রায়গঞ্জ, 9 মার্চ: বিয়ে বাড়ির প্যান্ডেল বাঁধাকে কেন্দ্র করে দুই পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষ (Fight Between Two Families) । আর এতে মৃত্যু হল এক বৃদ্ধের। আহত দুই পরিবারের বেশ কয়েকজন। ঘটনাটি উত্তর দিনাজপুর জেলার করণদিঘি থানার ছোট সোহার গ্রামের। সংঘর্ষের ঘটনায় 11 জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে ৷ তবে এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি করণদিঘি থানার পুলিশ।
করণদিঘি থানার ছোট সোহার গ্রামের বাসিন্দা মহম্মদ খুরশেদের মেয়ে খুশনেমার বিয়ের জন্য তাঁদের শরিক মহম্মদ ফৈয়াকের জমিতে প্যান্ডেল বাঁধতে গিয়েছিলেন। মহম্মদ ফৈয়াকের পরিবার প্যান্ডেল বাঁধায় আপত্তি করেন। তাতেই দুই পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয় ৷ বচসা থেকে পরে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে উভয়পক্ষই। লাঠি, ধারালো অস্ত্র দিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষে মহম্মদ ফৈয়াক (75)সহ বেশ কয়েকজন আহত হন। আহতদের করণদিঘি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
মহম্মদ ফৈয়াকের আঘাত গুরুতর থাকায় তাঁকে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তর করার কথা বলেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। তবে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজে না-নিয়ে গিয়ে আহত ফৈয়াককে কিষাণগঞ্জ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যায়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। এই খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় করণদিঘি থানার পুলিশ। অভিযুক্ত, মহম্মদ খুরশেদের পরিবার গ্রেফতার এড়াতে গা ঢাকা দেয়। করণদিঘি থানার পুলিশের কাছে 11 জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে মৃত বৃদ্ধের পরিবার। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তরা সবাই পলাতক। তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
আরও পড়ুন: বাড়ি বিক্রি নিয়ে বচসা ! বাবাকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ ছেলের বিরুদ্ধে
মৃতের ছেলে মহম্মদ নাজিম বলেন, "আবার বাবা ছাগল বিক্রি করে আসছিল ৷ যাদের পরিবারে বিয়ে হচ্ছিল তারা প্য়ান্ডেলের কারণে যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ করে দেয় ৷ আমার বাবা তা বলাতে বাবাকে মারতে শুরু করে ৷ আমরা তাড়াতাড়ি যায় ৷ আমাকে, আমার কাকাকেও ওরা ধারালো অস্ত্র, বাঁশ দিয়ে খুব মারধর করেছে ৷ আমাদের পরিবারের আমরা তিনজন ছাড়া আর কেউই ছিল না ৷ ওরা এমনভাবে শাবল দিয়ে মারল তাতে বাবা মারা গেল ৷"