ETV Bharat / state

370 ধারা প্রত্যাহার করে কাশ্মীরিদের সন্ত্রাসবাদের দিকে ঠেলে দিল কেন্দ্র : সেলিম

370 ধারা প্রত্যাহার করে কেন্দ্রীয় সরকার পরোক্ষভাবে সন্ত্রাসবাদীদেরই সাহায্য করল । কাশ্মীরি যুবকরা ফের সন্ত্রাসবাদের দিকে ঝুঁকবে : সেলিম

author img

By

Published : Aug 10, 2019, 1:20 PM IST

সেলিম

রায়গঞ্জ, 10 অগাস্ট : 370 ধারা প্রত্যাহার প্রসঙ্গে রায়গঞ্জের প্রাক্তন সাংসদ তথা CPI (M)- নেতা মহম্মদ সেলিম কড়া ভাষায় কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করেন ৷ বলেন, "370 ধারা প্রত্যাহার করে কাশ্মীরকে দিল্লির কাছাকাছি নিয়ে আসার যে পরিকল্পনা কেন্দ্র নিয়েছে তা সফল হবে না । সন্ত্রাসবাদীরা ধীরে ধীরে কাশ্মীরি যুবকদের সমর্থন হারাচ্ছিল ৷ কেন্দ্রীয় সরকার পরোক্ষভাবে সন্ত্রাসবাদীদেরই সাহায্য করল । কাশ্মীরি যুবকরা ফের সন্ত্রাসবাদের দিকে ঝুঁকবে ।"

সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার জম্মু-কাশ্মীর থেকে 370 ধারা প্রত্যাহার করেছে । জম্মু, কাশ্মীর ও লাদাখকে আলাদা আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার । বহু রাজনৈতিক দল সরকারের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করছে ৷ পিছিয়ে নেই CPI(M) ও । গতকাল রায়গঞ্জে দলীয় কার্যালয়ে বসে দলের সুরেই কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেন মহম্মদ সেলিম ৷

তিনি বলেন, "BJP-র প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত অটল বিহারী বাজপেয়ি কাশ্মীর সমস্যা সমাধানের জন্য সহানুভূতি ও কাশ্মীরের মানুষদের সংস্কৃতি বোঝাটাই আসল সূত্র হবে বলে মনে করেছিলেন । কাশ্মীর নিয়ে বারবার পাকিস্তান নানা ধরনের উস্কানিমূলক কাজ করে থাকে । কাশ্মীরের এই দীর্ঘমেয়াদি সমস্যার জন্য পাকিস্তান অবশ্যই দায়ি আর জাতীয় কংগ্রেসেরও দায় রয়েছে । তবে বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার যেভাবে 370 ধারা প্রত্যাহার করেছে সেটাও কম উস্কানিমূলক নয় ।"

মহম্মদ সেলিম বলেন, "বাজপেয়ির আমলে যতটা অর্থনৈতিক ভাবে সফল হচ্ছিল দেশ এখন তার সিকিভাগও হয়নি । বিভিন্ন সময়ে দেশভক্তি এবং নানান উস্কানিমূলক কাজকর্ম করাই বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকারের মুখ্যকাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে । কাশ্মীর সমস্যা সমাধানে যেভাবে আগের কিছু প্রধানমন্ত্রী কাজ করেছে সেভাবেই বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর আরও কিছুটা সহানুভূতিশীল হওয়া উচিত ছিল । পাকিস্তান যেভাবে নিজেদের সমস্যা ঢাকতে সবসময়ই কাশ্মীর ইশুকে বড় করে তাদের জনগণের মধ্যে পেশ করে ঠিক সেভাবেই বর্তমান ভারত সরকার নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে কাশ্মীরকে সামনে নিয়ে এল ।"

সেলিম কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন , "বর্তমান কেন্দ্র সরকার যে পদক্ষেপ নিয়েছে তাতে ভারতের বিরুদ্ধে তোলা পাকিস্তানের অভিযোগই প্রমাণিত হল ৷ পাকিস্তান সরকার এবার সেদেশের মানুষকে বোঝাতে পারবে গায়ের জোরে কাশ্মীর দখল করেছে ভারত ৷ পাকিস্তান বারবার অভিযোগ তুলত সেনাবাহিনী দিয়ে কাশ্মীরের জনগণের উপর অত্যাচার চালায় ভারত৷ এবার সেই অভিযোগ আরও পোক্ত হল ৷"

রায়গঞ্জ, 10 অগাস্ট : 370 ধারা প্রত্যাহার প্রসঙ্গে রায়গঞ্জের প্রাক্তন সাংসদ তথা CPI (M)- নেতা মহম্মদ সেলিম কড়া ভাষায় কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করেন ৷ বলেন, "370 ধারা প্রত্যাহার করে কাশ্মীরকে দিল্লির কাছাকাছি নিয়ে আসার যে পরিকল্পনা কেন্দ্র নিয়েছে তা সফল হবে না । সন্ত্রাসবাদীরা ধীরে ধীরে কাশ্মীরি যুবকদের সমর্থন হারাচ্ছিল ৷ কেন্দ্রীয় সরকার পরোক্ষভাবে সন্ত্রাসবাদীদেরই সাহায্য করল । কাশ্মীরি যুবকরা ফের সন্ত্রাসবাদের দিকে ঝুঁকবে ।"

সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার জম্মু-কাশ্মীর থেকে 370 ধারা প্রত্যাহার করেছে । জম্মু, কাশ্মীর ও লাদাখকে আলাদা আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার । বহু রাজনৈতিক দল সরকারের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করছে ৷ পিছিয়ে নেই CPI(M) ও । গতকাল রায়গঞ্জে দলীয় কার্যালয়ে বসে দলের সুরেই কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেন মহম্মদ সেলিম ৷

তিনি বলেন, "BJP-র প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত অটল বিহারী বাজপেয়ি কাশ্মীর সমস্যা সমাধানের জন্য সহানুভূতি ও কাশ্মীরের মানুষদের সংস্কৃতি বোঝাটাই আসল সূত্র হবে বলে মনে করেছিলেন । কাশ্মীর নিয়ে বারবার পাকিস্তান নানা ধরনের উস্কানিমূলক কাজ করে থাকে । কাশ্মীরের এই দীর্ঘমেয়াদি সমস্যার জন্য পাকিস্তান অবশ্যই দায়ি আর জাতীয় কংগ্রেসেরও দায় রয়েছে । তবে বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার যেভাবে 370 ধারা প্রত্যাহার করেছে সেটাও কম উস্কানিমূলক নয় ।"

মহম্মদ সেলিম বলেন, "বাজপেয়ির আমলে যতটা অর্থনৈতিক ভাবে সফল হচ্ছিল দেশ এখন তার সিকিভাগও হয়নি । বিভিন্ন সময়ে দেশভক্তি এবং নানান উস্কানিমূলক কাজকর্ম করাই বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকারের মুখ্যকাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে । কাশ্মীর সমস্যা সমাধানে যেভাবে আগের কিছু প্রধানমন্ত্রী কাজ করেছে সেভাবেই বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর আরও কিছুটা সহানুভূতিশীল হওয়া উচিত ছিল । পাকিস্তান যেভাবে নিজেদের সমস্যা ঢাকতে সবসময়ই কাশ্মীর ইশুকে বড় করে তাদের জনগণের মধ্যে পেশ করে ঠিক সেভাবেই বর্তমান ভারত সরকার নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে কাশ্মীরকে সামনে নিয়ে এল ।"

সেলিম কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন , "বর্তমান কেন্দ্র সরকার যে পদক্ষেপ নিয়েছে তাতে ভারতের বিরুদ্ধে তোলা পাকিস্তানের অভিযোগই প্রমাণিত হল ৷ পাকিস্তান সরকার এবার সেদেশের মানুষকে বোঝাতে পারবে গায়ের জোরে কাশ্মীর দখল করেছে ভারত ৷ পাকিস্তান বারবার অভিযোগ তুলত সেনাবাহিনী দিয়ে কাশ্মীরের জনগণের উপর অত্যাচার চালায় ভারত৷ এবার সেই অভিযোগ আরও পোক্ত হল ৷"

Intro:রায়গঞ্জ,০৯ আগস্ট:- 370 ধারা রদ করে কার্যত দিল্লির কাছাকাছি নিয়ে আসার কেন্দ্রের পরিকল্পনা আগামীতে ব্যর্থ হবে। কাশ্মীরি যুবকদের অপর নিষ্পেষণের ফলে যেই সন্ত্রাসবাদীরা বর্তমানে ওই এলাকায় যুবকদের পাচ্ছিল না ঘুরিয়ে তাদেরই সাহায্য করল কেন্দ্রীয় সরকার। যার ফলে আগামী দিনে কাশ্মীরি যুবকরা সন্ত্রাসবাদের দিকে ঝুঁকবে। 370 ধারা রদ প্রসঙ্গে রায়গঞ্জে প্রাক্তন সাংসদ তথা সি পি আই এম এর পলিটব্যুরোর সদস্য মোঃ সেলিম ঠিক এমনই মন্তব্য করলেন। এদিন রায়গঞ্জের দলীয় কার্যালয়ে বসে ইটিভি ভারত কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন কেন্দ্র সরকার তার বিভিন্ন প্রকল্পের ব্যর্থতা ঢাকতে কাশ্মীর ইস্যুকে সামনে নিয়ে এসেছে। এটা এক প্রকার কাশ্মীরের ইন্ডিয়ানাজাইসেন নয় কাশমীরাজেশন অফ ইন্ডিয়া করলো কেন্দ্র সরকার।

সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার জম্মু-কাশ্মীর রে 370 ধারা রদ করেছে। জম্মু কাশ্মীর লাদাখ কে আলাদা আলাদা কেন্দ্রশাসিত রাজ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। বিজেপি বিরোধী বহু রাজনৈতিক দল এ সিদ্ধান্তের বিপক্ষে তাদের মত দিয়েছেন। পিছিয়ে নেই সি পি আই এম ও। এদিন রায়গঞ্জে দলীয় কার্যালয়ে বসে ডলের সুরেই কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেন সেলিম বাবু। তার মতে একদা বিজেপির প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী কাশ্মীর সমস্যা সমাধানের জন্য সহানুভূতি ও কাশ্মীরের মানুষদের সংস্কৃতি বোঝাটাই আসল সূত্র হবে বলে মনে করেছিলেন। কাশ্মীর নিয়ে বারবার পাকিস্তান ও নানান ধরনের নানা উস্কানিমূলক কাজ করে থাকে। আরো তে কাশ্মীরের এই দীর্ঘমেয়াদি সমস্যার জন্য পাকিস্তান অবশ্যই দায়ী আর কংগ্রেসের ও এই দায়ভার রয়েছে। তবে বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার ও আর এস এস যেভাবে কাশ্মীর ইস্যুতে 370 ধারা রদ করেছে সেটাও কম উস্কানিমূলক নয়। বরং বাজপেয়ির আমলে যতটা অর্থনৈতিক ভাবে সফল হচ্ছিল দেশ এখন তার সিকিভাগও হয়নি। বিভিন্ন সময়ে দেশ ভক্তি এবং নানান উস্কানিমূলক কাজকর্ম করাই বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকারের কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কাশ্মীর সমস্যা সমাধানে যেভাবে আগের কিছু প্রধানমন্ত্রী কাজ করেছে সেভাবেই বর্তমান প্রধানমন্ত্রী কে আরও কিছুটা সহানুভূতিশীল হওয়া উচিত ছিল। পাকিস্তান যেভাবে নিজেদের সমস্যা গুলো ঢাকতে সবসময়ই কাশ্মীর ইস্যুকে বড় করে তাদের জনগণের মধ্যে পেশ করে ঠিক সেভাবেই বর্তমান সরকার নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে কাশ্মীর কে সামনে নিয়ে এলো।

এদিন ইটিটিভি ভারতকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন বর্তমান কেন্দ্র সরকার যে পদক্ষেপ নিয়েছে তাতে একদিকে যেমন পাকিস্তান নিজেদের জনগণের কাছে যে বারবার বোঝাতে চাই তো গায়ের জোরে কাশ্মীর কে রেখেছে ভারত বর্ষ তা তারা প্রমাণ করতে সক্ষম হলো। বিষয়টিকে তারা আন্তর্জাতিক স্তরে নিয়ে যাওয়ার জায়গায় পৌঁছলো। তারা যে বারবার অভিযোগ করছিল যে সেনাবাহিনী দিয়ে কাশ্মীরের জনগণের ওপর অত্যাচার চালায় ভারত বর্ষ সেই বিষয়টিকে এবারে তারা কাশ্মীরের জনগণ ও আন্তর্জাতিক স্তরে তুলে আনবে। এর পাশাপাশি কাশ্মীরের একাংশের জনগণ যাদের মনে এই বিশ্বাসটি ঢুকিয়ে দিয়েছিল পাকিস্তান তারাও আস্তে আস্তে দূরে সরে যাবে। অন্যদিকে কাশ্মীরে থাকা ভারতবর্ষের পক্ষে যারা বলতেন সে তাদের সংখ্যা যতই কম না কেন তাদের কেউ আমরা শত্রু শিবিরে ঢেলে দিলাম। সব মিলিয়ে পাকিস্তান আমাদের দেশে যেই সন্ত্রাসবাদীদের কারখানা তৈরি করেছিল যারা কিছুদিন ধরে স্থানীয় যুবকদের পাচ্ছিল না নিষ্পেষণ এর কারণে আস্তে আস্তে তারাই এখন সেই সন্ত্রাসবাদীদের সুরে তাল মেলাবে। ফলে দিল্লি যাচাই ছিল কাশ্মীর কে কাছে টেনে আনতে তারাই আদতে দূরে সরে গেল।

বাইট-- মহ: সেলিম।।

তারক চক্রবর্তী রায়গঞ্জ।।


Body:sjh


Conclusion:mns
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.