ETV Bharat / state

সংযত হয়ে কথা বলুন, 'মাতব্বর'-এর পালটা; দেবশ্রীকে হুঁশিয়ারি মোহিতের

"একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়ে তাঁর মুখে এসব কথা মানায় না ।" কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে সংযত হয়ে কথা বলার হুঁশিয়ারি দিলেন কংগ্রেস বিধায়ক মোহিত সেনগুপ্ত ।

author img

By

Published : Apr 5, 2020, 3:38 PM IST

mohit
মোহিত

রায়গঞ্জ, 5 এপ্রিল : দিল্লি থেকে বাড়ি ফেরার পর থাকেননি হোম কোয়ারান্টাইনে । বদলে রাস্তায় বেরিয়ে মাস্ক বিতরণ করেছেন । এমন অভিযোগ পেয়ে সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরির বাড়িতে নোটিস লাগাতে গেলে ব্যর্থ হন প্রশাসনিক আধিকারিকরা । ব্যর্থ হন স্বাস্থ্যকর্মীরাও । গতরাতে এনিয়ে চলে বিস্তর টানাপোড়েন । গোটা ঘটনায় রাজনৈতিক হেনস্থার অভিযোগ তোলেন তিনি । তাঁর বিরুদ্ধে কংগ্রেস বিধায়ক মোহিত সেনগুপ্ত অভিযোগ তোলায় নাম না করে তাঁকে 'মাতব্বর' বলেও আক্রমণ করেন । এবার এর পালটা দেবশ্রী চৌধুরিকে সংযত হয়ে কথা বলার হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি ।

23 মার্চ দিল্লির সংসদ ভবন থেকে অন্যান্য মন্ত্রী-সাংসদদের সঙ্গে প্রথমে কলকাতায় ফেরেন রায়গঞ্জের সাংসদ তথা নারী ও শিশুকল্যাণ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরি । পরে রায়গঞ্জের চণ্ডীতলার বাড়িতে ফেরেন । নিয়মমতো ভিন রাজ্য থেকে এলে 14 দিনের কোয়ারানটাইনে থাকার কথা । কিন্তু তিনি সেসব না মেনেই 2 এপ্রিল মাস্ক বিতরণ করেন । এর পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে জেলা শাসকের দ্বারস্থ হন রায়গঞ্জের বিধায়ক মোহিত সেনগুপ্ত । অভিযোগ জানান রায়গঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যানও ।

এরপর গতকাল সকালে দেবশ্রী চৌধুরির বাড়িতে কমলাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও স্বাস্থ্যকর্মীরা হাজির হন । তাঁর বাড়িতে স্বাস্থ্যকর্মীরা হোম কোয়ারান্টাইনের নোটিস লাগাতে যান ও মন্ত্রীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে বলেন । কথামতো স্বাস্থ্য পরীক্ষা করালেও বাড়িতে হোম কোয়ারান্টাইনের নোটিস লাগাতে দেননি তিনি । পরে সন্ধেয় ফের তাঁর বাড়িতে হোম কোয়ারান্টাইনের নোটিস লাগাতে পৌঁছান রায়গঞ্জ ব্লকের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাক্তার সন্দীপ বাগ এবং রায়গঞ্জ থানার IC সূরয থাপা । আবারও নোটিস লাগাতে বাধা দেন তিনি । এক কথা, দু'কথায় বাধে বচসা ।

তারপর এবিষয়ে পৌরসভার চেয়ারম্যান ও মোহিত সেনগুপ্তকে নাম না করে "মাতব্বর" বলে আক্রমণ করেন দেবশ্রী । বলেন, "সংসদের কাজ সেরে এখানে ফিরেছি । 543 জন সাংসদও ফিরেছেন । সবাই সবার জায়গায় ফিরে গিয়েছেন । হঠাৎ করে মনে পড়ল দেবশ্রী চৌধুরিকে কোয়ারান্টাইনে পাঠাতে হবে । বড় বড় "মাতব্বর" সবাই । এঁরাই আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন । তারই ভিত্তিতে পুলিশ আমার বাড়িতে পোস্টার লাগাতে এসেছিল । আমি তাদের বলেছি কার রেফারেন্স নিয়ে এসেছে সেটা দেখাতে। তারপর আমার বাড়িতে পোস্টার লাগাতে দেব । তারা কিছুই দেখাতে পারেনি ।"

যার পরিপ্রেক্ষিতে মোহিত সেনগুপ্ত বলেন, "একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়ে তাঁর মুখে এসব কথা মানায় না । সংযত হয়ে কথা বলার উচিত ছিল তাঁর । কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়ে প্রধানমন্ত্রীর ডাককে উপেক্ষা করতে পারেন না তিনি । আমাদের কটাক্ষ করলে আমরা তাঁকে পালটা কটাক্ষ করতে পারি না কারন উনি একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ।"

অন্যদিকে রায়গঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যান সন্দীপ বিশ্বাস বলেন, " নিজে কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রী হয়ে, একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে রায়গঞ্জের মানুষের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা ওঁর দ্বায়িত্ব ছিল । আমাদের মাতব্বর বলেছেন, তাতে আমরা গর্বিত । যে কাজটা আমি করেছি তা কোনও রাজনীতি করার জন্য নয় । যে কোনও মানুষদের ক্ষেত্রেই এই পরিস্থিতিতে এই কাজ করা হয় । রায়গঞ্জ শহরের প্রতিটা ওয়ার্ডে যারা বাইরে থেকে আসছে তাদের হোম কোয়ারন্টাইনে রাখা হচ্ছে । কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসেবে এই নিয়ম মানা ওঁরও উচিত ছিল । কিন্তু উনি আরও এই আইনকে বুড়ো আঙুল দেখাচ্ছেন ।"

রায়গঞ্জ, 5 এপ্রিল : দিল্লি থেকে বাড়ি ফেরার পর থাকেননি হোম কোয়ারান্টাইনে । বদলে রাস্তায় বেরিয়ে মাস্ক বিতরণ করেছেন । এমন অভিযোগ পেয়ে সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরির বাড়িতে নোটিস লাগাতে গেলে ব্যর্থ হন প্রশাসনিক আধিকারিকরা । ব্যর্থ হন স্বাস্থ্যকর্মীরাও । গতরাতে এনিয়ে চলে বিস্তর টানাপোড়েন । গোটা ঘটনায় রাজনৈতিক হেনস্থার অভিযোগ তোলেন তিনি । তাঁর বিরুদ্ধে কংগ্রেস বিধায়ক মোহিত সেনগুপ্ত অভিযোগ তোলায় নাম না করে তাঁকে 'মাতব্বর' বলেও আক্রমণ করেন । এবার এর পালটা দেবশ্রী চৌধুরিকে সংযত হয়ে কথা বলার হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি ।

23 মার্চ দিল্লির সংসদ ভবন থেকে অন্যান্য মন্ত্রী-সাংসদদের সঙ্গে প্রথমে কলকাতায় ফেরেন রায়গঞ্জের সাংসদ তথা নারী ও শিশুকল্যাণ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরি । পরে রায়গঞ্জের চণ্ডীতলার বাড়িতে ফেরেন । নিয়মমতো ভিন রাজ্য থেকে এলে 14 দিনের কোয়ারানটাইনে থাকার কথা । কিন্তু তিনি সেসব না মেনেই 2 এপ্রিল মাস্ক বিতরণ করেন । এর পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে জেলা শাসকের দ্বারস্থ হন রায়গঞ্জের বিধায়ক মোহিত সেনগুপ্ত । অভিযোগ জানান রায়গঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যানও ।

এরপর গতকাল সকালে দেবশ্রী চৌধুরির বাড়িতে কমলাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও স্বাস্থ্যকর্মীরা হাজির হন । তাঁর বাড়িতে স্বাস্থ্যকর্মীরা হোম কোয়ারান্টাইনের নোটিস লাগাতে যান ও মন্ত্রীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে বলেন । কথামতো স্বাস্থ্য পরীক্ষা করালেও বাড়িতে হোম কোয়ারান্টাইনের নোটিস লাগাতে দেননি তিনি । পরে সন্ধেয় ফের তাঁর বাড়িতে হোম কোয়ারান্টাইনের নোটিস লাগাতে পৌঁছান রায়গঞ্জ ব্লকের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাক্তার সন্দীপ বাগ এবং রায়গঞ্জ থানার IC সূরয থাপা । আবারও নোটিস লাগাতে বাধা দেন তিনি । এক কথা, দু'কথায় বাধে বচসা ।

তারপর এবিষয়ে পৌরসভার চেয়ারম্যান ও মোহিত সেনগুপ্তকে নাম না করে "মাতব্বর" বলে আক্রমণ করেন দেবশ্রী । বলেন, "সংসদের কাজ সেরে এখানে ফিরেছি । 543 জন সাংসদও ফিরেছেন । সবাই সবার জায়গায় ফিরে গিয়েছেন । হঠাৎ করে মনে পড়ল দেবশ্রী চৌধুরিকে কোয়ারান্টাইনে পাঠাতে হবে । বড় বড় "মাতব্বর" সবাই । এঁরাই আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন । তারই ভিত্তিতে পুলিশ আমার বাড়িতে পোস্টার লাগাতে এসেছিল । আমি তাদের বলেছি কার রেফারেন্স নিয়ে এসেছে সেটা দেখাতে। তারপর আমার বাড়িতে পোস্টার লাগাতে দেব । তারা কিছুই দেখাতে পারেনি ।"

যার পরিপ্রেক্ষিতে মোহিত সেনগুপ্ত বলেন, "একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়ে তাঁর মুখে এসব কথা মানায় না । সংযত হয়ে কথা বলার উচিত ছিল তাঁর । কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়ে প্রধানমন্ত্রীর ডাককে উপেক্ষা করতে পারেন না তিনি । আমাদের কটাক্ষ করলে আমরা তাঁকে পালটা কটাক্ষ করতে পারি না কারন উনি একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ।"

অন্যদিকে রায়গঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যান সন্দীপ বিশ্বাস বলেন, " নিজে কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রী হয়ে, একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে রায়গঞ্জের মানুষের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা ওঁর দ্বায়িত্ব ছিল । আমাদের মাতব্বর বলেছেন, তাতে আমরা গর্বিত । যে কাজটা আমি করেছি তা কোনও রাজনীতি করার জন্য নয় । যে কোনও মানুষদের ক্ষেত্রেই এই পরিস্থিতিতে এই কাজ করা হয় । রায়গঞ্জ শহরের প্রতিটা ওয়ার্ডে যারা বাইরে থেকে আসছে তাদের হোম কোয়ারন্টাইনে রাখা হচ্ছে । কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসেবে এই নিয়ম মানা ওঁরও উচিত ছিল । কিন্তু উনি আরও এই আইনকে বুড়ো আঙুল দেখাচ্ছেন ।"

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.