রায়গঞ্জ, 25 অগস্ট: ফের এক নার্সিং পড়ুয়ার রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জের 14 নং কমলাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত কসবামহেশো এলাকায়। জানা গিয়েছে, মৃত সায়নী সরকার (20) বেঙ্গালুরুতে নার্সিং নিয়ে পড়াশোনা করছিলেন ৷ বৃহস্পতিবার রাতে শোবার ঘর থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠিয়েছে। কী কারণে আত্মঘাতী হলেন ওই ছাত্রী তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে হেমতাবাদ থানার পুলিশ।
মৃতার আত্মীয় পরিতোষ রায় জানান, সায়নীর বাবা পেশায় দর্জি। নার্সিং-এর দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া সায়নী একমাত্র সন্তান ছিলেন পরিবারের। সম্প্রতি মানসিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন তিনি। কলেজ কর্তৃপক্ষ তাঁকে ছুটি দেওয়ায় বাড়ি এসেছিলেন। কিন্তু কমেনি মানসিক সমস্যা। 5 সেপ্টেম্বর পড়াশোনার জন্য বেঙ্গালুরুতে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। এর মাঝেই এমন ঘটনা। মানসিক অসুস্থতার জেরে তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন বলে অনুমান পরিতোষ বাবুর।
পরিবারসূত্রে জানা গিয়েছে, হেমতাবাদ থানার বাসিন্দা সাধন সরকারের মেয়ে সায়নী সরকার নার্সিং নিয়ে পড়াশোনা করছিল ৷ সায়নী হেমতাবাদ হাইস্কুলে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ করে ৷ পড়াশোনা করতে করতে হঠাৎই সেখানে সায়নী মানসিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন বলে জানতে পারেন পরিবারের সদস্যরা ৷ এক মাস আগে সায়নীর বাবা তাঁকে সেখান থেকে নিয়ে আসে চিকিৎসার জন্য।
আরও পড়ুন: হস্টেলের তালাবন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়ার পচা গলা দেহ, তদন্তে পুলিশ
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সায়নী ঘরেই ছিল ৷ তাঁর মা রান্নাঘরে রান্না করছিল ৷ বেশ কিছুটা সময় কেটে যাওয়ার পর সায়নী মা, মেয়ে কী করছে দেখতে এসে দেখেন তাঁর ঘরের দরজা আলতো করে ভেজানো ৷ দরজা খুলতেই সায়নীকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান মা ৷ তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় বাকিদের ৷ এলাকার বাসিন্দারাও এগিয়ে আসেন ৷ তাঁকে প্রথমে হেমতাবাদ ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা সায়নীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। কী কারণে আত্মহত্যা করেছেন সায়নী, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷