রায়গঞ্জ, 16 জুন : অসুস্থ বৃদ্ধকে রাস্তায় ফেলে রেখে গেল অ্যাম্বুলেন্স । তখনও জ্বরে কাঁপছে বৃদ্ধের শরীর । গায়ে চাদরটুকুও নেই । এই অভিযোগ তুলে রায়গঞ্জ মেডিকেলের বিরুদ্ধে সরব হলেন স্থানীয় বাসিন্দারা । জ্বর ও অন্যান্য কোরোনা উপসর্গ নিয়ে রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালে ভরতি হয়েছিলেন বাদল দাস । স্থানীয় বাসিন্দারাই ওই অসুস্থ বৃদ্ধকে রাস্তা থেকে উদ্ধার করে তাঁর বাড়িতে নিয়ে যান । যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে ।
রায়গঞ্জ শ্যামপুর মোড় এলাকার বাসিন্দা বৃদ্ধ বাদল দাস । কয়েকদিন ধরেই জ্বর এবং শ্বাসকষ্টের সমস্যা হচ্ছিল । অসুস্থ হয়ে বাড়িতেই পড়েছিলেন তিনি । তাঁর স্ত্রী নিজের চিকিৎসার জন্য অন্য রাজ্যে গিয়েছেন । লকডাউনে ফিরতে পারেননি । প্রতিবেশীরাই বাদলবাবুকে রবিবার হাসপাতালে ভরতি করেন । গতকালও আত্মীয়রা বাদলবাবুর সঙ্গে হাসপাতালে দেখা করতে যান । হাসপাতালের তরফে জানানো হয়, রোগী সুস্থ হলে পরিবারকে খবর দেওয়া হবে । কিন্তু আজ বিকেলে হাসপাতালের একটি অ্যাম্বুলেন্স বাদলবাবুকে তাঁর বাড়ির এলাকার রাস্তায় নামিয়ে দিয়ে চলে যায় বলে অভিযোগ ।
ঘটনায় হতবাক স্থানীয় বাসিন্দা এবং পরিবারের সদস্যরা । ক্ষোভ জমেছে তাঁদের মনেও । বাদলবাবুর নাতনি জোৎস্না দেবী বলেন, “রাস্তার পাশে দাঁড়িয়েছিলাম । দেখলাম সরকারি অ্যাম্বুলেন্স আমার দাদুকে রাস্তায় নামিয়ে দিয়ে চলে গেল ।”
স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যা কল্পনা দেবী জানান, বাদলবাবুকে সরকারি হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে এসে এখানে ফেলে দিয়ে যায় । তিনি এখনও ভীষণ অসুস্থ । জ্বরে কাঁপছে দেখে তিনি নিজেই বাড়ি থেকে চাদর নিয়ে এসে গায়ে দিয়ে দেন । তারপর সবাই ধরাধরি করে বাদলবাবুকে তাঁর বাড়িতে পৌঁছে দেয় । পুলিশকে খবর দেন তিনি । বাদলবাবুকে আবারও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করবেন বলে জানালেন পঞ্চায়েত সদস্য কল্পনা বর্মণ ।
যদিও রায়গঞ্জ গভর্নমেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারিন্টেন্ডেন্ট ডাঃ অভীক মাইতি বলেন, “ওই রোগীর ছুটি হয়ে যাওয়ার পর তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয় । কিন্তু তাঁদের যোগাযোগ করা যায়নি । রোগীর ঠিকানা অনুযায়ী অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁর বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে । তার ট্রু-নাট পরীক্ষা করা হয়েছে । কোরোনা নেগেটিভ রিপোর্ট এসেছে তাঁর ।”