ETV Bharat / state

কোরোনা উপসর্গ নিয়ে ভরতির পর মৃত্যু , কারণ জানতে পরিবারের বিক্ষোভ রায়গঞ্জ মেডিকেলে

গতকাল কোরোনা উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভরতি হয়েছিলেন ওই রোগী । এরপর রাত 11 টা নাগাদ তিনি মারা যান । হাসপাতালের তরফে লালারস পরীক্ষা করা হবে আশ্বাস দেওয়া হয় । কিন্তু তা না করা হলে বিক্ষোভ দেখায় তাঁর পরিবারের সদস্যরা ।

Raiganj
রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল
author img

By

Published : Jul 31, 2020, 8:26 PM IST

রায়গঞ্জ , 31 জুলাই : কোরোনা উপসর্গ নিয়ে রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে বৃহস্পতিবার রাতে ভরতি হয়েছিলেন এক মহিলা । ভরতি হওয়ার প্রায় দুই ঘণ্টা পর তাঁর মৃত্যু হয় । মৃত্যুর কারণ জানতে ওই মহিলার লালারস পরীক্ষা করার দাবি তুলেছিল পরিবারের সদস্যরা । কিন্তু দাবি অগ্রাহ্য করেই তাদের হাতে মৃতদেহ তুলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ । তারই বিরুদ্ধে আজ বিক্ষোভ দেখায় পরিবারের সদস্যরা ।

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে , বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই জ্বর এবং শ্বাসকষ্টের সমস্যা হচ্ছিল ওই গৃহবধূর । এরপর শহরের এক নার্সিংহোমে তাঁকে ভরতি করার সিদ্ধান্ত নেয় পরিবারের লোকেরা । তবে সেখানে নিয়ে যাওয়ার পর তাঁর উপসর্গ দেখে তাঁকে রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় । এরপর রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে তাঁকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয় । রাত 11 টা নাগাদ হঠাৎ তিনি মারা যান । কোরোনা ভাইরাসের উপসর্গ থাকা সত্বেও মৃত্যুর আগেই কেন তাঁর পরীক্ষা করা হয়নি , সেই বিষয়ে পরিবারের লোকেরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জিজ্ঞাসাবাদ করে । তাদের আশ্বাস দেওয়া হয় শুক্রবার সকালে পরীক্ষা করা হবে । কিন্তু সকাল 10টা নাগাদ হাসপাতালে পৌঁছানোর পর তাদের নানা রকম যুক্তি দেখায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ । এমনটাই অভিযোগ পরিবারের সদস্যদের । এরপর দুপুর 1টা নাগাদ হাসাপাতালের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় , ওই দেহ থেকে লালারস নিয়ে পরীক্ষা করানো সম্ভব নয় । এরপর ধৈর্যের বাঁধ ভেঙ্গে যায় পরিবারের সদস্যদের । হাসপাতালে তাঁরা রীতিমতো বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে । এরপরই ঘটনাস্থানে পৌঁছায় রায়গঞ্জ থানার পুলিশ । তারা বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করে । অবশেষে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশের সঙ্গে কথা বলে পরিবারের লোকেরা ফিরে যেতে বাধ্য হন । পরবর্তীকালে রায়গঞ্জের একটি শ্মশানে তাঁর দেহ দাহ করে পরিবারের সদস্যরা । এরপর তাঁরা ফিরে যান । তবে কী কারণে ওই মহিলার মৃত্যু হল তা নিয়ে চিন্তিত পরিবারের সদস্যরা । তাদের দাবি , মৃত্যুর আসল কারণ জানা গেলে অনেকটাই বেশি নিশ্চিন্ত হওয়া যেত । এই ব্যবস্থা অবিলম্বে শুরু করার দাবিও করেন তাঁরা ।

এই বিষয়ে ওই গৃহবধূর এক আত্মীয় বলেন , "আমরা বারবার চেয়েছিলাম মৃত্যুর আসল কারণ কী তা যেন খতিয়ে দেখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আমাদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল যে গৃহবধূর মৃত্যুর কারণ জানতে অবশ্যই লালারস পরীক্ষা করা হবে তাঁর । কোরোনা ভাইরাস উপসর্গ ছিল । সেই কারণেই আমরা যথেষ্ট আতঙ্কে রয়েছি । মৃত্যুুর কারণ না জানার জন্যই আমরা সেখানে বিক্ষোভ দেখাতে বাধ্য হয়েছিলাম ।

যদিও এই বিষয়ে রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনও রকমের কোনও মন্তব্য করতে রাজি হয়নি ।

রায়গঞ্জ , 31 জুলাই : কোরোনা উপসর্গ নিয়ে রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে বৃহস্পতিবার রাতে ভরতি হয়েছিলেন এক মহিলা । ভরতি হওয়ার প্রায় দুই ঘণ্টা পর তাঁর মৃত্যু হয় । মৃত্যুর কারণ জানতে ওই মহিলার লালারস পরীক্ষা করার দাবি তুলেছিল পরিবারের সদস্যরা । কিন্তু দাবি অগ্রাহ্য করেই তাদের হাতে মৃতদেহ তুলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ । তারই বিরুদ্ধে আজ বিক্ষোভ দেখায় পরিবারের সদস্যরা ।

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে , বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই জ্বর এবং শ্বাসকষ্টের সমস্যা হচ্ছিল ওই গৃহবধূর । এরপর শহরের এক নার্সিংহোমে তাঁকে ভরতি করার সিদ্ধান্ত নেয় পরিবারের লোকেরা । তবে সেখানে নিয়ে যাওয়ার পর তাঁর উপসর্গ দেখে তাঁকে রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় । এরপর রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে তাঁকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয় । রাত 11 টা নাগাদ হঠাৎ তিনি মারা যান । কোরোনা ভাইরাসের উপসর্গ থাকা সত্বেও মৃত্যুর আগেই কেন তাঁর পরীক্ষা করা হয়নি , সেই বিষয়ে পরিবারের লোকেরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জিজ্ঞাসাবাদ করে । তাদের আশ্বাস দেওয়া হয় শুক্রবার সকালে পরীক্ষা করা হবে । কিন্তু সকাল 10টা নাগাদ হাসপাতালে পৌঁছানোর পর তাদের নানা রকম যুক্তি দেখায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ । এমনটাই অভিযোগ পরিবারের সদস্যদের । এরপর দুপুর 1টা নাগাদ হাসাপাতালের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় , ওই দেহ থেকে লালারস নিয়ে পরীক্ষা করানো সম্ভব নয় । এরপর ধৈর্যের বাঁধ ভেঙ্গে যায় পরিবারের সদস্যদের । হাসপাতালে তাঁরা রীতিমতো বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে । এরপরই ঘটনাস্থানে পৌঁছায় রায়গঞ্জ থানার পুলিশ । তারা বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করে । অবশেষে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশের সঙ্গে কথা বলে পরিবারের লোকেরা ফিরে যেতে বাধ্য হন । পরবর্তীকালে রায়গঞ্জের একটি শ্মশানে তাঁর দেহ দাহ করে পরিবারের সদস্যরা । এরপর তাঁরা ফিরে যান । তবে কী কারণে ওই মহিলার মৃত্যু হল তা নিয়ে চিন্তিত পরিবারের সদস্যরা । তাদের দাবি , মৃত্যুর আসল কারণ জানা গেলে অনেকটাই বেশি নিশ্চিন্ত হওয়া যেত । এই ব্যবস্থা অবিলম্বে শুরু করার দাবিও করেন তাঁরা ।

এই বিষয়ে ওই গৃহবধূর এক আত্মীয় বলেন , "আমরা বারবার চেয়েছিলাম মৃত্যুর আসল কারণ কী তা যেন খতিয়ে দেখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আমাদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল যে গৃহবধূর মৃত্যুর কারণ জানতে অবশ্যই লালারস পরীক্ষা করা হবে তাঁর । কোরোনা ভাইরাস উপসর্গ ছিল । সেই কারণেই আমরা যথেষ্ট আতঙ্কে রয়েছি । মৃত্যুুর কারণ না জানার জন্যই আমরা সেখানে বিক্ষোভ দেখাতে বাধ্য হয়েছিলাম ।

যদিও এই বিষয়ে রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনও রকমের কোনও মন্তব্য করতে রাজি হয়নি ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.