রায়গঞ্জ, 18 ফেব্রুয়ারি: তৃণমূল কংগ্রেসে গোষ্ঠী সংঘর্ষে ( TMC Inner Clash in Uttar Dinajpur) গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হল এক জনের ৷ শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে রায়গঞ্জের গোয়ালপোখর থানার মদিনাচকে ৷ ঘটনার পর এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হওয়ায় বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্যের ভাইপোর মৃত্যুর ঘটনায় ড্যামেজ কন্ট্রোলে আসরে নেমেছেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা গোয়ালপোখরের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক গোলাম রব্বানী। মৃতের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথাও বলেন তিনি ৷
জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখর থানা থেকে একশো মিটার দূরে মদিনাচক গ্রামে তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী সংঘর্ষ বাঁধে। জৈনগাঁও গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান মহম্মদ নাজিসের নেতৃত্বে পঞ্চায়েত সদস্য মহম্মদ খলিলের আত্মীয়দের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ । জখমদের উদ্ধার করে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। আশঙ্কাজনক তিনজনই একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন । রাতে ফের আক্রান্ত হন মহম্মদ আরিফ আলম নামে 27 বছরের যুবক। গোয়ালপোখর থানার পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতাল নিয়ে এলে চিকিৎসকরা আরিফকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: দোষী প্রমাণিত হলে আত্মহত্যা করব, দাবি নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত কুন্তলের
মৃত আরিফের কাকা মহম্মদ খলিল জৈনগাঁও গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য। পঞ্চায়েত নির্বাচনের সামনে প্রধান এবং পঞ্চায়েত সদস্যের বিবাদ চলছিল । সেই বিবাদের জেরেই শুক্রবাররেই এই ঘটনা। পঞ্চায়েত সদস্য মহম্মদ খলিলের অভিযোগ, গোয়ালপোখর থানা থেকে একশো মিটার দূরে এই গুলি চালানোর ঘটনা ঘটলেও পুলিশ আসেনি । পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তার ভাইপোকে প্রাণ হারাতে হত না । খুনির শাস্তির দাবি জানান তিনি ৷ অভিযুক্তকে দ্রুত গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা গোয়ালপোখরের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক গোলাম রব্বানী ।
ইতিমধ্যেই গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনায় 11 জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷ মন্ত্রী গোলাম রব্বানী জানিয়েছেন, দল এই ঘটনা মেনে নেবে না। যারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তাদের প্রত্যেককেই গ্রেফতারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুলিশ এখন পর্যন্ত 11 জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এলাকা আপতত শান্তিপূর্ণ রয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন পুলিশ সুপার বিশপ সরকার ৷