রায়গঞ্জ, 16 ফেব্রুয়ারি : পুলিশের সাব ইনস্পেকটরের বৃদ্ধা মায়ের রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য রায়গঞ্জে । সোমবার রাতে রায়গঞ্জের বীরঘই গ্রাম পঞ্চায়েতের জয়নগর গ্রামে দুর্ঘটনাটি ঘটে । রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার উচ্চপদস্থ তদন্তকারী আধিকারিকরা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন।
সোমবার গভীর রাতে নিজের শোওয়ার ঘর থেকে উদ্ধার হয় বাতাসী বর্মন(৭০)-এর রক্তাক্ত দেহ । বাড়ির লোক রায়গঞ্জ থানায় খবর দিলে, পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠায় ৷ বৃদ্ধার মাথার ডানদিকে আঘাতের চিহ্ন মিলেছে । প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান তাঁকে ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে । মৃতার নাতি শঙ্কর, বাবার সঙ্গেই বাড়ির পাশে চায়ের দোকান চালান । পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, এদিন রাতে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে ঠাকুমার ঘর থেকে টাকা নিতে যান বছর চব্বিশের শঙ্কর । তখন সেই কাজে বাধা পেয়েই, ঠাকুমাকে খুন করেন তিনি বলে অনুমান । তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে । মৃতার প্রতিবেশীদের কথায়, স্বভাবগতভাবে সকলের সঙ্গেই ওই মহিলার সুসম্পর্ক ছিল । বাড়িতে কারও সঙ্গে ঝগড়া বিবাদও ছিল না ।
আরও পড়ুন : উত্তরপ্রদেশে পঞ্চায়েত প্রধান পাকিস্তানি মহিলা, গ্রেপ্তার করল পুলিশ
মৃতার ছোটো ছেলে শিলিগুড়ির বাগডোগরা থানায় এসআই পদে কর্মরত ছিলেন। রাত তিনটে নাগাদ মায়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে রায়গঞ্জ থানায় আসেন ছোট ছেলে মোহিনী বর্মন। তাঁর বক্তব্য, মায়ের মৃত্যুর সংবাদ পেয়েই রায়গঞ্জে এসেছিলেন তিনি । কী কারণে এই ঘটনা তা এখনও জানা যায়নি । যদিও বাতাসী দেবীর মৃত্যুর ঘটনায়, ভাইপো শঙ্করের আটকের ঘটনার বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি মোহিনী বাবু। তবে কী পারিবারিক সম্মান রক্ষার্থেই মুখে কুলুপ পুলিশকর্মী মোহিনী? খুনের পিছনে কী তবে আরও কোনও রহস্য রয়েছে, তাই খুঁজছে পুলিশ ।