ধে রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে নালিশ করেছেন কৃষ্ণ কল্যাণী। এই বিবাদের মাঝেই শনিবার কৃষ্ণ কল্যাণীর জনকল্যাণমূলক পরিষেবা গ্রামে গ্রামে রুটি-সবজি বিতরণ দেখতে আসেন মালদা জেলার হবিবপুরের বিধায়ক জুয়েল মুর্মু । হবিবপুরের বিধায়ককে মধুপুরে নিয়ে যান তিনি। হবিবপুরের বিজেপি বিধায়ক জুয়েল মুর্মুকে পাশে বসিয়ে সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীকে এলাকায় দেখতে পান কিনা গ্রামবাসীদের কাছে জানতে চান। গ্রামবাসীরা চিৎকার করে জানান, ভোটে জয়লাভে পর আর তারা সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীকে এলাকায় দেখতে পায়নি।
আরও পড়ুন: আমাকে হারাতে ষড়যন্ত্র করেছিলেন দেবশ্রী চৌধুরী, অভিযোগ কৃষ্ণ কল্যাণীর
বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী বলেন, " আমার অন্তরাত্মা বিবেক কথা বলছে। কেউ এটাকে বেসুরো বললে আমার কিছু যায় আসে না।" হবিবপুরের বিধায়ক জুয়েল মুর্মু বলেন, "কৃষ্ণবাবুর ক্ষোভের কথা আমি সংবাদ মাধ্যমে জেনেছি। রায়গঞ্জে এসেও কৃষ্ণ কল্যাণীর কাছে জেনেছি । রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব দ্রুত হস্তক্ষেপ করে বিষয়টি মিটিয়ে ফেলার পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। দলের কাছে আমি এই প্রস্তাব দেব ৷"